দেশে বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলারের সরকারি কেনাকাটা: আইএমইডি
- আপডেট: ০১:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
- / ৪১৫২ বার দেখা হয়েছে
২০০৩ সালে দেশে সরকারি ক্রয় ছিল মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে বর্তমানে ৩০ বিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।
সোমবার (১১ মার্চ) এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি। সরকারি অংশীজনের জন্য আয়োজিত বিপিপিএ প্রতিষ্ঠা ও এর কার্যাবলী বিষয়ক ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রামে এ তথ্য জানান তিনি।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিপিপিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী। এতে জানানো হয়, সরকারি ক্রয় পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করছে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্থাটির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, দেশে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রায় ৯০ শতাংশ ব্যয় হয় সরকারি ক্রয়ে। বিশ্বব্যাপী ক্রয়প্রক্রিয়ায় মোট ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় ১৩ ট্রিলিয়ন ডলার।
তিনি বলেন, সিপিটিইউ ছিল আইএমইডির একটি ছোট ইউনিট। ক্রমবর্ধমান কারিগরী চ্যালেঞ্জ আর সরকারি ক্রয়ের চাহিদা বিবেচনায় এত কম জনবল নিয়ে সিপিটিইউয়ের পক্ষে সারা দেশের ক্রয় ব্যবস্থাপনার আইনগত বিষয় মোকাবিলা করা সম্ভব ছিল না।
আরও পড়ুন: নাজুক অবস্থায় দেশের ১২ ব্যাংক
তিনি আরও বলেন, সরকারি ক্রয়ের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি ও পেশাদারত্ব বাড়াতে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি আইন ২০২৩ এর আওতায় বিপিপিএ গঠিত হয়। আমরা এখন বিপিপিএর জন্য একটি জনবল কাঠামো তৈরি করছি। শিগগির এটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশন, পরিকল্পনা বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, আইএমইডি, বিপিপিএর কর্মকর্তাসহ মোট ৫৫ জন উপস্থিত ছিলেন।
মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী বিপিপিএর পটভূমি, বিপিপিএ প্রতিষ্ঠা ও এর কার্যাবলী এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক একটি বিস্তারিত উপস্থাপনা পেশ করেন। তিনি আইনগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে একটি উপযোগী ক্রয় পরিবেশ গড়ে তোলার উপর জোর দেন।
ঢাকা/এসএম