০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

দেশ গড়ার দ্বিতীয় সুযোগ যেন কোনোভাবেই নষ্ট না হয়: আসিফ নজরুল

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৩৪:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০৩৮৭ বার দেখা হয়েছে

তরুণদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে রাষ্ট্র গঠনের যে দ্বিতীয় সুযোগ এসেছে তা যেন কোনোভাবেই নষ্ট না হয়। সেটাই যেন সবার প্রত্যয় হয় বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আসিফ নজরুল বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীরা যে স্বপ্ন, প্রত্যয় এবং দেশপ্রেম নিয়ে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, সেটারই কন্টিনিউশন ছিল আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান। আমাদের তরুণরা, ছাত্ররা জীবনের মায়া উপেক্ষা করে গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ১৯৭১ সালে বহু মানুষের আত্মত্যাগের পর, বহু বুদ্ধিজীবীর আত্মত্যাগের পর আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে ব্যর্থ হয়েছিলাম। একদলীয় মানসিকতা এবং একটা দলের ব্যর্থতার কারণে তা নষ্ট হতে বসেছিল। আজ কোনোভাবেই যেন সে ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন এবং আদর্শকে সম্পূর্ণভাবে ধারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার।

এর আগে সকাল ৭টার দিকে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, পরে ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাঙালি জাতির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা জাতিকে মেধাশূন্য করতে হত্যা করেন এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের।

১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহিদের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যার ঘটনা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীরা মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের জঘন্যতম প্রতিশোধ নেয়। স্বাধীনতাবিরোধীরা তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে নিয়ে হত্যা করে। তারা স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে অন্ধকার করার পাঁয়তারা করে।

দিবসটি উপলক্ষে সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে।

ঢাকা/এসএইচ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

দেশ গড়ার দ্বিতীয় সুযোগ যেন কোনোভাবেই নষ্ট না হয়: আসিফ নজরুল

আপডেট: ১০:৩৪:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

তরুণদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে রাষ্ট্র গঠনের যে দ্বিতীয় সুযোগ এসেছে তা যেন কোনোভাবেই নষ্ট না হয়। সেটাই যেন সবার প্রত্যয় হয় বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আসিফ নজরুল বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীরা যে স্বপ্ন, প্রত্যয় এবং দেশপ্রেম নিয়ে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, সেটারই কন্টিনিউশন ছিল আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান। আমাদের তরুণরা, ছাত্ররা জীবনের মায়া উপেক্ষা করে গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ১৯৭১ সালে বহু মানুষের আত্মত্যাগের পর, বহু বুদ্ধিজীবীর আত্মত্যাগের পর আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে ব্যর্থ হয়েছিলাম। একদলীয় মানসিকতা এবং একটা দলের ব্যর্থতার কারণে তা নষ্ট হতে বসেছিল। আজ কোনোভাবেই যেন সে ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন এবং আদর্শকে সম্পূর্ণভাবে ধারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার।

এর আগে সকাল ৭টার দিকে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, পরে ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাঙালি জাতির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা জাতিকে মেধাশূন্য করতে হত্যা করেন এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের।

১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহিদের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যার ঘটনা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীরা মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের জঘন্যতম প্রতিশোধ নেয়। স্বাধীনতাবিরোধীরা তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে নিয়ে হত্যা করে। তারা স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে অন্ধকার করার পাঁয়তারা করে।

দিবসটি উপলক্ষে সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে।

ঢাকা/এসএইচ