০৪:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা ১৫ জানুয়ারি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:৪৬:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৩৪০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বরাবরের মতো এবারও মূল্যস্ফীতিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এজন্য এটি আরও সংকোচনমুখী করা হচ্ছে। ফলে বাজারে টাকার প্রবাহ আরও কমে যেতে পারে। এতে ঋণের সুদহার আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আগামী ১৫ জানুয়ারি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। ২০২৩ সালে নানামুখী চ্যালেঞ্জ ছিল, পুরো বছরই তা মোকাবেলার চেষ্টা করে গেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে কিছু অর্জনও ছিল।

তিনি বলেন, চলতি হিসাব ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে এনেছি। সুদহার বাজার ভিত্তিক করা হয়েছে। নতুন টাকা সৃষ্টি করে সরকারকে ঋণ দেয়া বন্ধ করা হয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। তাই বলা যায় ২০২৩ সাল পুরো বছর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাতেই গেছে। এছার্া মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, আশা করা যাচ্ছে নতুন বছরের জুনে তা ৬ বা ৮ শতাংশে নেমে আসবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, কর্পোরেট গভর্নেন্স নিয়ে কাজ শুরু করেছি, যা নতুন বছরও অব্যাহত থাকবে। আমানতকারীদের স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক যেকোনো পদক্ষেপ বাংলাদেশ ব্যাংক নিবে। কারণ আমানতকারীদের অর্থের নিরাপত্তা দেয়াই হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল নীতি।

আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি সব ব্যাংক বন্ধ রাখার নির্দেশ

জানা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ভাগের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করার লক্ষ্যে অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মতামত ও পরামর্শ চেয়েছে। এছাড়া গত অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটি পুনর্গঠন করেছে। আগে শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই কমিটিতে ছিলেন, এবারের কমিটিতে বাইরে থেকে আরও তিনজনকে রাখা হয়েছে।

দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য মুদ্রানীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য হলো মূল্যষ্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা, যাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। এছাড়া মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখাও মুদ্রানীতির অন্যতম কাজ।

বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে দুবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন করছে। গত ১৮ জুন চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা ১৫ জানুয়ারি

আপডেট: ০৯:৪৬:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বরাবরের মতো এবারও মূল্যস্ফীতিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এজন্য এটি আরও সংকোচনমুখী করা হচ্ছে। ফলে বাজারে টাকার প্রবাহ আরও কমে যেতে পারে। এতে ঋণের সুদহার আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আগামী ১৫ জানুয়ারি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। ২০২৩ সালে নানামুখী চ্যালেঞ্জ ছিল, পুরো বছরই তা মোকাবেলার চেষ্টা করে গেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে কিছু অর্জনও ছিল।

তিনি বলেন, চলতি হিসাব ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে এনেছি। সুদহার বাজার ভিত্তিক করা হয়েছে। নতুন টাকা সৃষ্টি করে সরকারকে ঋণ দেয়া বন্ধ করা হয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। তাই বলা যায় ২০২৩ সাল পুরো বছর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাতেই গেছে। এছার্া মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, আশা করা যাচ্ছে নতুন বছরের জুনে তা ৬ বা ৮ শতাংশে নেমে আসবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, কর্পোরেট গভর্নেন্স নিয়ে কাজ শুরু করেছি, যা নতুন বছরও অব্যাহত থাকবে। আমানতকারীদের স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক যেকোনো পদক্ষেপ বাংলাদেশ ব্যাংক নিবে। কারণ আমানতকারীদের অর্থের নিরাপত্তা দেয়াই হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল নীতি।

আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি সব ব্যাংক বন্ধ রাখার নির্দেশ

জানা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ভাগের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করার লক্ষ্যে অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মতামত ও পরামর্শ চেয়েছে। এছাড়া গত অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটি পুনর্গঠন করেছে। আগে শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই কমিটিতে ছিলেন, এবারের কমিটিতে বাইরে থেকে আরও তিনজনকে রাখা হয়েছে।

দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য মুদ্রানীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য হলো মূল্যষ্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা, যাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। এছাড়া মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখাও মুদ্রানীতির অন্যতম কাজ।

বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে দুবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন করছে। গত ১৮ জুন চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা/এসএম