০২:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ধর্ষণের ঘটনায় দায় এড়াতে পারে না জাবি কর্তৃপক্ষ: র‍্যাব

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৩৬ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না। কারণ বিভিন্ন সময় মাদক, ধর্ষণসহ নানা অপরাধের ঘটনা সেখানে ঘটেছে। এসব ঘটনায় বহিরাগতদের প্রবেশের দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, আমরা আগামী প্রজন্মকে জাহাঙ্গীরনগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানোর স্বপ্ন দেখি। এমনকি যারা মাদক কারবার, চোরাচালানসহ অবৈধ ব্যবসা করেন, তারা খারাপ হলেও তাদের সন্তানকেও বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করান। আমরা চাই আমাদের সন্তানেরা লেখাপড়া করুক এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হোক।

কমান্ডার মঈন বলেন, সম্প্রতি গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারদের দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী বিষয়টি খুবই অ্যালার্মিং। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এখনই আরও কঠোর হতে হবে। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, ক্যাম্পাসে মাদকসহ নানা অবৈধকাজ ঘটে। এসব ঘটনা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয় রয়েছে। তারা যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, সহযোগিতা চায়, আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মঈন বলেন, শিক্ষার্থীদের অপরাধে জড়ানোর বিষয়য়ে আগেই সতর্ক হওয়া দরকার ছিল। আমরা সবাইকে খারাপ বলব না। কারণ যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, তারাই তো আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে। তাই আমি মনে করি শুধু এখন নয়, সবসময় তাদের নজরদারিতে রাখা উচিত। কারণ শিক্ষার্থীদের বয়স অনেক কম। মামুনের মতো লোকজন  শিক্ষার্থীদের নষ্ট করছে। মামুনের মতো লোকেরাই নিজেদের স্বার্থে, নিজেরাই অপকর্ম করার জন্য শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে। আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থী যারা আছে, তাদের এমন করে বিপথে নেওয়ার দায়-দায়িত্ব আমাদের সব স্টেকহোল্ডারকে নিতে হবে। অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক সমাজ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকে এর দায় নিতে হবে।

আরও পড়ুন: আরাকান আর্মির দখলে বিজিপির ক্যাম্প, বাড়ি ফিরছেন সীমান্তবাসীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলার অন্যতম আসামি মামুনুর রশীদ ওরফে মামুনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পূর্বপরিচিত এই মামুনের কথাতেই ওই র‌াতে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামী। তখন ওই নারীকে যে দুজন ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ, তাদের একজন এই মামুন।

ভুক্তভোগী নারী পরিবার নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস–সংলগ্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ওই বাসায় থাকতেন মামুন। গত শনিবার রাতে কৌশলে তিনি প্রথমে ওই নারীর স্বামীকে এবং পরে ভুক্তভোগী নারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে ডেকে নেন। এরপর স্বামীকে বেঁধে নির্যাতন এবং গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মো. মুরাদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই নারীর স্বামীকে আটকে রাখায় সহায়তা এবং মারধর করেছিলেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে চারজনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা বলে জানা গেছে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

ধর্ষণের ঘটনায় দায় এড়াতে পারে না জাবি কর্তৃপক্ষ: র‍্যাব

আপডেট: ০৩:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না। কারণ বিভিন্ন সময় মাদক, ধর্ষণসহ নানা অপরাধের ঘটনা সেখানে ঘটেছে। এসব ঘটনায় বহিরাগতদের প্রবেশের দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, আমরা আগামী প্রজন্মকে জাহাঙ্গীরনগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানোর স্বপ্ন দেখি। এমনকি যারা মাদক কারবার, চোরাচালানসহ অবৈধ ব্যবসা করেন, তারা খারাপ হলেও তাদের সন্তানকেও বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করান। আমরা চাই আমাদের সন্তানেরা লেখাপড়া করুক এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হোক।

কমান্ডার মঈন বলেন, সম্প্রতি গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারদের দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী বিষয়টি খুবই অ্যালার্মিং। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এখনই আরও কঠোর হতে হবে। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, ক্যাম্পাসে মাদকসহ নানা অবৈধকাজ ঘটে। এসব ঘটনা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয় রয়েছে। তারা যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, সহযোগিতা চায়, আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মঈন বলেন, শিক্ষার্থীদের অপরাধে জড়ানোর বিষয়য়ে আগেই সতর্ক হওয়া দরকার ছিল। আমরা সবাইকে খারাপ বলব না। কারণ যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, তারাই তো আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে। তাই আমি মনে করি শুধু এখন নয়, সবসময় তাদের নজরদারিতে রাখা উচিত। কারণ শিক্ষার্থীদের বয়স অনেক কম। মামুনের মতো লোকজন  শিক্ষার্থীদের নষ্ট করছে। মামুনের মতো লোকেরাই নিজেদের স্বার্থে, নিজেরাই অপকর্ম করার জন্য শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে। আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থী যারা আছে, তাদের এমন করে বিপথে নেওয়ার দায়-দায়িত্ব আমাদের সব স্টেকহোল্ডারকে নিতে হবে। অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক সমাজ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকে এর দায় নিতে হবে।

আরও পড়ুন: আরাকান আর্মির দখলে বিজিপির ক্যাম্প, বাড়ি ফিরছেন সীমান্তবাসীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলার অন্যতম আসামি মামুনুর রশীদ ওরফে মামুনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পূর্বপরিচিত এই মামুনের কথাতেই ওই র‌াতে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামী। তখন ওই নারীকে যে দুজন ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ, তাদের একজন এই মামুন।

ভুক্তভোগী নারী পরিবার নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস–সংলগ্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ওই বাসায় থাকতেন মামুন। গত শনিবার রাতে কৌশলে তিনি প্রথমে ওই নারীর স্বামীকে এবং পরে ভুক্তভোগী নারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলে ডেকে নেন। এরপর স্বামীকে বেঁধে নির্যাতন এবং গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মো. মুরাদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই নারীর স্বামীকে আটকে রাখায় সহায়তা এবং মারধর করেছিলেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে চারজনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা বলে জানা গেছে।

ঢাকা/এসএম