০৩:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

নগদ ডলার ছাড়াই পণ্য আমদানি করা যাবে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
  • / ৪১৪৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

ডলারের ওপর চাপ কমাতে কাউন্টার-ট্রেড ব্যবস্থার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন থেকে কোনো নগদ ডলার ছাড়াই পণ্য আমদানি করে রপ্তানি আয়ের ডলার দিয়ে তা পরিশোধ করা যাবে। এ সুবিধা আপাতত কেবল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোই পাবে।

রোববার (১০ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ (এফইপিডি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতিতে (এসক্রো) বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের মূল্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা পণ্যের মূল্য দিয়ে সমন্বয় করা যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের রপ্তানিকারক, আমদানিকারক কিংবা ট্রেডাররা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাউন্টার ট্রেড পদ্ধতিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করতে চুক্তি করতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, স্থানীয় ব্যাংক বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নামে বা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যৌথভাবে দেশে এসক্রো অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করবে। এর মাধ্যমে স্থানীয় আমদানিকারকের কাছ থেকে প্রাপ্ত আমদানি মূল্য জমা দেওয়া হবে। এ দেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মূল্য আমানতের স্থিতির বিপরীতে স্থানীয় রপ্তানিকারককে পরিশোধ করা হবে। এসক্রো হিসাবের অবস্থা নির্দিষ্ট সময়ে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হবে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বিদেশি ব্যবসায়ীদের মতো বিদেশি ব্যাংকে এসক্রো হিসাব পরিচালনা করতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে।

আরও পড়ুন: রমজানে বীমা অফিসের নতুন সময়সূচি

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এসক্রো হিসাবে আমদানির অর্থ জমার বিষয় আইএমপি ফরমে বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্ট করতে হবে। আলোচ্য হিসাবে জমা করা অর্থ দিয়ে রপ্তানি মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ইএক্সপি ফরমে বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্ট করতে হবে। তবে আকু পদ্ধতির আওতায় আমদানি-রপ্তানি বিষয়ক লেনদেন কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করা যাবে না।

উল্লেখ্য, কাউন্টার-ট্রেড আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি পারস্পরিক বিনিময় পদ্ধতি যেখানে পণ্য বা পরিষেবাগুলো নগদ মুদ্রার পরিবর্তে অন্যান্য পণ্য বা পরিষেবাদির জন্য বিনিময় করা হয়। এভাবে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াই পণ্যের বিনিময়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। অর্থাৎ বিদেশে কোনো কোম্পানি থেকে ১০০ ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করে ওই কোম্পানির কাছে টাকা পরিশোধ না করেই, তারা একই মূল্যের আরেকটি পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। এসব লেনদেনে বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলারের প্রয়োজন হবে না।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

নগদ ডলার ছাড়াই পণ্য আমদানি করা যাবে

আপডেট: ০৬:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

ডলারের ওপর চাপ কমাতে কাউন্টার-ট্রেড ব্যবস্থার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন থেকে কোনো নগদ ডলার ছাড়াই পণ্য আমদানি করে রপ্তানি আয়ের ডলার দিয়ে তা পরিশোধ করা যাবে। এ সুবিধা আপাতত কেবল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোই পাবে।

রোববার (১০ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ (এফইপিডি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতিতে (এসক্রো) বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের মূল্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা পণ্যের মূল্য দিয়ে সমন্বয় করা যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের রপ্তানিকারক, আমদানিকারক কিংবা ট্রেডাররা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাউন্টার ট্রেড পদ্ধতিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করতে চুক্তি করতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, স্থানীয় ব্যাংক বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নামে বা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যৌথভাবে দেশে এসক্রো অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করবে। এর মাধ্যমে স্থানীয় আমদানিকারকের কাছ থেকে প্রাপ্ত আমদানি মূল্য জমা দেওয়া হবে। এ দেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মূল্য আমানতের স্থিতির বিপরীতে স্থানীয় রপ্তানিকারককে পরিশোধ করা হবে। এসক্রো হিসাবের অবস্থা নির্দিষ্ট সময়ে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হবে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বিদেশি ব্যবসায়ীদের মতো বিদেশি ব্যাংকে এসক্রো হিসাব পরিচালনা করতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে।

আরও পড়ুন: রমজানে বীমা অফিসের নতুন সময়সূচি

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এসক্রো হিসাবে আমদানির অর্থ জমার বিষয় আইএমপি ফরমে বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্ট করতে হবে। আলোচ্য হিসাবে জমা করা অর্থ দিয়ে রপ্তানি মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ইএক্সপি ফরমে বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্ট করতে হবে। তবে আকু পদ্ধতির আওতায় আমদানি-রপ্তানি বিষয়ক লেনদেন কাউন্টার-ট্রেড পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করা যাবে না।

উল্লেখ্য, কাউন্টার-ট্রেড আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি পারস্পরিক বিনিময় পদ্ধতি যেখানে পণ্য বা পরিষেবাগুলো নগদ মুদ্রার পরিবর্তে অন্যান্য পণ্য বা পরিষেবাদির জন্য বিনিময় করা হয়। এভাবে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াই পণ্যের বিনিময়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। অর্থাৎ বিদেশে কোনো কোম্পানি থেকে ১০০ ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করে ওই কোম্পানির কাছে টাকা পরিশোধ না করেই, তারা একই মূল্যের আরেকটি পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। এসব লেনদেনে বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলারের প্রয়োজন হবে না।

ঢাকা/এসএ