০২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

নতুন প্রজন্ম নজরুল-চর্চার মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হবে: রাষ্ট্রপতি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
  • / ৪১৬৬ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করে বলেছেন, নতুন প্রজন্ম নজরুল-চর্চার মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হবে এবং দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠা দিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করবে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ বুধবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ক্ষণজন্মা কবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসকের কঠিন শাসন কবির বিদ্রোহী কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করতে পারেনি। নিজের ওপর ছিল তার গভীর আত্মবিশ্বাস এবং সত্যের প্রতি তার ছিল অবিচল আস্থা।
তিনি বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে নজরুলের কবিতা ও গান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সাম্য ও মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাসে একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার কালজয়ী লেখায় ঋদ্ধ হয়েছে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য। নজরুল ছিলেন একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক।

তিনি বলেন, কবির লেখনী শোষিত-নির্যাতিত ও বঞ্চিতদের অধিকার আদায়ে আমাদের সোচ্চার করে, শিক্ষা দেয় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের অবসানে তিনি অবতীর্ণ হয়েছিলেন তূর্যবাদকের ভূমিকায়। শতবর্ষ পূর্বে উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও ব্রিটিশ শাসনবিরোধী সংগ্রাম যখন জোরদার হচ্ছিল নজরুল তখন অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের পটভূমিতে রচনা করেন ‘অগ্নি-বীণা’ কাব্যগ্রন্থ।

আরও পড়ুন: আমি জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

সাহাবুদ্দিন বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশের দুর্যোগঘন সময়ে নজরুলের ‘অগ্নি-বীণা’ গ্রন্থের কবিতাসমূহ যুগ-মানসকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছিল।

তিনি বলেন, একদিকে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গাকে প্রশমিত, অন্যদিকে জনমানসকে উজ্জীবিত করার জন্য লিখলেন প্রলয়োল্লাস, বিদ্রোহী, রক্তাম্বরধারিণী মা, আগমনী, ধূমকেতু, কামালপাশা, আনোয়ার, রণভেরী, শাত- ইল-আরব, খেয়া পারের তরণী, কোরবানী, মহররম- এই বারটি কবিতা। কবিতাগুলিতে তিনি হিন্দু-মুসলিম ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে সমানভাবে ধারণ করেছেন।

বাণীতে তিনি সাম্য ও মানবতার চিরঞ্জীব কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।-বাসস

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

নতুন প্রজন্ম নজরুল-চর্চার মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হবে: রাষ্ট্রপতি

আপডেট: ০৭:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করে বলেছেন, নতুন প্রজন্ম নজরুল-চর্চার মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হবে এবং দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠা দিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করবে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ বুধবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ক্ষণজন্মা কবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসকের কঠিন শাসন কবির বিদ্রোহী কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করতে পারেনি। নিজের ওপর ছিল তার গভীর আত্মবিশ্বাস এবং সত্যের প্রতি তার ছিল অবিচল আস্থা।
তিনি বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে নজরুলের কবিতা ও গান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সাম্য ও মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাসে একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার কালজয়ী লেখায় ঋদ্ধ হয়েছে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য। নজরুল ছিলেন একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক।

তিনি বলেন, কবির লেখনী শোষিত-নির্যাতিত ও বঞ্চিতদের অধিকার আদায়ে আমাদের সোচ্চার করে, শিক্ষা দেয় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের অবসানে তিনি অবতীর্ণ হয়েছিলেন তূর্যবাদকের ভূমিকায়। শতবর্ষ পূর্বে উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও ব্রিটিশ শাসনবিরোধী সংগ্রাম যখন জোরদার হচ্ছিল নজরুল তখন অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের পটভূমিতে রচনা করেন ‘অগ্নি-বীণা’ কাব্যগ্রন্থ।

আরও পড়ুন: আমি জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

সাহাবুদ্দিন বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশের দুর্যোগঘন সময়ে নজরুলের ‘অগ্নি-বীণা’ গ্রন্থের কবিতাসমূহ যুগ-মানসকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছিল।

তিনি বলেন, একদিকে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গাকে প্রশমিত, অন্যদিকে জনমানসকে উজ্জীবিত করার জন্য লিখলেন প্রলয়োল্লাস, বিদ্রোহী, রক্তাম্বরধারিণী মা, আগমনী, ধূমকেতু, কামালপাশা, আনোয়ার, রণভেরী, শাত- ইল-আরব, খেয়া পারের তরণী, কোরবানী, মহররম- এই বারটি কবিতা। কবিতাগুলিতে তিনি হিন্দু-মুসলিম ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে সমানভাবে ধারণ করেছেন।

বাণীতে তিনি সাম্য ও মানবতার চিরঞ্জীব কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।-বাসস

ঢাকা/এসএম