০৭:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

নাগরিকদের দুর্ভিক্ষের জন্য প্রস্তুত হতে বললেন কিম

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩২:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৩৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ উত্তর কোরিয়ান নেতা কিম জং উন ভবিষ্যতের দুর্ভিক্ষের ইঙ্গিত দিয়ে নাগরিকদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটিতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং প্রচণ্ড খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর এমন সতর্কতার পর তিনি এই আহ্বান জানালেন।

দলের কংগ্রেসে এক বক্তৃতায় কিম জং উন আসন্ন পরিস্থিতিকে ১৯৯০ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সঙ্গে তুলনা করেন। ওই দুর্ভিক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ায় আনুমানিক ৩০ লাখ মানুষ মারা যায়।

বৃহস্পতিবার দলের সভায় উত্তর কোরিয়ান এই কর্তৃত্ববাদী শাসক বিরল কথা বলেন। তিনি আরেকটি ‘সংগ্রামী মার্চ থেকে জনগণকে রক্ষা করতে প্রস্তুত হতে বলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা ‘সংগ্রামী মার্চ’ পরিভাষাটি ১৯৯০ সালের সালের দুর্ভিক্ষ বোঝাতে ব্যবহার করেন। ওই বছর সোভিয়েত ইউনিয়ন যথেষ্ঠ সহায়তা ছাড়াই উত্তর কোরিয়া ত্যাগ করে। এই সময় দুর্ভিক্ষে কত মানুষ মারা গিয়েছিল তার সঠিক পরিসংখ্যান না পেলেও অনুমান করা হয় ৩০ লাখ মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল।

কিম জং উনের এমন স্বীকারোক্তির বিষয়ে উত্তর কোরিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক কলিন জইরকো বলেন,কিমের কথা বলার এই ভাষা সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং শক্ত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় গত অক্টোবর মাসে এক বক্তৃতায় তিনি যথেষ্ঠ পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু গতকাল তিনি স্পষ্টভাবে নতুন ‘সংগ্রামী মার্চের’ মুখোমুখী হতে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন যা পূর্বে কখনও বলেননি। এর আগে চলতি সপ্তাহে কিম বলেন তার দেশ সর্বোচ্চ খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে এবং অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হচ্ছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

নাগরিকদের দুর্ভিক্ষের জন্য প্রস্তুত হতে বললেন কিম

আপডেট: ০৬:৩২:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ উত্তর কোরিয়ান নেতা কিম জং উন ভবিষ্যতের দুর্ভিক্ষের ইঙ্গিত দিয়ে নাগরিকদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটিতে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং প্রচণ্ড খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর এমন সতর্কতার পর তিনি এই আহ্বান জানালেন।

দলের কংগ্রেসে এক বক্তৃতায় কিম জং উন আসন্ন পরিস্থিতিকে ১৯৯০ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সঙ্গে তুলনা করেন। ওই দুর্ভিক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ায় আনুমানিক ৩০ লাখ মানুষ মারা যায়।

বৃহস্পতিবার দলের সভায় উত্তর কোরিয়ান এই কর্তৃত্ববাদী শাসক বিরল কথা বলেন। তিনি আরেকটি ‘সংগ্রামী মার্চ থেকে জনগণকে রক্ষা করতে প্রস্তুত হতে বলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা ‘সংগ্রামী মার্চ’ পরিভাষাটি ১৯৯০ সালের সালের দুর্ভিক্ষ বোঝাতে ব্যবহার করেন। ওই বছর সোভিয়েত ইউনিয়ন যথেষ্ঠ সহায়তা ছাড়াই উত্তর কোরিয়া ত্যাগ করে। এই সময় দুর্ভিক্ষে কত মানুষ মারা গিয়েছিল তার সঠিক পরিসংখ্যান না পেলেও অনুমান করা হয় ৩০ লাখ মানুষ অনাহারে মারা গিয়েছিল।

কিম জং উনের এমন স্বীকারোক্তির বিষয়ে উত্তর কোরিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক কলিন জইরকো বলেন,কিমের কথা বলার এই ভাষা সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং শক্ত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় গত অক্টোবর মাসে এক বক্তৃতায় তিনি যথেষ্ঠ পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু গতকাল তিনি স্পষ্টভাবে নতুন ‘সংগ্রামী মার্চের’ মুখোমুখী হতে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন যা পূর্বে কখনও বলেননি। এর আগে চলতি সপ্তাহে কিম বলেন তার দেশ সর্বোচ্চ খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে এবং অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হচ্ছে।

ঢাকা/এসএ