০২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পহেলা বৈশাখ থেকে অনলাইনে শতভাগ ভূমিকর: ভূমিমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১৫৬ বার দেখা হয়েছে

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আমাদের ভূমিকর এখন অনলাইন করা হয়েছে। তবে বর্তমানে এটা ম্যানুয়ালিও আছে। আমি বলেছি আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতি পুরোপুরি বন্ধ করে দেব। শতভাগ অনলাইন করা হবে ভূমিকর। এটা খুবই স্পষ্ট। ম্যানুয়ালের আর কোনো সুযোগ থাকবে না।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠকটি কার্যকরী ছিল। মাঠে আমরা কীভাবে কাজ করব সে ব্যাপারে অনেক আলোচনা হয়েছে। অনেক আইন সংস্কারের বিষয় উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ক্ষতিপূরণ নিয়ে চলমান মামলা নিষ্পত্তিকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, আইন সংশোধন করা হচ্ছে। আমরা অনেকগুলো আইন হাতে নিয়েছি। বিধিমালাও সংশোধন করা হবে। এই সংসদে হাট-বাজার আইন পাস হয়ে যাবে। ভূমি ব্যবহার আইন, ভূমি প্রতিরোধ আইন এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। দ্রুত এগুলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। এ সংসদ অধিবেশনই আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হয়নি, পরবর্তী সংসদ অধিবেশনই উত্থাপন করা হবে।

ভূমি সংক্রান্ত কাজের বড় অংশ নিয়ে কাজ করে ডাক বিভাগ। ডিসি সম্মেলনে তাদের কোনো নির্দেশনা আছে কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডাক বিভাগের সঙ্গে আমাদের পর্চা নিয়ে একটা চুক্তি হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি, তারা যেন লোকাল যারা পর্চা চায় তাদের ই-মেইল করে বা ডাকযোগে পাঠাতে। সার্ভিস সেন্টারে ফোন করেও এখন সেটা পাওয়া যাচ্ছে।

এবারের ডিসি সম্মেলনে খাস জমি কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণের ব্যাপারে প্রস্তাবনা এসেছে। এ জন্য ডিসিরা বাজেটও চেয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাজেটটা তাদের দেওয়া হয় কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তবে সচিব সেটা দেখে বুঝে সাপোর্ট দেন। আমাদের কি পরিমাণ খাস জমি তা ল্যান্ড ডেটায় আপডেট হচ্ছে। ল্যান্ড ডেটা ব্যাংকে জমা হচ্ছে। প্রত্যেক জেলার ডিসিকে বলা হয়েছে, তাদের জেলার খাস জমি যেন বেশি করে রিকভার করতে পারেন। কারণ আমাদের খাস জমিগুলো অনেকভাবে বেহাত হয়ে পড়ে আছে।

আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে প্রস্তুত থাকুন

দেশজুড়ে ডিজিটাল ল্যান্ড সার্ভের সবশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সার্ভে যেখানে শুরু করেছি যেখানে হয়নি। যেমন, বরগুনা ও পটুয়াখালী। পটুয়াখালীতে একটা ডিজিটাল সার্ভের জন্য পাইলট প্রজেক্ট করেছি। এর সঙ্গে আমরা আরও দুটি জেলা যুক্ত করেছি। সেগুলো হলো, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ। এসব জেলায় শেষ করার পর আমরা সারাদেশে ডিজিটাল সার্ভের কাজ শুরু করব। সার্টিফিকেট অব ল্যান্ড ওনারশিপ (সিএলও) এর কাজও আমরা করছি। এটা কিন্তু একটা লিগ্যাল ওনারশিপের বিষয়।

ভূমি সংশোধন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন এসিল্যান্ড বা এডিসিরা। এমনকি খাস জমি উদ্ধার করতেও বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। আবার ব্যক্তিগত জমিও খাসের তালিকায় গেছে। এসব বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা এসব নিয়ে কাজ করছি। এসিল্যান্ডরা এখানে আসেন একটা সময়ের জন্য। শুরুতে যারা এসিল্যান্ড হিসেবে আসেন তাদের বুঝতে একটু সময় লাগে। তাদের বোঝার জন্য আমরা ট্রেনিং দিয়ে থাকি। করোনার কারণে সেটা পিছিয়েছে। করোনার কারণে অনেক কিছুই গুটিয়ে নিতে হয়েছিল। আমরা সেটা আবার শুরু করেছি। যারা চৌকশ এসিল্যান্ড তাদের বুঝতে কোনো সমস্যা হয় না।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

পহেলা বৈশাখ থেকে অনলাইনে শতভাগ ভূমিকর: ভূমিমন্ত্রী

আপডেট: ০৬:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আমাদের ভূমিকর এখন অনলাইন করা হয়েছে। তবে বর্তমানে এটা ম্যানুয়ালিও আছে। আমি বলেছি আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতি পুরোপুরি বন্ধ করে দেব। শতভাগ অনলাইন করা হবে ভূমিকর। এটা খুবই স্পষ্ট। ম্যানুয়ালের আর কোনো সুযোগ থাকবে না।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠকটি কার্যকরী ছিল। মাঠে আমরা কীভাবে কাজ করব সে ব্যাপারে অনেক আলোচনা হয়েছে। অনেক আইন সংস্কারের বিষয় উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ক্ষতিপূরণ নিয়ে চলমান মামলা নিষ্পত্তিকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, আইন সংশোধন করা হচ্ছে। আমরা অনেকগুলো আইন হাতে নিয়েছি। বিধিমালাও সংশোধন করা হবে। এই সংসদে হাট-বাজার আইন পাস হয়ে যাবে। ভূমি ব্যবহার আইন, ভূমি প্রতিরোধ আইন এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। দ্রুত এগুলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। এ সংসদ অধিবেশনই আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হয়নি, পরবর্তী সংসদ অধিবেশনই উত্থাপন করা হবে।

ভূমি সংক্রান্ত কাজের বড় অংশ নিয়ে কাজ করে ডাক বিভাগ। ডিসি সম্মেলনে তাদের কোনো নির্দেশনা আছে কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডাক বিভাগের সঙ্গে আমাদের পর্চা নিয়ে একটা চুক্তি হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি, তারা যেন লোকাল যারা পর্চা চায় তাদের ই-মেইল করে বা ডাকযোগে পাঠাতে। সার্ভিস সেন্টারে ফোন করেও এখন সেটা পাওয়া যাচ্ছে।

এবারের ডিসি সম্মেলনে খাস জমি কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণের ব্যাপারে প্রস্তাবনা এসেছে। এ জন্য ডিসিরা বাজেটও চেয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাজেটটা তাদের দেওয়া হয় কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তবে সচিব সেটা দেখে বুঝে সাপোর্ট দেন। আমাদের কি পরিমাণ খাস জমি তা ল্যান্ড ডেটায় আপডেট হচ্ছে। ল্যান্ড ডেটা ব্যাংকে জমা হচ্ছে। প্রত্যেক জেলার ডিসিকে বলা হয়েছে, তাদের জেলার খাস জমি যেন বেশি করে রিকভার করতে পারেন। কারণ আমাদের খাস জমিগুলো অনেকভাবে বেহাত হয়ে পড়ে আছে।

আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে প্রস্তুত থাকুন

দেশজুড়ে ডিজিটাল ল্যান্ড সার্ভের সবশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সার্ভে যেখানে শুরু করেছি যেখানে হয়নি। যেমন, বরগুনা ও পটুয়াখালী। পটুয়াখালীতে একটা ডিজিটাল সার্ভের জন্য পাইলট প্রজেক্ট করেছি। এর সঙ্গে আমরা আরও দুটি জেলা যুক্ত করেছি। সেগুলো হলো, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ। এসব জেলায় শেষ করার পর আমরা সারাদেশে ডিজিটাল সার্ভের কাজ শুরু করব। সার্টিফিকেট অব ল্যান্ড ওনারশিপ (সিএলও) এর কাজও আমরা করছি। এটা কিন্তু একটা লিগ্যাল ওনারশিপের বিষয়।

ভূমি সংশোধন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন এসিল্যান্ড বা এডিসিরা। এমনকি খাস জমি উদ্ধার করতেও বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। আবার ব্যক্তিগত জমিও খাসের তালিকায় গেছে। এসব বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা এসব নিয়ে কাজ করছি। এসিল্যান্ডরা এখানে আসেন একটা সময়ের জন্য। শুরুতে যারা এসিল্যান্ড হিসেবে আসেন তাদের বুঝতে একটু সময় লাগে। তাদের বোঝার জন্য আমরা ট্রেনিং দিয়ে থাকি। করোনার কারণে সেটা পিছিয়েছে। করোনার কারণে অনেক কিছুই গুটিয়ে নিতে হয়েছিল। আমরা সেটা আবার শুরু করেছি। যারা চৌকশ এসিল্যান্ড তাদের বুঝতে কোনো সমস্যা হয় না।

ঢাকা/এসএ