০৫:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পুঁজিবাজারের উন্নতির যাত্রা কেবল শুরু: ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:২৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১
  • / ৪৩৭১ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের ক্যাপিটাল মার্কেটের উন্নতির যাত্রা সবেমাত্র শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, দেশের সার্বিক অগ্রগতির তুলনায় পুঁজিবাজার এখনো অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। সম্প্রতি সরকার তথা কমিশন কর্তৃক গৃহীত নানাবিদ পদক্ষেপের ফলে পুঁজিবাজার ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (০৬ জুন) পুঁজিবাজারে বিগত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। আমি মনে করি, সূচক ও লেনদেনের উর্ধ্বগতির মাধমে সবেমাত্র পুঁজিবাজার উন্নতির পথে যাত্রা শুরু করেছে। যা অব্যাহত থাকলে অচিরেই কাঙ্কিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবে পুঁজিবাজার।

রবিবার (০৬ জুন) বিকেলে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুনুর রশিদ। আর এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির পরিচালক শেখ মো: মাহবুবুর রহমান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজার অনান্য খাতের মতো নয়। এখানে বিনিয়োগে ঝুঁকি অনেক বেশি, ঠিক তেমনিভাবে রিটার্ণও অনেক বেশি। তবে এখান থেকে রিটার্ণ পেতে হলে নিজস্ব বিচার-বিশ্লেষণ থাকা লাগবে। আর সেই বিশ্লেষণ বুঝতে হলে বিনিয়োগ সংক্রান্ত শিক্ষা নিতে হবে। শুধু অন্যের কথায় কিংবা বেশি মুনাফার আশায় লালসায় পরে বিনিয়োগ করা যাবে না।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের শিক্ষিত ও সচেতন করে গড়ে তোলার জন্য এখন বিএসইসি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এসবের মধ্যে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম), বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট (বিএএসএম) সরাসরি কাজ করছে। এছাড়া ডিএসই ও সিএসইসহ সকল অংশী প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসারে কাজ করছে। বিনা খরচে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহীরা এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা সাজাতে পারেন। এরফলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা অনেক কমে আসবে এবং মুনাফা তুলে নেওয়াটা অনেক সহজ হবে।

বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য এখন অনেক ধরনের টুলস যুক্ত করা হচ্ছে। সুকুক বন্ড চালু করা হয়েছে, এসএমই প্লাটফর্ম চালু করা হয়েছে, সেকেন্ডারি মার্কেটে বন্ডের লেনদেন চালু করা হচ্ছে, মিউচুয়াল ফান্ডগুলোকে আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে, ডেরিভেটিভস চালু করা হচ্ছে। এসব কিছুই করা হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের বাজারমুখী করার জন্য। জেনে-বুঝে বিনিয়োগ করলে এসব থেকে মুনাফা তুলে নেওয়া কোনো কঠিন বিষয় নয়।

শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে অনেক সহজ করা হয়েছে। অনলাইনে বিও একাউন্ট করা যাচ্ছে, মোবাইলে ঘরে বসে কিংবা পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বসে শেয়ার কেনা-বেচা করা যাচ্ছে। বিদেশে ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রোকারেজ হাউজের শাখা খোলা হচ্ছে। এখন দরকার শুধু  শিক্ষিত ও সচেতন বিনিয়োগকারী। তাই আমি বলব, প্রশিক্ষিত হয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আসুন। তাহলেই নিজে লাববান হবেন। আর দিনশেষে হাসি মুখে ঘরে ফিরবেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহাবুবুল আলম বলেন, দেশের মানুষকে শিক্ষিত বিনিয়োগকারী হিসেবে গড়ে তুলতে ২০১৭ সালের ৮ই জানুয়ারি ‘বিনিয়োগ শিক্ষা’ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বাজারে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে হলে বিনিয়োগ শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

এসময় তিনি বেশকিছু স্লাইডের মাধ্যমে বিনিয়োগ শিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বিনিয়োগ শিক্ষার মাধ্যমে একজন বিনিয়োগকারী তার হাতে থাকা মূলধনের সঠিক ব্যবহার, সঞ্চয়ের পরিধি, বিনিয়োগের সঠিক ক্ষেত্র সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। তাই অস্বাভাবিক বা ভুল খাতে বিনিয়োগ থেকে নিরাপদ থাকতে বিনিয়োগ শিক্ষা গ্রহন করে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে অনান্যের মধ্যে সিএসইর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন্:

শেয়ার করুন

x
English Version

পুঁজিবাজারের উন্নতির যাত্রা কেবল শুরু: ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ

আপডেট: ০৫:২৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের ক্যাপিটাল মার্কেটের উন্নতির যাত্রা সবেমাত্র শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, দেশের সার্বিক অগ্রগতির তুলনায় পুঁজিবাজার এখনো অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। সম্প্রতি সরকার তথা কমিশন কর্তৃক গৃহীত নানাবিদ পদক্ষেপের ফলে পুঁজিবাজার ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (০৬ জুন) পুঁজিবাজারে বিগত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। আমি মনে করি, সূচক ও লেনদেনের উর্ধ্বগতির মাধমে সবেমাত্র পুঁজিবাজার উন্নতির পথে যাত্রা শুরু করেছে। যা অব্যাহত থাকলে অচিরেই কাঙ্কিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবে পুঁজিবাজার।

রবিবার (০৬ জুন) বিকেলে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুনুর রশিদ। আর এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির পরিচালক শেখ মো: মাহবুবুর রহমান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজার অনান্য খাতের মতো নয়। এখানে বিনিয়োগে ঝুঁকি অনেক বেশি, ঠিক তেমনিভাবে রিটার্ণও অনেক বেশি। তবে এখান থেকে রিটার্ণ পেতে হলে নিজস্ব বিচার-বিশ্লেষণ থাকা লাগবে। আর সেই বিশ্লেষণ বুঝতে হলে বিনিয়োগ সংক্রান্ত শিক্ষা নিতে হবে। শুধু অন্যের কথায় কিংবা বেশি মুনাফার আশায় লালসায় পরে বিনিয়োগ করা যাবে না।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের শিক্ষিত ও সচেতন করে গড়ে তোলার জন্য এখন বিএসইসি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এসবের মধ্যে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম), বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট (বিএএসএম) সরাসরি কাজ করছে। এছাড়া ডিএসই ও সিএসইসহ সকল অংশী প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসারে কাজ করছে। বিনা খরচে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহীরা এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা সাজাতে পারেন। এরফলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা অনেক কমে আসবে এবং মুনাফা তুলে নেওয়াটা অনেক সহজ হবে।

বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য এখন অনেক ধরনের টুলস যুক্ত করা হচ্ছে। সুকুক বন্ড চালু করা হয়েছে, এসএমই প্লাটফর্ম চালু করা হয়েছে, সেকেন্ডারি মার্কেটে বন্ডের লেনদেন চালু করা হচ্ছে, মিউচুয়াল ফান্ডগুলোকে আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে, ডেরিভেটিভস চালু করা হচ্ছে। এসব কিছুই করা হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের বাজারমুখী করার জন্য। জেনে-বুঝে বিনিয়োগ করলে এসব থেকে মুনাফা তুলে নেওয়া কোনো কঠিন বিষয় নয়।

শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে অনেক সহজ করা হয়েছে। অনলাইনে বিও একাউন্ট করা যাচ্ছে, মোবাইলে ঘরে বসে কিংবা পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বসে শেয়ার কেনা-বেচা করা যাচ্ছে। বিদেশে ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রোকারেজ হাউজের শাখা খোলা হচ্ছে। এখন দরকার শুধু  শিক্ষিত ও সচেতন বিনিয়োগকারী। তাই আমি বলব, প্রশিক্ষিত হয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আসুন। তাহলেই নিজে লাববান হবেন। আর দিনশেষে হাসি মুখে ঘরে ফিরবেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহাবুবুল আলম বলেন, দেশের মানুষকে শিক্ষিত বিনিয়োগকারী হিসেবে গড়ে তুলতে ২০১৭ সালের ৮ই জানুয়ারি ‘বিনিয়োগ শিক্ষা’ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বাজারে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে হলে বিনিয়োগ শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

এসময় তিনি বেশকিছু স্লাইডের মাধ্যমে বিনিয়োগ শিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বিনিয়োগ শিক্ষার মাধ্যমে একজন বিনিয়োগকারী তার হাতে থাকা মূলধনের সঠিক ব্যবহার, সঞ্চয়ের পরিধি, বিনিয়োগের সঠিক ক্ষেত্র সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। তাই অস্বাভাবিক বা ভুল খাতে বিনিয়োগ থেকে নিরাপদ থাকতে বিনিয়োগ শিক্ষা গ্রহন করে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে অনান্যের মধ্যে সিএসইর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন্: