০১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আকৃষ্টে ১৯টি ডিজিটাল বুথের অনুমোদন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১
  • / ৪৫৮৯ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের পরিধি বাড়ানো ও বিনিয়োগ আকৃষ্টে দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে ‘ডিজিটাল বুথ’ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।  তারই ধারাহিকতায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, সক্ষমতা যাচাই সাপেক্ষে দেশে ও বিদেশে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত ৭টি ব্রোকারেজ হাউজকে এ পর্যন্ত মোট ১৯টি ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিদেশে ২টি ও দেশের অভ্যন্তরে ১৭টি ডিজিটাল বুথ রয়েছে বলে বিএসইসি জানিয়েছে।

ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন পাওয়া ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো— ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, বি রিচ, কবির সিকিউরিটিজ, রয়েল ক্যাপিটাল ও গ্রিন ডেলটা সিকিউরিটিজ।

বিএসইসি ও বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, ডিজিটাল বুথ খোলার ফলে স্থানীয়, প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়বে।শেয়ারবাজার সম্পর্কে তৃণমূলের মানুষ জানবে। সেই সঙ্গে এই খাতে বিনিয়োগেও মানুষ উৎসাহিত হবে। এছাড়া দেশের শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি নিবাসী ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বাড়লে শেয়ারবাজার আরও উন্নত হবে।

অনুমোদন পাওয়া ডিজিটাল বুথগুলোর মধ্যে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ ৮টি, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ ৩টি, বি রিচ ৩টি, কবির সিকিউরিটিজ ২টি, রয়েল ক্যাপিটাল ১টি, গ্রিনডেল্টা সিকিউরিটিজ ১টি ও পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ ১টি ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমতি পেয়েছে। অনুমোদন পাওয়া এসব ডিজিটাল বুথগুলোর মধ্যে চালু হয়েছে ১০টি। বাকিগুলো চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন পেয়েছে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ। প্রতিষ্ঠানটি ভোলা, রাঙামাটি, সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, ফটিকছড়ি ও কক্সবাজারে ডিজিটাল বুথ খুলবে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ ও বি রিচ। প্রতিষ্ঠান দু’টি ৩টি করে বুথ খোলার অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ দেশের অভ্যন্তরে বরিশাল ও খুলনায় এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে এ বুথ খোলার অনুমোদন পেয়েছে। আর বি রিচ চট্টগ্রামের সন্দীপ, নোয়াখালীর সুন্দরপুর ও সিলেটের দক্ষিণ ধোপার দিঘীর পাড়ে ডিজিটাল বুথ খুলবে।

এছাড়া, কবির সিকিউরিটিজ চট্টগ্রামের নাজির হাট ও খাতুগঞ্জে; রয়েল ক্যাপিটাল কক্সবাজারের ঝিলংজায়, গ্রিনডেল্টা সিকিউরিটিজ ঢাকার ধানমন্ডিতে এবং পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ কানাডার করেনটোতে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন পেয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘ভোলা, রাঙামাটি, ফটিকছড়ি ও কক্সবাজারে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের আওতাভুক্ত ডিজিটাল বুথ আমরা চালু করেছি। এসব এলাকায় ডিজিটাল বুথ হওয়ার ফলে নতুন নতুন বিনিয়োগকারী বাড়ছে। আর সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ ও সিরাজঞ্জের উল্লাপাড়ায় শিগগিরই ডিজিটাল বুথ চালু করা হবে। এছাড়া লক্ষীপুর, ঝিনাইদহ ও সিরাজগঞ্জ সদরে ডিজিটাল বুথ খোলার জন্য আবেদন করেছি। এখনও তার অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তবে ডিজিটাল বুথ অনুমোদন দেওয়ার পাশাপাশি শেয়ারবাজার সম্পর্কে ধারনা দিতে সারা দেশজুড়ে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে প্রচার করা জরুরি।’

বি রিচের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী রফিকুল হাসান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘অনুমোদন পাওয়া ৩টি ডিজিটাল বুথই আমদের চালু রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বুথগুলোতে এসে ঘুরে যাচ্ছেন। অনেকেই এরই মধ্যে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। আইপিও সমবন্টনের নতুন নীতিমালার কারণে অনেকেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আশা করছি লকডাউন শেষ হলে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আরো বাড়বে।’

কবির সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএসইসির কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরপরই আমরা চট্টগ্রামে ডিজিটাল বুথ করেছি। বুথ খোলার পর থেকে বিনিয়োগকারীদের ভালো সাড়া পেয়েছি। আশা করছি ভবিষ্যতে ডিজিটাল বুথের সহায়তায় বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আরো আগ্রহী হবেন।’

রয়েল ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মুনির আহমেদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা এখন ডিজিটাল বুথ চালু করিনি। আশা করছি চলতি বছরে আগস্ট মাসের মধ্যে চালু করা হবে।’

গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত ডিজিটাল বুথ খোলার নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতিক্রমে যেকোনো স্টক ব্রোকার ডিজিটাল বুথের জন্য কমিশনে আবেদন করতে পারবে। সিটি করপোরেশনের মধ্যে, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও দেশের বাইরেও ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা যাবে। ওই বুথ স্টক ব্রোকারের প্রধান অফিস দ্ধারা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো ধরনের তৃতীয়পক্ষ দ্ধারা পরিচালনা করা যাবে না।

ডিজিটাল বুথ পরিচালনার জন্য স্টক ব্রোকারের প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক সক্ষমতা ও জনবল থাকতে হবে। দেশের ভেতরে প্রতিটি বুথ খোলার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। দেশের বাইরে খুলতে হলে জমা দিতে হবে ১০ লাখ টাকা। বুথ চালু করতে চাওয়া ব্রোকার হাউজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট থাকতে হবে। এছাড়া, প্রতিটি বুথে কাস্টমার সার্ভিসের জন্য একটি ফোন নম্বর, নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক সুবিধা, কমপক্ষে একজন অনুমোদিত প্রতিনিধি, ভার্চুয়াল ট্রেডিং মনিটর বা ডিসপ্লে­ টিকার ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থা থাকতে হবে। আর বুথের সামনে সাইনবোর্ড থাকবে, যেখানে স্টক ব্রোকারের নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, লোকাল এড্রেসের বিস্তারিত তথ্য, যোগাযোগ নম্বর ও মেইল এড্রেস থাকবে। বিদেশে বুথ খোলার সেক্ষেত্রে ব্রোকারকে নন-জুডিশিয়াল ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অমীমাংসিত দাবি, বৈধ দাবি বা অপরিশোধিত দাবির ক্ষেত্রে তারা এককভাবে দায়বদ্ধ থাকবে বলে লিখিত দিতে হবে। ব্রোকার হাউজের পর্ষদ মনোনীত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা যেকোনো শীর্ষ কর্মকর্তা বা পরিচালকের স্বাক্ষর সেই স্ট‌্যাম্পে থাকতে হবে।

এছাড়া প্রতিটি বুথে অ্যাকাউন্ট খোলা ও বন্ধ, ট্রেডিং, ইত্যাদি সীমাবদ্ধ হবে। যেখানে একজন গ্রাহক প্রতিদিন গ্রামীণ এলাকায় নগদে ২ লাখ টাকা এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে ৮.৭৫ লাখ লেনদেন করতে পারবেন। বুথ থেকে গুজব ছাড়ানো প্রতিরোধে ব্রোকার হাউজ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আঞ্চলিক পর্যায়ে বুথের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করার আগে এক বা একাধিক বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম করতে হবে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আকৃষ্টে ১৯টি ডিজিটাল বুথের অনুমোদন

আপডেট: ০২:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের পরিধি বাড়ানো ও বিনিয়োগ আকৃষ্টে দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে ‘ডিজিটাল বুথ’ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।  তারই ধারাহিকতায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, সক্ষমতা যাচাই সাপেক্ষে দেশে ও বিদেশে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত ৭টি ব্রোকারেজ হাউজকে এ পর্যন্ত মোট ১৯টি ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিদেশে ২টি ও দেশের অভ্যন্তরে ১৭টি ডিজিটাল বুথ রয়েছে বলে বিএসইসি জানিয়েছে।

ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন পাওয়া ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো— ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, বি রিচ, কবির সিকিউরিটিজ, রয়েল ক্যাপিটাল ও গ্রিন ডেলটা সিকিউরিটিজ।

বিএসইসি ও বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, ডিজিটাল বুথ খোলার ফলে স্থানীয়, প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়বে।শেয়ারবাজার সম্পর্কে তৃণমূলের মানুষ জানবে। সেই সঙ্গে এই খাতে বিনিয়োগেও মানুষ উৎসাহিত হবে। এছাড়া দেশের শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি নিবাসী ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বাড়লে শেয়ারবাজার আরও উন্নত হবে।

অনুমোদন পাওয়া ডিজিটাল বুথগুলোর মধ্যে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ ৮টি, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ ৩টি, বি রিচ ৩টি, কবির সিকিউরিটিজ ২টি, রয়েল ক্যাপিটাল ১টি, গ্রিনডেল্টা সিকিউরিটিজ ১টি ও পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ ১টি ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমতি পেয়েছে। অনুমোদন পাওয়া এসব ডিজিটাল বুথগুলোর মধ্যে চালু হয়েছে ১০টি। বাকিগুলো চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন পেয়েছে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ। প্রতিষ্ঠানটি ভোলা, রাঙামাটি, সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, ফটিকছড়ি ও কক্সবাজারে ডিজিটাল বুথ খুলবে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ ও বি রিচ। প্রতিষ্ঠান দু’টি ৩টি করে বুথ খোলার অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ দেশের অভ্যন্তরে বরিশাল ও খুলনায় এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে এ বুথ খোলার অনুমোদন পেয়েছে। আর বি রিচ চট্টগ্রামের সন্দীপ, নোয়াখালীর সুন্দরপুর ও সিলেটের দক্ষিণ ধোপার দিঘীর পাড়ে ডিজিটাল বুথ খুলবে।

এছাড়া, কবির সিকিউরিটিজ চট্টগ্রামের নাজির হাট ও খাতুগঞ্জে; রয়েল ক্যাপিটাল কক্সবাজারের ঝিলংজায়, গ্রিনডেল্টা সিকিউরিটিজ ঢাকার ধানমন্ডিতে এবং পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ কানাডার করেনটোতে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন পেয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘ভোলা, রাঙামাটি, ফটিকছড়ি ও কক্সবাজারে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের আওতাভুক্ত ডিজিটাল বুথ আমরা চালু করেছি। এসব এলাকায় ডিজিটাল বুথ হওয়ার ফলে নতুন নতুন বিনিয়োগকারী বাড়ছে। আর সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ ও সিরাজঞ্জের উল্লাপাড়ায় শিগগিরই ডিজিটাল বুথ চালু করা হবে। এছাড়া লক্ষীপুর, ঝিনাইদহ ও সিরাজগঞ্জ সদরে ডিজিটাল বুথ খোলার জন্য আবেদন করেছি। এখনও তার অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তবে ডিজিটাল বুথ অনুমোদন দেওয়ার পাশাপাশি শেয়ারবাজার সম্পর্কে ধারনা দিতে সারা দেশজুড়ে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে প্রচার করা জরুরি।’

বি রিচের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী রফিকুল হাসান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘অনুমোদন পাওয়া ৩টি ডিজিটাল বুথই আমদের চালু রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বুথগুলোতে এসে ঘুরে যাচ্ছেন। অনেকেই এরই মধ্যে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। আইপিও সমবন্টনের নতুন নীতিমালার কারণে অনেকেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আশা করছি লকডাউন শেষ হলে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আরো বাড়বে।’

কবির সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএসইসির কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরপরই আমরা চট্টগ্রামে ডিজিটাল বুথ করেছি। বুথ খোলার পর থেকে বিনিয়োগকারীদের ভালো সাড়া পেয়েছি। আশা করছি ভবিষ্যতে ডিজিটাল বুথের সহায়তায় বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আরো আগ্রহী হবেন।’

রয়েল ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মুনির আহমেদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা এখন ডিজিটাল বুথ চালু করিনি। আশা করছি চলতি বছরে আগস্ট মাসের মধ্যে চালু করা হবে।’

গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত ডিজিটাল বুথ খোলার নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতিক্রমে যেকোনো স্টক ব্রোকার ডিজিটাল বুথের জন্য কমিশনে আবেদন করতে পারবে। সিটি করপোরেশনের মধ্যে, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও দেশের বাইরেও ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা যাবে। ওই বুথ স্টক ব্রোকারের প্রধান অফিস দ্ধারা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো ধরনের তৃতীয়পক্ষ দ্ধারা পরিচালনা করা যাবে না।

ডিজিটাল বুথ পরিচালনার জন্য স্টক ব্রোকারের প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক সক্ষমতা ও জনবল থাকতে হবে। দেশের ভেতরে প্রতিটি বুথ খোলার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। দেশের বাইরে খুলতে হলে জমা দিতে হবে ১০ লাখ টাকা। বুথ চালু করতে চাওয়া ব্রোকার হাউজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট থাকতে হবে। এছাড়া, প্রতিটি বুথে কাস্টমার সার্ভিসের জন্য একটি ফোন নম্বর, নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক সুবিধা, কমপক্ষে একজন অনুমোদিত প্রতিনিধি, ভার্চুয়াল ট্রেডিং মনিটর বা ডিসপ্লে­ টিকার ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থা থাকতে হবে। আর বুথের সামনে সাইনবোর্ড থাকবে, যেখানে স্টক ব্রোকারের নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, লোকাল এড্রেসের বিস্তারিত তথ্য, যোগাযোগ নম্বর ও মেইল এড্রেস থাকবে। বিদেশে বুথ খোলার সেক্ষেত্রে ব্রোকারকে নন-জুডিশিয়াল ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অমীমাংসিত দাবি, বৈধ দাবি বা অপরিশোধিত দাবির ক্ষেত্রে তারা এককভাবে দায়বদ্ধ থাকবে বলে লিখিত দিতে হবে। ব্রোকার হাউজের পর্ষদ মনোনীত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা যেকোনো শীর্ষ কর্মকর্তা বা পরিচালকের স্বাক্ষর সেই স্ট‌্যাম্পে থাকতে হবে।

এছাড়া প্রতিটি বুথে অ্যাকাউন্ট খোলা ও বন্ধ, ট্রেডিং, ইত্যাদি সীমাবদ্ধ হবে। যেখানে একজন গ্রাহক প্রতিদিন গ্রামীণ এলাকায় নগদে ২ লাখ টাকা এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে ৮.৭৫ লাখ লেনদেন করতে পারবেন। বুথ থেকে গুজব ছাড়ানো প্রতিরোধে ব্রোকার হাউজ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আঞ্চলিক পর্যায়ে বুথের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করার আগে এক বা একাধিক বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম করতে হবে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: