পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে পৌনে দুই হাজার কোটি টাকা
- আপডেট: ০৮:১৬:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২
- / ৪১৭৪ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (০২-০৬ অক্টোবর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় পৌনে দুই হাজার কোটি টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে চার কর্মদিবসের তিন কর্মদিবসে ডিএসই মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর সূচক বাড়লেও টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও একই চিত্রে লেনদেন লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সরকারি ছুটির কারণে গত বুধবার (৫ অক্টোবর) লেনদেন বন্ধ থাকায় বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে মোট চার কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এ চার দিনের মধ্যে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস উত্থানের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। এরপরের দিন সোমবার সূচক পতন হয়েছে। তবে তারপর দুই কর্মদিবসে উত্থানের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে।
গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২১ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকায়। যেখানে সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ১৯ হাজার ৯১৪ কোটি টাকায়। সে হিসাবে আলোচ্য সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা বা দশমিক ৩৪ শতাংশ।
ডিএসইতে গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে ৫ হাজার ২৭৮ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৭ হাজার ৩০৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে সাপ্তাহিক লেনদেন কমেছে ২ হাজার ২৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কম বা ২৭ দশমিক শূন্য ৭৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ১ হাজার ৩১৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে- ওরিয়ন ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, ইস্টার্ন হাউজিং, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম জেএমআই হসপিটাল, বিবিএস ক্যাবলস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ার।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে। সূচকটির বর্তমান অবস্থান ৬ হাজার ৫৬৯ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ৫১২ পয়েন্টে।
ডিএসইর অন্য সূচকের মধ্যে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৩১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৩৩০ পয়েন্টে।
ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৪৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৪১৯ পয়েন্টে।
ওই সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট ৩৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৯৪টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ১৯২টির।
একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। বিদায়ী সপ্তাহে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৮৯ কোটি ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৪২৫ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫৩৪ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪৪৪ কোটি ৯৬ লাখ ৭৯ হাজার ২৩১ টাকা কমেছে।
সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪৩.৩২ পয়েন্ট বা ০.৭৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৩৩২.৬০ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৮৬.৮৪ পয়েন্ট বা ০.৭৫ শতাংশ, ডিএসই-৫০ সূচক ১৫.১০ পয়েন্ট বা ১.০৯ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ২১.৬১ পয়েন্ট বা ১.৭৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ৫৮৯.১৭ পয়েন্টে, এক হাজার ৪০৩.৬১ পয়েন্টে এবং এক হাজার ২৫৫.৬৮ পয়েন্টে। তবে সিএসই-৩০ সূচক ৮.৯২ পয়েন্ট বা ০.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪৬৪.৩৫ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩০৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৮৭টির বা ২৮.৩৪ শতাংশের দর বেড়েছে, ৭৮টির বা ২৫.৪১ শতাংশের কমেছে এবং ১৪২টির বা ৪৬.২৫ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন শুরু ১০ অক্টোবর
ঢাকা/টিএ