০২:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পুঞ্জীভূত লোকসানি কোম্পানির ৪০ শতাংশ ডিভিডেন্ড: খতিয়ে দেখার দাবি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:০৩:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৪৭২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেমিনি সি ফুড ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ ক্যাশ এবং ৩০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড। এছাড়া আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৪৯ পয়সা, যা আগের বছর ছিল শেয়ার প্রতি ৭২ পয়সা।

এছাড়া শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ০১ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। অথচ ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূলধনের এ কোম্পানিটি পুঞ্জীভূত লোকসানে রয়েছে। আর এ কারণে অস্বাভাবিক আয়ের পাশাপাশি বিশাল অঙ্কের স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষনার বিষয়টি অসঙ্গতিপূর্ণ এবং সন্দেহজনক বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তাদের মতে, স্বল্পমূলধনী এ কোম্পানিটি এমনিতেই পূঞ্জীভুত লোকসানে রয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ ৯ মাসের হিসেবেও যার ইপিএস ছিল ৫ টাকা ১৬ পয়সা, হঠাৎ করে কি এমন হলো যে শেষের তিন মাসে কোম্পানিটির ইপিএস ৭ টাকারও বেশি বেড়ে গেল! এছাড়া ৪০ শতাংশ ডিভিডেন্ডের মধ্যে ৩০ শতাংশই স্টক ডিভিডেন্ড। কাজেই কোম্পানিটি স্টক ডিভিডেন্ডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাগজ ধরিয়ে দিচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখার দাবি জানান তারা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানিই সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য স্টক ডিভিডেন্ড প্রদান করে। এতে শেয়ার সংখ্যা বাড়লেও থিওরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের কারণে শেয়ার দর কমে যায়। পরিণতিতে কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের মুনাফার হাড়ি বোঝাই হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। কারণ হিসেবে তারা বলেন, আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা স্বল্প সময়ে মুনাফা লাভের উদ্দেশে বিনিয়োগ করে থাকেন।

ডিএসই’র তথ্য বিশ্লেষনে দেখা যায়, কোম্পানির চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের আয়ে এক ভুতুড়ে হিসাব দেখা যায়। কোম্পানি হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ার প্রতি ৫ টাকার বেশি আয় করলেও তৃতীয় প্রান্তিকে আয় করেছে মাত্র ৪ পয়সা। এদিকে ৯ মাসের ব্যবধানে এনএভি বেড়েছে ৫১৯ শতাংশের বেশি। কোম্পানিটির আয়ে এবং আর্থিক প্রতিবেদন এমন গরমিলে হিসাবকে ‘ভুতুড়ে’ হিসাব বলছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে কোম্পানিটির শেয়ার ও লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, বর্তমানে কোম্পানির শেয়ার দর দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। গত বছরে ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর কোম্পানির শেয়ার ১৪৪ টাকা ৩০ পয়সায় বেশ কিছুদিন অবস্থান করে। এরপর ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হলে শেয়ারটির দর ৭ জুন ১৪১ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে আসে এবং পরের দিন থেকে বাড়তে শুরু করে। এতে ৯ জুন শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। এরপর উত্থান-পতনের মাধ্যমে শেয়ারটির দর প্রথমে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ ৫২৮ টাকার উপরে উঠানো হয়। এরপর শেয়ার দর কমতে থাকে। সবশেষ আজ বুধবার দুই বছরের মধ্যে শেয়ার দর সর্বোচ্চ অবস্থানে ওঠে আসে।  আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির দর দাঁড়ায় ৫৯৩ টাকা ৪০ পয়সা।

আরও পড়ুন: জেমিনি সি ফুডের ডিভিডেন্ড ঘোষণা

অপরদিকে লেনদেন চিত্রে দেখা যায়, গত বছরের মে মাসের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন ছিল কয়েকশ এর ঘরে, কিন্তু ২৪ মে এর পর থেকে শেয়ারটির লেনদেন বাড়তে শুরু করে। পরের দিন শেয়ারের লেনদেন হয় ১০ হাজারের বেশি এবং পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে শেয়ার লেনদেন বৃদ্ধি পায়। এতে ২০২১ সালের অক্টোবরের ১১ তারিখ ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪০৩টি শেয়ার লেনদেন হয় এবং চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শেয়ারটির লেনদেন আবার তলানিতে নেমে যায়। এর ফলে গত ১৯ জুলাই শেয়ারটির মাত্র ৭ হাজার ৭৮৭টি শেয়ার লেনদেন হয়। 

পরে লেনদেন বাড়তে শুরু করে। ফলশ্রুতিতে ১৭ অক্টোবর শেয়ারটির লেনদেনে হয় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬১টি। কিন্তু আজ শেয়ারটির লেনদেন কমে হয় ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৮৭টি।

আরও পড়ুন: ৪৯ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা

এদিকে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে দেখা যায়, ২০২০-২১ হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) ছিল ৭২ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ৯৩ পয়সা। কিন্তু ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে এসে কোম্পানটি ইপিএস দেখায় ৫ টাকা ১২ পয়সা, এর মধ্যে প্রথম তিন মাসে ১ টাকা ৫৬ পয়সা ও পরের তিন মাসে ৩ টাকা ৫১ পয়সা ছিল। কিন্তু পরের তিন মাসে এসে কোম্পানিটি ইপিএস দেখায় ৪ পয়সা। তবে ৯ মাসের ব্যবধানে আবার এনএভি ৫১৯ শতাংশের বেশি হিসাবে দেখানো হয়েছে ৫ টাকা ৭৬ পয়সা।

সর্বশেষ আজ কোম্পানিটির বোর্ড সভায় কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৪৯ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) ৩০ টাকা ০১ পয়সা ঘোষণা করা হয়েছে। যা পুরোটাই সন্দেহজনক। এমন শেয়ার কারসাজির যোগসাজশ বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অপরদিকে কোম্পানিটির বিগত আর্থিক হিসাবে দেখা গেছে, ২০২০ সালে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৯ টাকা ৮৩ পয়সা। এর আগের ২০১৮ ও ২০১৯ হিসাব বছরে যথাক্রমে ইপিএস হয়েছে মাত্র ৭০ ও ৩৭ পয়সা। আর ২০২০ সালে এনএভি ছিল মাত্র ২১ পয়সা।

আরও পড়ুন: ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে ৩২ কোম্পানি

প্রসঙ্গত, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে কোম্পানিটির কাছে এ বছরের ৬ সেপ্টেম্বর শেয়ার দর ও লেনদেন বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চায়। তখন কোম্পানি অস্বাভাবিক শেয়ার দর ও লেনদেন বৃদ্ধির পেছনে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে ডিএসইকে জানায়।

ঢাকা/এসআর

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

পুঞ্জীভূত লোকসানি কোম্পানির ৪০ শতাংশ ডিভিডেন্ড: খতিয়ে দেখার দাবি

আপডেট: ০৯:০৩:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেমিনি সি ফুড ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ ক্যাশ এবং ৩০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড। এছাড়া আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৪৯ পয়সা, যা আগের বছর ছিল শেয়ার প্রতি ৭২ পয়সা।

এছাড়া শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ০১ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। অথচ ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূলধনের এ কোম্পানিটি পুঞ্জীভূত লোকসানে রয়েছে। আর এ কারণে অস্বাভাবিক আয়ের পাশাপাশি বিশাল অঙ্কের স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষনার বিষয়টি অসঙ্গতিপূর্ণ এবং সন্দেহজনক বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তাদের মতে, স্বল্পমূলধনী এ কোম্পানিটি এমনিতেই পূঞ্জীভুত লোকসানে রয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ ৯ মাসের হিসেবেও যার ইপিএস ছিল ৫ টাকা ১৬ পয়সা, হঠাৎ করে কি এমন হলো যে শেষের তিন মাসে কোম্পানিটির ইপিএস ৭ টাকারও বেশি বেড়ে গেল! এছাড়া ৪০ শতাংশ ডিভিডেন্ডের মধ্যে ৩০ শতাংশই স্টক ডিভিডেন্ড। কাজেই কোম্পানিটি স্টক ডিভিডেন্ডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাগজ ধরিয়ে দিচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখার দাবি জানান তারা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানিই সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য স্টক ডিভিডেন্ড প্রদান করে। এতে শেয়ার সংখ্যা বাড়লেও থিওরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের কারণে শেয়ার দর কমে যায়। পরিণতিতে কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের মুনাফার হাড়ি বোঝাই হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। কারণ হিসেবে তারা বলেন, আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা স্বল্প সময়ে মুনাফা লাভের উদ্দেশে বিনিয়োগ করে থাকেন।

ডিএসই’র তথ্য বিশ্লেষনে দেখা যায়, কোম্পানির চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের আয়ে এক ভুতুড়ে হিসাব দেখা যায়। কোম্পানি হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ার প্রতি ৫ টাকার বেশি আয় করলেও তৃতীয় প্রান্তিকে আয় করেছে মাত্র ৪ পয়সা। এদিকে ৯ মাসের ব্যবধানে এনএভি বেড়েছে ৫১৯ শতাংশের বেশি। কোম্পানিটির আয়ে এবং আর্থিক প্রতিবেদন এমন গরমিলে হিসাবকে ‘ভুতুড়ে’ হিসাব বলছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে কোম্পানিটির শেয়ার ও লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, বর্তমানে কোম্পানির শেয়ার দর দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। গত বছরে ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর কোম্পানির শেয়ার ১৪৪ টাকা ৩০ পয়সায় বেশ কিছুদিন অবস্থান করে। এরপর ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হলে শেয়ারটির দর ৭ জুন ১৪১ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে আসে এবং পরের দিন থেকে বাড়তে শুরু করে। এতে ৯ জুন শেয়ার দর বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। এরপর উত্থান-পতনের মাধ্যমে শেয়ারটির দর প্রথমে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ ৫২৮ টাকার উপরে উঠানো হয়। এরপর শেয়ার দর কমতে থাকে। সবশেষ আজ বুধবার দুই বছরের মধ্যে শেয়ার দর সর্বোচ্চ অবস্থানে ওঠে আসে।  আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির দর দাঁড়ায় ৫৯৩ টাকা ৪০ পয়সা।

আরও পড়ুন: জেমিনি সি ফুডের ডিভিডেন্ড ঘোষণা

অপরদিকে লেনদেন চিত্রে দেখা যায়, গত বছরের মে মাসের শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন ছিল কয়েকশ এর ঘরে, কিন্তু ২৪ মে এর পর থেকে শেয়ারটির লেনদেন বাড়তে শুরু করে। পরের দিন শেয়ারের লেনদেন হয় ১০ হাজারের বেশি এবং পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে শেয়ার লেনদেন বৃদ্ধি পায়। এতে ২০২১ সালের অক্টোবরের ১১ তারিখ ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪০৩টি শেয়ার লেনদেন হয় এবং চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শেয়ারটির লেনদেন আবার তলানিতে নেমে যায়। এর ফলে গত ১৯ জুলাই শেয়ারটির মাত্র ৭ হাজার ৭৮৭টি শেয়ার লেনদেন হয়। 

পরে লেনদেন বাড়তে শুরু করে। ফলশ্রুতিতে ১৭ অক্টোবর শেয়ারটির লেনদেনে হয় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬১টি। কিন্তু আজ শেয়ারটির লেনদেন কমে হয় ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৮৭টি।

আরও পড়ুন: ৪৯ কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা

এদিকে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে দেখা যায়, ২০২০-২১ হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) ছিল ৭২ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ৯৩ পয়সা। কিন্তু ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে এসে কোম্পানটি ইপিএস দেখায় ৫ টাকা ১২ পয়সা, এর মধ্যে প্রথম তিন মাসে ১ টাকা ৫৬ পয়সা ও পরের তিন মাসে ৩ টাকা ৫১ পয়সা ছিল। কিন্তু পরের তিন মাসে এসে কোম্পানিটি ইপিএস দেখায় ৪ পয়সা। তবে ৯ মাসের ব্যবধানে আবার এনএভি ৫১৯ শতাংশের বেশি হিসাবে দেখানো হয়েছে ৫ টাকা ৭৬ পয়সা।

সর্বশেষ আজ কোম্পানিটির বোর্ড সভায় কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৪৯ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) ৩০ টাকা ০১ পয়সা ঘোষণা করা হয়েছে। যা পুরোটাই সন্দেহজনক। এমন শেয়ার কারসাজির যোগসাজশ বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অপরদিকে কোম্পানিটির বিগত আর্থিক হিসাবে দেখা গেছে, ২০২০ সালে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৯ টাকা ৮৩ পয়সা। এর আগের ২০১৮ ও ২০১৯ হিসাব বছরে যথাক্রমে ইপিএস হয়েছে মাত্র ৭০ ও ৩৭ পয়সা। আর ২০২০ সালে এনএভি ছিল মাত্র ২১ পয়সা।

আরও পড়ুন: ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে ৩২ কোম্পানি

প্রসঙ্গত, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে কোম্পানিটির কাছে এ বছরের ৬ সেপ্টেম্বর শেয়ার দর ও লেনদেন বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চায়। তখন কোম্পানি অস্বাভাবিক শেয়ার দর ও লেনদেন বৃদ্ধির পেছনে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে ডিএসইকে জানায়।

ঢাকা/এসআর