১১:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পুরো দৃশ্যমান স্বপ্নের পদ্মা সেতু

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০২:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১৫৫ বার দেখা হয়েছে

পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণের ৫ বছর পূর্তির দুই দিন আগে খুঁটির ওপর বসল সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান। এর মধ্য দিয়ে সেতুর মূল অবকাঠামো শতভাগ দৃশ্যমান হলো। বাস্তবে ধরা দিল স্বপ্ন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাওয়া প্রান্তে ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর সর্বশেষ ৪১তম স্প্যানটি বসানো হয়। ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ স্প্যানটি স্থাপিত হওয়ার মধ্য দিয়ে মিলিত হলো প্রমত্ত পদ্মার দুই তীর। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯ জেলার সঙ্গে সারা দেশের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হওয়ার পথও উন্মুক্ত হওয়ার পথে।

এর আগে বাংলাদেশ ও চীনের পতাকায় সজ্জিত স্প্যানটি কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের স্টক জেটি থেকে ক্রেনবাহী জাহাজ ‘তিয়ান-ই’তে করে নেওয়া হয় দুই পিলারের কাছে।

২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রায় সাত বছর কাজ এগোয়নি। স্থান নির্ধারণের পর অর্থায়ন জটিলতায় যায় আরও পাঁচ বছর। কথিত দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর সেতু অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হয়।

ঠিক পাঁচ বছর পর সবক’টি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হলো। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান বসেছিল। সেবার বড় আয়োজন থাকলেও করোনার কারণে শেষ স্প্যান বসানোর কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই। শুধু সেতুর কর্মীরা রয়েছেন।

৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার দ্বিতল পদ্মা সেতুর ওপরের ডেকে চলবে গাড়ি, নিচের ডেকে ট্রেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্য থাকলেও নানা প্রতিবন্ধকতায় তা হয়নি। দুই দফা সময় বেড়েছে। নতুন লক্ষ্য আগামী জুনে কাজ শেষ করা। কিন্তু করোনা ও বন্যার কারণে তা হচ্ছে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময় চেয়েছে। তবে সেতু কর্তৃপক্ষ আশাবাদী ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হবে।

শেয়ার করুন

x
English Version

পুরো দৃশ্যমান স্বপ্নের পদ্মা সেতু

আপডেট: ১১:০২:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০

পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণের ৫ বছর পূর্তির দুই দিন আগে খুঁটির ওপর বসল সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান। এর মধ্য দিয়ে সেতুর মূল অবকাঠামো শতভাগ দৃশ্যমান হলো। বাস্তবে ধরা দিল স্বপ্ন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাওয়া প্রান্তে ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর সর্বশেষ ৪১তম স্প্যানটি বসানো হয়। ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ স্প্যানটি স্থাপিত হওয়ার মধ্য দিয়ে মিলিত হলো প্রমত্ত পদ্মার দুই তীর। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯ জেলার সঙ্গে সারা দেশের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হওয়ার পথও উন্মুক্ত হওয়ার পথে।

এর আগে বাংলাদেশ ও চীনের পতাকায় সজ্জিত স্প্যানটি কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের স্টক জেটি থেকে ক্রেনবাহী জাহাজ ‘তিয়ান-ই’তে করে নেওয়া হয় দুই পিলারের কাছে।

২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রায় সাত বছর কাজ এগোয়নি। স্থান নির্ধারণের পর অর্থায়ন জটিলতায় যায় আরও পাঁচ বছর। কথিত দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর সেতু অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হয়।

ঠিক পাঁচ বছর পর সবক’টি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হলো। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান বসেছিল। সেবার বড় আয়োজন থাকলেও করোনার কারণে শেষ স্প্যান বসানোর কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই। শুধু সেতুর কর্মীরা রয়েছেন।

৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার দ্বিতল পদ্মা সেতুর ওপরের ডেকে চলবে গাড়ি, নিচের ডেকে ট্রেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্য থাকলেও নানা প্রতিবন্ধকতায় তা হয়নি। দুই দফা সময় বেড়েছে। নতুন লক্ষ্য আগামী জুনে কাজ শেষ করা। কিন্তু করোনা ও বন্যার কারণে তা হচ্ছে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময় চেয়েছে। তবে সেতু কর্তৃপক্ষ আশাবাদী ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হবে।