০২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
জুলাইয়ের পর যোগদানকারীরা যুক্ত হবেন সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায়

পেনশন পাবেন না রাষ্ট্রায়ত্ব-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০২:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৪৩৪ বার দেখা হয়েছে

স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থার চাকরিতে আগামী জুলাই মাসের পরে যোগদান করা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় যুক্ত হবেন। এ ব্যবস্থার মাধ্যমেই তাদের পেনশন নির্ধারিত হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩-এর ১৪ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং এদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তারা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, আগামী ১ জুলাই বা পরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান করবেন তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করা হলো।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের আগস্টে চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় চারটি পৃথক স্কিম চালু রয়েছে। এর মধ্যে ‘প্রবাস’ স্কিমটি প্রবাসীদের জন্য। ‘প্রগতি’ স্কিম চালু করা হয়েছে বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য। অনানুষ্ঠানিক খাত, অর্থাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য রয়েছে ‘সুরক্ষা’। আর ‘সমতা’ স্কিম নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য। এর সঙ্গে ‘প্রত্যয়’ নামের আরও একটি স্কিম অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এ স্কিমের আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত এবং সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পেনশন পাবেন। সে ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তবে বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা এমনকি আগামী জুলাইয়ের আগে কেউ যোগদান করলে, তারাও বিদ্যমান নিয়মে পেনশন পাবেন।

তিনি আরও বলেন, নতুন স্কিমের আওতায় পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে চাঁদা কত হবে এবং চাঁদা পেনশনারকে বহন করতে হলে এ ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো কেমন হবে, এসব চূড়ান্ত করে শিগগির একটি বিধিমালা চূড়ান্ত করা হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারি কর্মচারীদেরও সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে সুবিধামতো সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে সরকার।

আরও পড়ুন: আমানত সংগ্রহে আগ্রাসী হয়ে উঠছে ব্যাংকিং খাত!

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা গণমাধ্যমকে বলেন, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ সীমিত কিছু প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে পেনশন ব্যবস্থা রয়েছে। বাকিগুলোর ক্ষেত্রে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডে (সিপিএফ) চাকরিজীবীরা জমা দেয় বেতনের ১০ শতাংশ এবং ওই প্রতিষ্ঠান দেয় ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অংশীদারিত্বের এ তহবিল থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পান। এ ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা চাকরিকালীন প্রতিবছরে দুই মাসের বেসিকের সমান গ্র্যাচুইটি পান। এই অর্থ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারের বাজেট থেকে দেওয়া হয়।

সর্বজনীন পেনশনের আওতায় এখন পর্যন্ত চারটি স্কিমে অংশগ্রহণকারীদের চাঁদার ভিত্তিতে পেনশন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আগামীতে রাষ্ট্রায়ত্ত বা স্বায়ত্তশাসিত ধরনের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশনের আওতায় পেনশন দেওয়া হলে তা কীভাবে নির্ধারণ হবে– জানতে চাইলে গোলাম মোস্তফা বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আলাদা একটি বিধিমালা প্রস্তুত হচ্ছে। নতুন বিধিমালার আলোকে বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে।

শেয়ার করুন

x
English Version

জুলাইয়ের পর যোগদানকারীরা যুক্ত হবেন সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায়

পেনশন পাবেন না রাষ্ট্রায়ত্ব-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা

আপডেট: ১১:০২:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থার চাকরিতে আগামী জুলাই মাসের পরে যোগদান করা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় যুক্ত হবেন। এ ব্যবস্থার মাধ্যমেই তাদের পেনশন নির্ধারিত হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩-এর ১৪ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং এদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তারা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, আগামী ১ জুলাই বা পরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান করবেন তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করা হলো।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের আগস্টে চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় চারটি পৃথক স্কিম চালু রয়েছে। এর মধ্যে ‘প্রবাস’ স্কিমটি প্রবাসীদের জন্য। ‘প্রগতি’ স্কিম চালু করা হয়েছে বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য। অনানুষ্ঠানিক খাত, অর্থাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য রয়েছে ‘সুরক্ষা’। আর ‘সমতা’ স্কিম নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য। এর সঙ্গে ‘প্রত্যয়’ নামের আরও একটি স্কিম অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এ স্কিমের আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত এবং সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পেনশন পাবেন। সে ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তবে বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা এমনকি আগামী জুলাইয়ের আগে কেউ যোগদান করলে, তারাও বিদ্যমান নিয়মে পেনশন পাবেন।

তিনি আরও বলেন, নতুন স্কিমের আওতায় পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে চাঁদা কত হবে এবং চাঁদা পেনশনারকে বহন করতে হলে এ ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো কেমন হবে, এসব চূড়ান্ত করে শিগগির একটি বিধিমালা চূড়ান্ত করা হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারি কর্মচারীদেরও সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে সুবিধামতো সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে সরকার।

আরও পড়ুন: আমানত সংগ্রহে আগ্রাসী হয়ে উঠছে ব্যাংকিং খাত!

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা গণমাধ্যমকে বলেন, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ সীমিত কিছু প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে পেনশন ব্যবস্থা রয়েছে। বাকিগুলোর ক্ষেত্রে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডে (সিপিএফ) চাকরিজীবীরা জমা দেয় বেতনের ১০ শতাংশ এবং ওই প্রতিষ্ঠান দেয় ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অংশীদারিত্বের এ তহবিল থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা পান। এ ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা চাকরিকালীন প্রতিবছরে দুই মাসের বেসিকের সমান গ্র্যাচুইটি পান। এই অর্থ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারের বাজেট থেকে দেওয়া হয়।

সর্বজনীন পেনশনের আওতায় এখন পর্যন্ত চারটি স্কিমে অংশগ্রহণকারীদের চাঁদার ভিত্তিতে পেনশন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আগামীতে রাষ্ট্রায়ত্ত বা স্বায়ত্তশাসিত ধরনের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশনের আওতায় পেনশন দেওয়া হলে তা কীভাবে নির্ধারণ হবে– জানতে চাইলে গোলাম মোস্তফা বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আলাদা একটি বিধিমালা প্রস্তুত হচ্ছে। নতুন বিধিমালার আলোকে বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে।