০২:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ফুসফুস সুস্থ রাখতে প্রতিদিন খেতে পারেন এই পাচঁ পানীয়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৪৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪১৭৩ বার দেখা হয়েছে

বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া এবং ধূলিকণার আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ফুসফুস। শ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে যাবতীয় অশুদ্ধি এবং দূষণ সরাসরি পৌঁছয় ফুসফুসে। সেখান থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত যাবতীয় রোগের সূচনা হয়। তবে কেবল দূষণ বা জীবাণুর কারণেই নয়, ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যার জন্য দায়ী ধূমপানও। সিগারেট থেকে শুধু প্রত্যক্ষ ধূমপায়ীরা নন, আশপাশের পরোক্ষ ধূমপায়ীরাও কিন্তু ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত হন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চিকিৎসকদের মতে, ফুসফুসকে সুস্থ-সবল রাখতে গেলে রোজের খাদ্যাভ্যাসে কিছু বদল আনা প্রয়োজন। নিয়ম করে কয়েকটি পানীয়ে চুমুক দিলেই ফুসফুস থেকে টক্সিন পদার্থ বেরিয়ে যেতে পারে। এমনটিই জানিয়েছে লাইফস্টাইল বিষয়ক এক ওয়েবসাইট।

জেনে নিন ফুসফুস সুস্থ রাখতে কোন কোন পানীয়ের উপর ভরসা রাখবেন —

যষ্টিমধুর চা: যষ্টিমধু ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সর্দি, কাশি এবং জ্বরের জন্য খুবই উপকারী ঘরোয়া প্রতিকার এটি।

হলুদ আদা চা: হলুদ এবং আদা, উভয়ের মধ্যেই ঔষধি গুণ ভরপুর। ঠান্ডা লাগলে অথবা সর্দি-কাশিতে আদা খুবই উপকারী। গোটা আদা চিবিয়ে খেলে শ্বাসযন্ত্রে আরাম হয়। হলুদ এবং আদা একসঙ্গে মিশ্রিত হলে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য প্রদান করে, যা ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সকালে আদা ও কাঁচা হলুদ মিশিয়ে চা খেতে পারেন। ফুসফুসে জমে থাকা টক্সিন পদার্থ বার করে দিতে এই পানীয় বেশ উপকারী।

গাজরের রস: গাজরের মধ্যে একাধিক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। তবে চোখের জন্য সবচেয়ে উপকারী এটি। তাই চোখ ভাল রাখতে নিয়মিত গাজর খেতে বলেন চিকিৎসকরা। এছাড়া, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ গাজর ফুসফুসও পরিষ্কার রাখে এবং রেসপিরেটরি সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। রোজ গাজরের রস খেলে ফুসফুস দূষণমুক্ত থাকে, শ্বাসতন্ত্রও থাকে চাঙ্গা।

মধু এবং লেবুর পানি: ওজন ঝরাতে ঈষদুষ্ণ লেবু-মধুর পানির বিকল্প নেই বললেই চলে। তাই স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা অনেকেই ঘুম থেকে উঠে এই পানীয় খান। এই পানীয় কিন্তু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সমান কার্যকর। ফুসফুস সুস্থ রাখতেও এই পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন। লেবু মধুর পানিতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইন।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১৭ মৃত্যু

পেপারমিন্ট চা: ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করতে সেরা পানীয় পেপারমিন্ট চা। পেপারমিন্ট চায়ে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেশন গুণ। যা ফুসফুসকে প্যাথোজেন থেকে রক্ষা করে এবং ফুসফুস পরিষ্কার রাখে।

ঢাকা/এসএম

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

ফুসফুস সুস্থ রাখতে প্রতিদিন খেতে পারেন এই পাচঁ পানীয়

আপডেট: ০৩:৪৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া এবং ধূলিকণার আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ফুসফুস। শ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে যাবতীয় অশুদ্ধি এবং দূষণ সরাসরি পৌঁছয় ফুসফুসে। সেখান থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত যাবতীয় রোগের সূচনা হয়। তবে কেবল দূষণ বা জীবাণুর কারণেই নয়, ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যার জন্য দায়ী ধূমপানও। সিগারেট থেকে শুধু প্রত্যক্ষ ধূমপায়ীরা নন, আশপাশের পরোক্ষ ধূমপায়ীরাও কিন্তু ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত হন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

চিকিৎসকদের মতে, ফুসফুসকে সুস্থ-সবল রাখতে গেলে রোজের খাদ্যাভ্যাসে কিছু বদল আনা প্রয়োজন। নিয়ম করে কয়েকটি পানীয়ে চুমুক দিলেই ফুসফুস থেকে টক্সিন পদার্থ বেরিয়ে যেতে পারে। এমনটিই জানিয়েছে লাইফস্টাইল বিষয়ক এক ওয়েবসাইট।

জেনে নিন ফুসফুস সুস্থ রাখতে কোন কোন পানীয়ের উপর ভরসা রাখবেন —

যষ্টিমধুর চা: যষ্টিমধু ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সর্দি, কাশি এবং জ্বরের জন্য খুবই উপকারী ঘরোয়া প্রতিকার এটি।

হলুদ আদা চা: হলুদ এবং আদা, উভয়ের মধ্যেই ঔষধি গুণ ভরপুর। ঠান্ডা লাগলে অথবা সর্দি-কাশিতে আদা খুবই উপকারী। গোটা আদা চিবিয়ে খেলে শ্বাসযন্ত্রে আরাম হয়। হলুদ এবং আদা একসঙ্গে মিশ্রিত হলে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য প্রদান করে, যা ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সকালে আদা ও কাঁচা হলুদ মিশিয়ে চা খেতে পারেন। ফুসফুসে জমে থাকা টক্সিন পদার্থ বার করে দিতে এই পানীয় বেশ উপকারী।

গাজরের রস: গাজরের মধ্যে একাধিক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। তবে চোখের জন্য সবচেয়ে উপকারী এটি। তাই চোখ ভাল রাখতে নিয়মিত গাজর খেতে বলেন চিকিৎসকরা। এছাড়া, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ গাজর ফুসফুসও পরিষ্কার রাখে এবং রেসপিরেটরি সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। রোজ গাজরের রস খেলে ফুসফুস দূষণমুক্ত থাকে, শ্বাসতন্ত্রও থাকে চাঙ্গা।

মধু এবং লেবুর পানি: ওজন ঝরাতে ঈষদুষ্ণ লেবু-মধুর পানির বিকল্প নেই বললেই চলে। তাই স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা অনেকেই ঘুম থেকে উঠে এই পানীয় খান। এই পানীয় কিন্তু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সমান কার্যকর। ফুসফুস সুস্থ রাখতেও এই পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন। লেবু মধুর পানিতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইন।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১৭ মৃত্যু

পেপারমিন্ট চা: ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করতে সেরা পানীয় পেপারমিন্ট চা। পেপারমিন্ট চায়ে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেশন গুণ। যা ফুসফুসকে প্যাথোজেন থেকে রক্ষা করে এবং ফুসফুস পরিষ্কার রাখে।

ঢাকা/এসএম