০৯:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফোন উদ্ধারে বাঁধের পানি সেচে ফেলা সেই কর্মকর্তার ২১ লাখ রুপি জরিমানা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
  • / ৪২৪৭ বার দেখা হয়েছে

ডুবে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে সরকারি পানি সংরক্ষণাগারের ২১ লাখ লিটার পানি সেচে ফেলা সেই সরকারি কর্মকর্তা রাজেশ বিশ্বাসকে ২১ লাখ রুপি জরিমানা করেছে ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্য প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অপচয় হওয়া পানির পরিমাণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই নির্ধারণ করা হয়েছে জরিমানার অঙ্ক।

কাঁকের জেলার কালেক্টর (জেলা প্রশাসক) প্রিয়াঙ্কা শুক্লা অভিযুক্ত কর্মকর্তা রাজেশ বিশ্বাসের বেতন থেকে প্রতি মাসে কিস্তিতে জরিমানার অর্থ কেটে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

বেশ কয়েক দিন আগে ছত্তিশগড় রাজ্যের কাঁকের জেলার কোইলিঝোড়া ব্লকের (মহকুমা) খাদ্য দপ্তরের কর্মকর্তা রাজেশ বিশ্বাস এক রোববারে বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে জেলার খেরকাট্টা পানি সংরক্ষণাগারে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে বাঁধের ওপর সেলফি তোলার সময় তার এক লাখ টাকার মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে যায়।

সেই ফোন খুঁজে বের করতে লোক ডেকে ১৫ ফুট গভীর বাঁধের পানি ৩ দিন ধরে পাম্পের মাধ্যমে তুলে ফেলে দেন রাজেশ। এতে নষ্ট হয় অন্তত ২১ লাখ লিটার পানি ও সংরক্ষণাগারের পানির গভীরতা ১৫ ফুট থেকে ৫ ফুটে নেমে যায়। ছত্তিশগড় রাজ্যের সেচ দপ্তরসূত্রে জানা গেছে— ফোন উদ্ধার করতে যে পরিমাণ পানি তুলেছেন রাজেশ, তা দিয়ে ১ হাজার ৫০০ একর জমিতে চাষ করা যেত।

এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়। ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কাজের অভিযোগে রাজেশ বিশ্বাসের শাস্তির দাবিও জোরালো হতে থাকে।

আরও পড়ুন: সুইডেনের ন্যাটো-স্বপ্ন নিয়ে এরদোয়ানকে ফোন বাইডেনের

এর মধ্যেই গত ২৬ মে এনডিটিভিসহ বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর কালেক্টর প্রিয়াঙ্কা শুক্লা অভিযুক্তকে সাময়িক অব্যাহতি (সাসপেন্ড) দেন; পাশাপাশি এ ব্যাপারে প্রশাসনিক তদন্তেরও নির্দেশ প্রদান করেন। সেই তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর মঙ্গলবার তাকে শাস্তিমূলক এই জরিমানার নির্দেশ দিলেন কালেক্টর। জরিমানার নির্দেশ অনুযায়ী, রাজেশ বিশ্বাসের প্রতিমাসের বেতন থেকে জরিমানা বাবদ একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক কেটে নেওয়া হবে।

সংবাদমাধ্যমে যখন পানি সেচে ফেলার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, সেসময় সাংবাদিকদের রাজেশ বিশ্বাস বলেছিলেন, স্থানীয় লোকজনের ‘বুদ্ধিতে’ এবং সেচ দপ্তরের অনুমতি নিয়েই তিনি পানি তুলেছিলেন এবং ১০ ফুট নয়, ‘মাত্র ৩-৪’ ফুট পানি তোলা হয়েছিল। ওই শোধনাগারের পানি চাষাবাদের কিংবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহার করা হয় না বলেও দাবি করেছিলেন ওই কর্মকর্তা।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ফোন উদ্ধারে বাঁধের পানি সেচে ফেলা সেই কর্মকর্তার ২১ লাখ রুপি জরিমানা

আপডেট: ০৭:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

ডুবে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে সরকারি পানি সংরক্ষণাগারের ২১ লাখ লিটার পানি সেচে ফেলা সেই সরকারি কর্মকর্তা রাজেশ বিশ্বাসকে ২১ লাখ রুপি জরিমানা করেছে ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্য প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অপচয় হওয়া পানির পরিমাণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই নির্ধারণ করা হয়েছে জরিমানার অঙ্ক।

কাঁকের জেলার কালেক্টর (জেলা প্রশাসক) প্রিয়াঙ্কা শুক্লা অভিযুক্ত কর্মকর্তা রাজেশ বিশ্বাসের বেতন থেকে প্রতি মাসে কিস্তিতে জরিমানার অর্থ কেটে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

বেশ কয়েক দিন আগে ছত্তিশগড় রাজ্যের কাঁকের জেলার কোইলিঝোড়া ব্লকের (মহকুমা) খাদ্য দপ্তরের কর্মকর্তা রাজেশ বিশ্বাস এক রোববারে বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে জেলার খেরকাট্টা পানি সংরক্ষণাগারে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে বাঁধের ওপর সেলফি তোলার সময় তার এক লাখ টাকার মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে যায়।

সেই ফোন খুঁজে বের করতে লোক ডেকে ১৫ ফুট গভীর বাঁধের পানি ৩ দিন ধরে পাম্পের মাধ্যমে তুলে ফেলে দেন রাজেশ। এতে নষ্ট হয় অন্তত ২১ লাখ লিটার পানি ও সংরক্ষণাগারের পানির গভীরতা ১৫ ফুট থেকে ৫ ফুটে নেমে যায়। ছত্তিশগড় রাজ্যের সেচ দপ্তরসূত্রে জানা গেছে— ফোন উদ্ধার করতে যে পরিমাণ পানি তুলেছেন রাজেশ, তা দিয়ে ১ হাজার ৫০০ একর জমিতে চাষ করা যেত।

এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়। ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কাজের অভিযোগে রাজেশ বিশ্বাসের শাস্তির দাবিও জোরালো হতে থাকে।

আরও পড়ুন: সুইডেনের ন্যাটো-স্বপ্ন নিয়ে এরদোয়ানকে ফোন বাইডেনের

এর মধ্যেই গত ২৬ মে এনডিটিভিসহ বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর কালেক্টর প্রিয়াঙ্কা শুক্লা অভিযুক্তকে সাময়িক অব্যাহতি (সাসপেন্ড) দেন; পাশাপাশি এ ব্যাপারে প্রশাসনিক তদন্তেরও নির্দেশ প্রদান করেন। সেই তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর মঙ্গলবার তাকে শাস্তিমূলক এই জরিমানার নির্দেশ দিলেন কালেক্টর। জরিমানার নির্দেশ অনুযায়ী, রাজেশ বিশ্বাসের প্রতিমাসের বেতন থেকে জরিমানা বাবদ একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক কেটে নেওয়া হবে।

সংবাদমাধ্যমে যখন পানি সেচে ফেলার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, সেসময় সাংবাদিকদের রাজেশ বিশ্বাস বলেছিলেন, স্থানীয় লোকজনের ‘বুদ্ধিতে’ এবং সেচ দপ্তরের অনুমতি নিয়েই তিনি পানি তুলেছিলেন এবং ১০ ফুট নয়, ‘মাত্র ৩-৪’ ফুট পানি তোলা হয়েছিল। ওই শোধনাগারের পানি চাষাবাদের কিংবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহার করা হয় না বলেও দাবি করেছিলেন ওই কর্মকর্তা।

ঢাকা/এসএ