০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে জয়েন্ট স্টাডি গ্রুপ রিপোর্ট প্রকাশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৮১ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনেতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) চুক্তি সই করতে জয়েন্ট স্টাডি গ্রুপ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির উপস্থিতিতে চুক্তিটি সই হয়েছে।

আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ভাব মর্যাদা তৈরি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে। যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানিকালে শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো অন্যতম। এতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য ওইসব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে। ফলে ওইসব দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

আরও পড়ুন: বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড পেলো ওয়ালটন ফ্রিজ ও টিভি

জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতের দেশ এবং এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ জাপান থেকে ২০২৯.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ১৯০১.৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য জাপানে রপ্তানি করে। জাপান বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি বাণিজ্য সম্ভাবনাময় এলাকা। পণ্য ছাড়াও সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে জাপান ও বাংলাদেশ যৌথভাবে দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ ডিসেম্বর দুই দেশ দেশ যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার বিষয়ে যৌথ ঘোষণা প্রদান করে। গত ২৫-২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী’র জাপান সফরকালে উভয়দেশ দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারত্ব হিসেবে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

জয়েন্ট স্টাডি গ্রুপ প্রতিবেদন দুই দেশের বিভিন্ন খাতের বিদ্যমান অবস্থা পর্যালোচনা করেছে। সরকারি, বেসরকারি, একাডেমিয়া ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্তার মাধ্যমে এ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে (www.mincom.gov.bd)।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে জয়েন্ট স্টাডি গ্রুপ রিপোর্ট প্রকাশ

আপডেট: ০৩:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনেতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) চুক্তি সই করতে জয়েন্ট স্টাডি গ্রুপ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির উপস্থিতিতে চুক্তিটি সই হয়েছে।

আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ভাব মর্যাদা তৈরি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে। যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানিকালে শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো অন্যতম। এতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য ওইসব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে। ফলে ওইসব দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

আরও পড়ুন: বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড পেলো ওয়ালটন ফ্রিজ ও টিভি

জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতের দেশ এবং এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ জাপান থেকে ২০২৯.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ১৯০১.৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য জাপানে রপ্তানি করে। জাপান বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি বাণিজ্য সম্ভাবনাময় এলাকা। পণ্য ছাড়াও সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে জাপান ও বাংলাদেশ যৌথভাবে দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ ডিসেম্বর দুই দেশ দেশ যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার বিষয়ে যৌথ ঘোষণা প্রদান করে। গত ২৫-২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী’র জাপান সফরকালে উভয়দেশ দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারত্ব হিসেবে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

জয়েন্ট স্টাডি গ্রুপ প্রতিবেদন দুই দেশের বিভিন্ন খাতের বিদ্যমান অবস্থা পর্যালোচনা করেছে। সরকারি, বেসরকারি, একাডেমিয়া ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্তার মাধ্যমে এ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে (www.mincom.gov.bd)।

ঢাকা/এসএম