০১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

বাজার মূলধন কমেছে ৩২৮ কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১৮৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (০১-০৫ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে দুই কার্যদিবসে সূচকের উত্থান ও তিন কার্যদিবসে সূচকের পতন হয়। সপ্তাহটিতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন ৩২৮ কোটি টাকা কমলেও লেনদেন বেড়েছে ৬০ কোটি টাকা। দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্রে সপ্তাহ শেষ করেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২২৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ২৬৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বা ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৩২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৭২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৬০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বা ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। মোট লেনদেন বাড়ার কারণ গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৩২৮ কোটি টাকা।

এদিকে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৩টির। আর ২০৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১২ দশমিক ৫ পয়েন্ট বা দশমিক ২১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৪ দশমিক ৬০ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ১ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচক ও ডিএসই-৩০ মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গত সপ্তাহে এ সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৪১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ১৩ লাখ ৯৪ হাজার ০৩৩ টাকার।

আরও পড়ুন: ম্যানেজমেন্ট থেকেই কোম্পানির অনিয়ম শুরু হয়: আরিফ খান

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯.১৩ পয়েন্ট বা ০.১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৯৮.৮৯ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৬.৮৭ পয়েন্ট বা ০.১৫ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১.৪৮ পয়েন্ট বা ০.১১ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ৭.১৪ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯৬৫.৮৯ পয়েন্টে, এক হাজার ৩১৯.৮৭ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৬০.৯৫ পয়েন্টে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক ৩৩.২৮ পয়েন্ট বা ০.২৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ২৪০.৩৫ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩৩টির বা ১১.৭৪ শতাংশের দর বেড়েছে, ৯০টির বা ৩২.০৩ শতাংশের কমেছে এবং ১৫৮টির বা ৫৬.২৩ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

বাজার মূলধন কমেছে ৩২৮ কোটি টাকা

আপডেট: ১১:৫২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৩

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (০১-০৫ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে দুই কার্যদিবসে সূচকের উত্থান ও তিন কার্যদিবসে সূচকের পতন হয়। সপ্তাহটিতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন ৩২৮ কোটি টাকা কমলেও লেনদেন বেড়েছে ৬০ কোটি টাকা। দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্রে সপ্তাহ শেষ করেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২২৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ২৬৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বা ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৩২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৭২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৬০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বা ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। মোট লেনদেন বাড়ার কারণ গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৩২৮ কোটি টাকা।

এদিকে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৩টির। আর ২০৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১২ দশমিক ৫ পয়েন্ট বা দশমিক ২১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৪ দশমিক ৬০ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ১ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচক ও ডিএসই-৩০ মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গত সপ্তাহে এ সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৪১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ১৩ লাখ ৯৪ হাজার ০৩৩ টাকার।

আরও পড়ুন: ম্যানেজমেন্ট থেকেই কোম্পানির অনিয়ম শুরু হয়: আরিফ খান

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯.১৩ পয়েন্ট বা ০.১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৯৮.৮৯ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৬.৮৭ পয়েন্ট বা ০.১৫ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১.৪৮ পয়েন্ট বা ০.১১ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ৭.১৪ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯৬৫.৮৯ পয়েন্টে, এক হাজার ৩১৯.৮৭ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৬০.৯৫ পয়েন্টে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক ৩৩.২৮ পয়েন্ট বা ০.২৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ২৪০.৩৫ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩৩টির বা ১১.৭৪ শতাংশের দর বেড়েছে, ৯০টির বা ৩২.০৩ শতাংশের কমেছে এবং ১৫৮টির বা ৫৬.২৩ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ঢাকা/এসএ