০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

বাতিল হলো চেক নগদায়নের পূর্বে শেয়ার না কেনার শর্ত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১০:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২
  • / ১০৪৭৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অবশেষে পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনায় চেক নগদায়ন সংক্রান্ত জটিলতার অবসান ঘটেছে। কিছু শর্ত আরোপ করে চেকে শেয়ার কেনার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে এখন থেকে  ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকে চেক দিয়ে তার বিপরীতে শেয়ার কিনতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। চেকের পাশাপাশি ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফট (ডিডি) বা পে-অর্ডারের বিপরীতেও শেয়ার কেনা যাবে।

আজ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সূত্র অনুসারে, গ্রাহক কোনো চেক, পে-অর্ডার বা ডিমান্ড ড্রাফটের বিপরীতে শেয়ার কিনলে ওই দিনই অথবা তার পরবর্তী দিনে তা ব্যাংকে উপস্থাপন করতে হবে। যদ কোনো ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংক তা না করে বা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে পরবর্তী এক বছরের জন্য ওই প্রতিষ্ঠান আইপিও/আরপিও ও রাইট শেয়ারের কোটা থেকে বঞ্চিত হবে।

যদি গ্রাহকের হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা বা অন্য কোনো কারণে ওই চেক পাশ না হয়, তাহলে তার দায় সংশ্লিষ্ট ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংকের উপর বর্তাবে। ওই ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংকারকে নিজস্ব ব্যাংক হিসাব থেকে সমপরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত গ্রাহক অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে। ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংক তা না করে বা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে পরবর্তী এক বছরের জন্য ওই প্রতিষ্ঠান আইপিও/আরপিও ও রাইট শেয়ারের কোটা থেকে বঞ্চিত হবে। এর বাইরেও আইন অনুসারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

যদি সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের চেক, পে-অর্ডার বা ডিডি পাশ না হয়, তাহলে পরবর্তী এক বছর ওই গ্রাহকের ওই ধরনের কোনো ইনস্ট্রুমেন্টের বিপরীতে শেয়ার কেনার সুযোগ দিতে পারবে না সংশ্লিষ্ট ব্রোকারহাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক।

প্রত্যেক মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে খেলাপী গ্রাহকের তালিকা কমিশনে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুন: বাড়লো কাস্টডি ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারীর নবায়ন ফি

উল্লেখ, ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর দেওয়া সার্ক্যুলারে বলা হয়েছিলো, কোন বিনিয়োগকারী সিকিউরিটি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্টক ব্রোকারকে চেক প্রদান করলে তা নগদায়নের পূর্বে সিকিউরিটি ক্রয় করলে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৯৬ এর ১৬ এর (এ) ধারা লংঘন হবে। এমন্ত অবস্থায় চেক নগদায়ন করার পূর্বে শেয়ার ক্রয় করা যাবে না।

আরও পড়ুন: আট কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১১ অক্টোবর চেক নগদায়ন সংক্রান্ত নির্দেশনাটি জারি হয়। ১১ অক্টোবরে ডিএসই মূল্য সূচকের অবস্থান ছিল ৬৪৪৯ পয়েন্ট আর আজ ডিএসই মূল্য সূচকের অবস্থান ছিল ৬৩৫২ পয়েন্টে। অর্থাৎ নির্দেশনাটি জারির পর সূচক কমেছে ৯৭ পয়েন্ট। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে চেক নগদায়ন সংক্রান্ত নির্দেশনাটি প্রত্যাহারের আবেদন জানায়। সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ আরও অনেক স্টেকহোল্ডারের পক্ষ থেকেও এ দাবি উঠে। এর প্রেক্ষিতে কমিশন চেকের বিপরীতে শর্তসাপেক্ষে শেয়ার কেনার সুযোগ দিয়ে আলোচিত নির্দেশনাটি জারি করেছে।

আরও পড়ুন:

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বাতিল হলো চেক নগদায়নের পূর্বে শেয়ার না কেনার শর্ত

আপডেট: ০৬:১০:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: অবশেষে পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনায় চেক নগদায়ন সংক্রান্ত জটিলতার অবসান ঘটেছে। কিছু শর্ত আরোপ করে চেকে শেয়ার কেনার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে এখন থেকে  ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকে চেক দিয়ে তার বিপরীতে শেয়ার কিনতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। চেকের পাশাপাশি ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফট (ডিডি) বা পে-অর্ডারের বিপরীতেও শেয়ার কেনা যাবে।

আজ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সূত্র অনুসারে, গ্রাহক কোনো চেক, পে-অর্ডার বা ডিমান্ড ড্রাফটের বিপরীতে শেয়ার কিনলে ওই দিনই অথবা তার পরবর্তী দিনে তা ব্যাংকে উপস্থাপন করতে হবে। যদ কোনো ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংক তা না করে বা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে পরবর্তী এক বছরের জন্য ওই প্রতিষ্ঠান আইপিও/আরপিও ও রাইট শেয়ারের কোটা থেকে বঞ্চিত হবে।

যদি গ্রাহকের হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা বা অন্য কোনো কারণে ওই চেক পাশ না হয়, তাহলে তার দায় সংশ্লিষ্ট ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংকের উপর বর্তাবে। ওই ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংকারকে নিজস্ব ব্যাংক হিসাব থেকে সমপরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত গ্রাহক অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে। ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংক তা না করে বা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে পরবর্তী এক বছরের জন্য ওই প্রতিষ্ঠান আইপিও/আরপিও ও রাইট শেয়ারের কোটা থেকে বঞ্চিত হবে। এর বাইরেও আইন অনুসারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

যদি সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের চেক, পে-অর্ডার বা ডিডি পাশ না হয়, তাহলে পরবর্তী এক বছর ওই গ্রাহকের ওই ধরনের কোনো ইনস্ট্রুমেন্টের বিপরীতে শেয়ার কেনার সুযোগ দিতে পারবে না সংশ্লিষ্ট ব্রোকারহাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক।

প্রত্যেক মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংককে খেলাপী গ্রাহকের তালিকা কমিশনে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুন: বাড়লো কাস্টডি ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারীর নবায়ন ফি

উল্লেখ, ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর দেওয়া সার্ক্যুলারে বলা হয়েছিলো, কোন বিনিয়োগকারী সিকিউরিটি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্টক ব্রোকারকে চেক প্রদান করলে তা নগদায়নের পূর্বে সিকিউরিটি ক্রয় করলে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৯৬ এর ১৬ এর (এ) ধারা লংঘন হবে। এমন্ত অবস্থায় চেক নগদায়ন করার পূর্বে শেয়ার ক্রয় করা যাবে না।

আরও পড়ুন: আট কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১১ অক্টোবর চেক নগদায়ন সংক্রান্ত নির্দেশনাটি জারি হয়। ১১ অক্টোবরে ডিএসই মূল্য সূচকের অবস্থান ছিল ৬৪৪৯ পয়েন্ট আর আজ ডিএসই মূল্য সূচকের অবস্থান ছিল ৬৩৫২ পয়েন্টে। অর্থাৎ নির্দেশনাটি জারির পর সূচক কমেছে ৯৭ পয়েন্ট। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে চেক নগদায়ন সংক্রান্ত নির্দেশনাটি প্রত্যাহারের আবেদন জানায়। সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ আরও অনেক স্টেকহোল্ডারের পক্ষ থেকেও এ দাবি উঠে। এর প্রেক্ষিতে কমিশন চেকের বিপরীতে শর্তসাপেক্ষে শেয়ার কেনার সুযোগ দিয়ে আলোচিত নির্দেশনাটি জারি করেছে।

আরও পড়ুন:

ঢাকা/এসএ