১২:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বিএনপির অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪২০১ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং ৩ নভেম্বর জেলহত্যার জন্য জিয়াউর রহমানকে দায়ী করার পাশাপাশি ক্ষমতায় থাকার জন্য জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া উভয়ই হত্যা-সংঘর্ষের পথ বেছে নিয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যদি পলিটিকস অব কনফ্রন্টেশনকে চিরদিনের জন্য বিদায় দিতে হয়, তাহলে বিএনপির এ অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার। অন্যথায় দেশে সাংঘর্ষিক রাজনীতি বন্ধ করা সম্ভব হবে না।’

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদ ও ৩ নভেম্বর কারাগারে নির্মমভাবে নিহত জাতীয় নেতাদের সমাধিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাতের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘৩ নভেম্বর ১৯৭৫ সালের এই দিনে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছিল। আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছায়ার মতো থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয়েছিল। তারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেইমানি করেননি, মরণেও তারা সহযাত্রী হয়েছেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, তখন এই হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছিল কার্যত জিয়াউর রহমানের হাতে। কারণ তখন কার্যত জিয়াউর রহমানই ক্ষমতায় ছিল এবং তিনি প্রধান সেনাপতি ছিলেন। জিয়াউর রহমানের আওতাধীন সেনাবাহিনীর সদস্যরা অর্থাৎ বিপথগামী সেনাসদস্যরা গিয়েই কারাগারে এ হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত করেছিল। অর্থাৎ জিয়াউর রহমান যে শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত তা নয়, ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জিয়াউর রহমান যুক্ত।

আরও পড়ুন: মোশতাক-জিয়াই চার নেতাকে হত্যা করেছিলো: প্রধানমন্ত্রী

‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছিলেন’ দাবি করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে নিরপরাধ সামরিক অফিসারদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল, বিচার ছাড়াই হত্যা করেছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন জিয়াউর রহমানের হাতে সংঘঠিত হয়েছিল। পরে খালেদা জিয়াও জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির মাধ্যমে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে সেই সাংঘর্ষিক রাজনীতির ধারা অব্যাহত রেখেছিল।’

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

বিএনপির অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট: ০৭:৫৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং ৩ নভেম্বর জেলহত্যার জন্য জিয়াউর রহমানকে দায়ী করার পাশাপাশি ক্ষমতায় থাকার জন্য জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া উভয়ই হত্যা-সংঘর্ষের পথ বেছে নিয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যদি পলিটিকস অব কনফ্রন্টেশনকে চিরদিনের জন্য বিদায় দিতে হয়, তাহলে বিএনপির এ অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার। অন্যথায় দেশে সাংঘর্ষিক রাজনীতি বন্ধ করা সম্ভব হবে না।’

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদ ও ৩ নভেম্বর কারাগারে নির্মমভাবে নিহত জাতীয় নেতাদের সমাধিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাতের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘৩ নভেম্বর ১৯৭৫ সালের এই দিনে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছিল। আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছায়ার মতো থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয়েছিল। তারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেইমানি করেননি, মরণেও তারা সহযাত্রী হয়েছেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, তখন এই হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছিল কার্যত জিয়াউর রহমানের হাতে। কারণ তখন কার্যত জিয়াউর রহমানই ক্ষমতায় ছিল এবং তিনি প্রধান সেনাপতি ছিলেন। জিয়াউর রহমানের আওতাধীন সেনাবাহিনীর সদস্যরা অর্থাৎ বিপথগামী সেনাসদস্যরা গিয়েই কারাগারে এ হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত করেছিল। অর্থাৎ জিয়াউর রহমান যে শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত তা নয়, ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জিয়াউর রহমান যুক্ত।

আরও পড়ুন: মোশতাক-জিয়াই চার নেতাকে হত্যা করেছিলো: প্রধানমন্ত্রী

‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছিলেন’ দাবি করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে নিরপরাধ সামরিক অফিসারদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল, বিচার ছাড়াই হত্যা করেছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন জিয়াউর রহমানের হাতে সংঘঠিত হয়েছিল। পরে খালেদা জিয়াও জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির মাধ্যমে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে সেই সাংঘর্ষিক রাজনীতির ধারা অব্যাহত রেখেছিল।’

ঢাকা/এসএ