বিএনপি প্রার্থীদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করেছে: তথ্যমন্ত্রী
- আপডেট: ০২:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪১৪৮ বার দেখা হয়েছে
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো আন্দোলন করছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভোট বন্ধ করার উদ্দেশ্যে বিএনপি প্রার্থীদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করেছে।
আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘শরণার্থীর জবানবন্দি ১৯৭১’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
প্রার্থীদের ওপর বিএনপি হামলা চালাতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা জানি, তারা প্রার্থীদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছে, যাতে ভোটটা বন্ধ হয়ে যায়। প্রার্থীদের ওপর হামলা করবে, যাতে ভোট বন্ধ হয়ে যায়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো একটি নির্বাচনী এলাকায় যদি কোনো প্রার্থী মারা যান, তাহলে সেই নির্বাচনটা বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণে বিএনপি এমন পরিকল্পনা করেছে।
কিন্তু তাতে লাভ হবে না হুঁশিয়ারি করে তিনি বলেন, তাদের সব পরিকল্পনা সন্ত্রাসীমূলক। এখন তারা প্রার্থীদের ওপর হামলা পরিকল্পনা করেছে। জঘন্য সন্ত্রাসী সংগঠন ছাড়া কেউ সেটা করে না।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন বলেছে যে আমরা যদি মানবাধিকার নিয়ে কোনো বক্তব্য দিই, সরকার তাতে বিরক্ত হয়, তারা আমাদের প্রতিপক্ষ বলে মনে করেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমরা মোটেও বিরক্ত হই না। আমরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বললে, সেগুলো আমরা দেখি, পর্যবেক্ষণ করি, অনেক ক্ষেত্রে সত্য ঘটনা হলে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: ঢাকার অর্ধেক কেন্দ্র অতি ঝুঁকিপূর্ণ: ডিএমপি কমিশনার
কিন্তু যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন, তারা পেট্রোল বোমা সন্ত্রাস নিয়ে কোনো কথা বলে না কেন? তারা ফিলিস্তিনের হাজার অসহায় নারী-শিশুকে যেভাবে ইসরায়েলি বাহিনী হত্যা করছে, তা নিয়ে কথা বলেন না কেন!, প্রশ্ন হাছান মাহমুদের।
তিনি বলেন, বিএনপি ঘরানার কয়েকজন লোকের মানবাধিকার নাকি দেশের প্রতিটি মানুষের মানবাধিকারের কথা তারা বলছেন? মানবাধিকার নিয়ে কথা বললে সারা দেশের প্রেক্ষাপটে বলতে হবে। আজ যে মানুষের অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে, প্রেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে, মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করা হচ্ছে, সেটাও মানুষের সাংবিধানিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ। এগুলো নিয়ে তারা কথা বলে না কেন! সেটি নিয়ে কথা যখন বলেন না, তখন আমরা বিরক্ত হই। কিন্তু মানবাধিকার নিয়ে কেউ কথা বললে আমরা বিরক্ত হই না।
বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন নিয়ে তাচ্ছিল্য করে মন্ত্রী বলেন, তাদের অসহযোগ আন্দোলন সফল। কারণ কেউ বিএনপিকে সহযোগিতা করছে না। কাজেই তাদের অসহযোগ আন্দোলন তাদের নিজেদের ক্ষেত্রে সফল। জিয়াউর রহমান কারফিউ দিয়ে দেশ চালাতেন, তিন বছর কারফিউ থাকত, প্রথমে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুরু করেছিল, পরে রাত ১২টা থেকে ভোর ছয়টা থেকে তিনি কারফিউ দিয়েছিলেন। বিএনপি জিয়াউর রহমানের কাছ থেকেই এসব শিখেছে।
ঢাকা/কেএ