১২:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

বিলুপ্ত মানব জিন আবিস্কারের স্বীকৃতি পেলেন প্যাবো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:১৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪১৫১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: মানব বিবর্তন ও বিলুপ্ত প্রাক-মানবের (নিয়ান্ডারথাল) জিন আবিস্কারের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তা প্যাবো। পুরস্কার ঘোষণায় নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্যাবো ‘আমাদের বিলুপ্ত আত্মীয়’ নিয়ান্ডারথালদের জিনগত বৈশিষ্ট্য আবিস্কারের মধ্য দিয়ে আপাত অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। গতকাল সোমবার বিজয়ী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রাক-মানবদের আরেকটি প্রজাতি ডেনিসোভাদের বিষয়ে মানুষের তেমন কোনো ধারণা ছিল না। প্যাবো তাদেরও সামনে তুলে এনেছেন। নোবেল কমিটির মতে, এটা ‘চাঞ্চল্যকর’। তারা বলছে, সুইডিশ এ চিকিৎসাবিজ্ঞানীর কাজ মানব বিবর্তনের ইতিহাস ও কীভাবে মানুষ পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়ল, তার অনুসন্ধান পেতে সহায়তা করবে।

সুইডেনের এ জিন বিশেষজ্ঞের গবেষণা আমাদের হৃদয়ে জন্ম নেওয়া বেশ কিছু মৌলিক প্রশ্নের জবাব পেতে সহায়তা করবে। তাঁর আবিস্কার থেকে জানা যাবে, আমরা ‘হোমোস্যাপিয়েন্স’রা কোথা থেকে এসেছি এবং কীভাবে এসেছি; কীভাবে আমরা টিকে থাকলেও আমাদের কাছাকাছি অভ্যাস ও বৈশিষ্ট্যের অন্য আত্মীয়রা (এখানে প্রাক-মানবদের অন্য প্রজাতিগুলোর কথা বলা হয়েছে) বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্যাবো যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আবিস্কার করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো- হোমোস্যাপিয়েন্সদের মধ্যে বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাক-মানবদের (এখানে মূলত নিয়ান্ডারথাল ও ডেনিসোভানসদের প্রসঙ্গ আনা হয়েছে) জিনের স্থানান্তর ঘটেছিল। প্রায় ৭০ হাজার বছর আগে আফ্রিকা থেকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ার সময় এ স্থানান্তর ঘটে। প্রাচীন মানবদের জিন আর বর্তমান আধুনিক মানুষের জিনের এ প্রবাহের একটা মনস্তাত্ত্বিক তাৎপর্যও আছে। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, সেটা বুঝতেও এ জিনগত পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা অনুধাবন প্রয়োজন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অধ্যাপক প্যাবোর আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল আদিম যুগের আমাদের পূর্বপুরুষদের জিন নিয়ে গবেষণা। অনেকে এটাকে অসম্ভব চ্যালেঞ্জ বলে মনে করতেন। কিন্তু ৪০ হাজার বছর পুরোনো হাড়ের টুকরা থেকে প্রথমবারের মতো মানুষের ডিএনএ পরম্পরা

আবিস্কারে সক্ষম হন তিনি। এসব নিয়ান্ডারথাল মানবের অধিকাংশের বাস ছিল ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ায়। এরা বর্তমানে টিকে থাকা মানুষ ও শিম্পাজি থেকে বিলুপ্ত। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাবদ প্যাবো পাবেন ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭৬ টাকা)। গত বছর চিকিৎসায় নোবেল পান যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক ডেভিড জুলিয়াস ও অডার্ম প্যাটাপুটেন।

চিকিৎসায় নোবেলের মধ্য দিয়ে এবারের নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পর্ব শুরু হলো। আজ পদার্থবিদ্যা, কাল বুধবার রসায়ন, বৃহস্পতিবার সাহিত্য এবং শুক্রবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। আগামী ১০ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে পুরস্কার বিজয়ীর নাম।

আরও পড়ুন: দোনেৎস্কের লাইম্যান শহর পুনরুদ্ধারে উচ্ছ্বসিত কিয়েভ

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

বিলুপ্ত মানব জিন আবিস্কারের স্বীকৃতি পেলেন প্যাবো

আপডেট: ০১:১৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: মানব বিবর্তন ও বিলুপ্ত প্রাক-মানবের (নিয়ান্ডারথাল) জিন আবিস্কারের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তা প্যাবো। পুরস্কার ঘোষণায় নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্যাবো ‘আমাদের বিলুপ্ত আত্মীয়’ নিয়ান্ডারথালদের জিনগত বৈশিষ্ট্য আবিস্কারের মধ্য দিয়ে আপাত অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। গতকাল সোমবার বিজয়ী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রাক-মানবদের আরেকটি প্রজাতি ডেনিসোভাদের বিষয়ে মানুষের তেমন কোনো ধারণা ছিল না। প্যাবো তাদেরও সামনে তুলে এনেছেন। নোবেল কমিটির মতে, এটা ‘চাঞ্চল্যকর’। তারা বলছে, সুইডিশ এ চিকিৎসাবিজ্ঞানীর কাজ মানব বিবর্তনের ইতিহাস ও কীভাবে মানুষ পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়ল, তার অনুসন্ধান পেতে সহায়তা করবে।

সুইডেনের এ জিন বিশেষজ্ঞের গবেষণা আমাদের হৃদয়ে জন্ম নেওয়া বেশ কিছু মৌলিক প্রশ্নের জবাব পেতে সহায়তা করবে। তাঁর আবিস্কার থেকে জানা যাবে, আমরা ‘হোমোস্যাপিয়েন্স’রা কোথা থেকে এসেছি এবং কীভাবে এসেছি; কীভাবে আমরা টিকে থাকলেও আমাদের কাছাকাছি অভ্যাস ও বৈশিষ্ট্যের অন্য আত্মীয়রা (এখানে প্রাক-মানবদের অন্য প্রজাতিগুলোর কথা বলা হয়েছে) বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্যাবো যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আবিস্কার করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো- হোমোস্যাপিয়েন্সদের মধ্যে বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাক-মানবদের (এখানে মূলত নিয়ান্ডারথাল ও ডেনিসোভানসদের প্রসঙ্গ আনা হয়েছে) জিনের স্থানান্তর ঘটেছিল। প্রায় ৭০ হাজার বছর আগে আফ্রিকা থেকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ার সময় এ স্থানান্তর ঘটে। প্রাচীন মানবদের জিন আর বর্তমান আধুনিক মানুষের জিনের এ প্রবাহের একটা মনস্তাত্ত্বিক তাৎপর্যও আছে। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, সেটা বুঝতেও এ জিনগত পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা অনুধাবন প্রয়োজন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অধ্যাপক প্যাবোর আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল আদিম যুগের আমাদের পূর্বপুরুষদের জিন নিয়ে গবেষণা। অনেকে এটাকে অসম্ভব চ্যালেঞ্জ বলে মনে করতেন। কিন্তু ৪০ হাজার বছর পুরোনো হাড়ের টুকরা থেকে প্রথমবারের মতো মানুষের ডিএনএ পরম্পরা

আবিস্কারে সক্ষম হন তিনি। এসব নিয়ান্ডারথাল মানবের অধিকাংশের বাস ছিল ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ায়। এরা বর্তমানে টিকে থাকা মানুষ ও শিম্পাজি থেকে বিলুপ্ত। নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাবদ প্যাবো পাবেন ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭৬ টাকা)। গত বছর চিকিৎসায় নোবেল পান যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক ডেভিড জুলিয়াস ও অডার্ম প্যাটাপুটেন।

চিকিৎসায় নোবেলের মধ্য দিয়ে এবারের নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পর্ব শুরু হলো। আজ পদার্থবিদ্যা, কাল বুধবার রসায়ন, বৃহস্পতিবার সাহিত্য এবং শুক্রবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। আগামী ১০ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে পুরস্কার বিজয়ীর নাম।

আরও পড়ুন: দোনেৎস্কের লাইম্যান শহর পুনরুদ্ধারে উচ্ছ্বসিত কিয়েভ

ঢাকা/এসএ