০৪:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার রূপরেখা সাজানোর নির্দেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৩১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৪১৪১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা মনে করি বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে; বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে; আমাদের এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সেজন্য শিক্ষাকার্যক্রমকে সময়োপযোগী করা একান্ত অপরিহার্য।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার খসড়া উপস্থাপনা অবলোকনকালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যে নীতিমালা আছে, সে নীতিমালার ভিত্তিতে আমরা শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করব। কিন্তু এক্ষেত্রে সবসময় সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে এবং বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আর এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা কোনো মতেই পিছিয়ে থাকতে পারি না।

তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় আমি খেয়াল করেছিলাম, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানের প্রতি অনীহা। বিজ্ঞান শিক্ষা তারা নিতেই চাইত না। বিজ্ঞান বিভাগের লোকই পাওয়া যেত না। এরকম একটি সময় কিন্তু ছিল। আমরা বিজ্ঞান শিক্ষায় গুরুত্ব দিই। আমরা ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। যেহেতু আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

দীর্ঘদিন পর রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গতকাল (রোববার) থেকে আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছি, ধীরে ধীরে সবগুলো খুলে যাবে। আবার নতুনভাবে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য, আমরা প্রায় দেড় বছরের মতো আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে পারিনি। যদিও অনলাইনে বা টেলিভিশনের মাধ্যমে বা ঘরে বসেই আমরা স্কুলের বহুমুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছি, কাজ করেছি। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার আনন্দ, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আনন্দ থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে।

এ সময় করোনাকালে শিক্ষাকার্যক্রম সচল রাখায় সংশ্লিষ্টদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকার প্রধান বলেন, করোনাকালে যখন সবকিছু স্থবির, তখন আপনারা যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে, এখনকার যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কীভাবে শিক্ষাব্যবস্থাটাকে আরও আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করা যায়। আবার সেই সঙ্গে সঙ্গে জীবন-জীবিকার পথটাও যেন খোলে। সেই বিষয়টির দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আপনারা এ কার্যক্রমগুলো করেছেন।

শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছি। যেসব এলাকায় স্কুল ছিল না, সেসব এলাকায় আমরা স্কুল তৈরি করে দিচ্ছি। আমাদের নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ। ছোট ছোট শিশুদের যোগাযোগ ও যাতায়াতের ব্যবস্থা বিবেচনা করেই কিন্তু আমরা বিভিন্ন এলাকায় স্কুল তৈরি করার ব্যবস্থা নিয়েছি।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা থাকছে না

১০ কোম্পানির শেয়ার যেন সোনার হরিণ!

সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলব

শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করেছে এনসিসি ব্যাংকের তিন উদ্যোক্তা

শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণ জানে না তমিজ উদ্দিন

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার রূপরেখা সাজানোর নির্দেশ

আপডেট: ০৪:৩১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা মনে করি বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে; বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে; আমাদের এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সেজন্য শিক্ষাকার্যক্রমকে সময়োপযোগী করা একান্ত অপরিহার্য।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার খসড়া উপস্থাপনা অবলোকনকালে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যে নীতিমালা আছে, সে নীতিমালার ভিত্তিতে আমরা শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করব। কিন্তু এক্ষেত্রে সবসময় সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে এবং বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আর এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা কোনো মতেই পিছিয়ে থাকতে পারি না।

তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় আমি খেয়াল করেছিলাম, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞানের প্রতি অনীহা। বিজ্ঞান শিক্ষা তারা নিতেই চাইত না। বিজ্ঞান বিভাগের লোকই পাওয়া যেত না। এরকম একটি সময় কিন্তু ছিল। আমরা বিজ্ঞান শিক্ষায় গুরুত্ব দিই। আমরা ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। যেহেতু আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

দীর্ঘদিন পর রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গতকাল (রোববার) থেকে আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছি, ধীরে ধীরে সবগুলো খুলে যাবে। আবার নতুনভাবে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য, আমরা প্রায় দেড় বছরের মতো আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে পারিনি। যদিও অনলাইনে বা টেলিভিশনের মাধ্যমে বা ঘরে বসেই আমরা স্কুলের বহুমুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছি, কাজ করেছি। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার আনন্দ, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আনন্দ থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে।

এ সময় করোনাকালে শিক্ষাকার্যক্রম সচল রাখায় সংশ্লিষ্টদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকার প্রধান বলেন, করোনাকালে যখন সবকিছু স্থবির, তখন আপনারা যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে, এখনকার যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কীভাবে শিক্ষাব্যবস্থাটাকে আরও আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করা যায়। আবার সেই সঙ্গে সঙ্গে জীবন-জীবিকার পথটাও যেন খোলে। সেই বিষয়টির দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আপনারা এ কার্যক্রমগুলো করেছেন।

শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছি। যেসব এলাকায় স্কুল ছিল না, সেসব এলাকায় আমরা স্কুল তৈরি করে দিচ্ছি। আমাদের নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ। ছোট ছোট শিশুদের যোগাযোগ ও যাতায়াতের ব্যবস্থা বিবেচনা করেই কিন্তু আমরা বিভিন্ন এলাকায় স্কুল তৈরি করার ব্যবস্থা নিয়েছি।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা থাকছে না

১০ কোম্পানির শেয়ার যেন সোনার হরিণ!

সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলব

শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করেছে এনসিসি ব্যাংকের তিন উদ্যোক্তা

শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণ জানে না তমিজ উদ্দিন