০৫:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪

বৃষ্টি আইনে জিতে ড্র করল নিউজিল্যান্ড

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:২১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪১২২ বার দেখা হয়েছে

১১০ রানের পুঁজিকে রক্ষা করার জন্য মেহেদী হাসান এবং শরিফুল ইসলামই যা লড়াই করলেন। অন্য বোলারদের আর কেউ নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। অন্যদিকে সেই জিমি নিশামই শেষ মুহূর্তে ঝড় তুলেছিলেন। যদিও বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইন ডিএল মেথডে ১৭ রানে ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের রান ছিল ৯৫। জিমি নিশাম এবং মিচেল সান্তনারের ব্যাটে জয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল নিউজিল্যান্ড। এমন সময়ই নামে বৃষ্টি। তুমুল বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। শেষে বৃষ্টি বন্ধ না হলে ম্যাচ রেফারি খেলা সেখানেই শেষ করে দেন। যতটুকু খেলা হয়েছে, তাতে ১৭ রান এগিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড।

পুঁজি মাত্র ১১০ রানের। তবে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভাল যে বোলারদের স্বর্গ, তা বেশ ভালো করে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন মেহেদী-শরিফুলরা। ৪৯ রানেই কিউইদের ব্যাটিং শক্তির অর্ধেক সাজঘরে ফিরিয়ে দেন তারা। ভয়ঙ্কর হওয়ে ওঠা ফিন অ্যালেনকেও বোল্ড করেন শরিফুল ইসলাম।

ওপেনার ফিন অ্যালেন একপ্রান্ত ধরে কিছুক্ষণ ব্যাট না করলে হয়তো আরও বড় বিপর্যয়ে পড়তে পারতো নিউজিল্যান্ড। সবচেয়ে বড় কথা চার ব্যাটারের সবাই যখন ১ রান করে ফিরে যান, তখন কিউইদের দুর্দশা বেশ ভালোভাবেই বোঝা যায়। মেহেদী এবং শরিফুল নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। একজন হন রানআউট।

নেপিয়ারের স্মৃতিই যেন ফিরিয়ে আনলেন শেখ মেহেদী হাসান। ওই ম্যাচেও শুরুতে কিউই ইনিংসে আঘাত হেনেছিলেন তিনি। এবারও মাত্র ১১০ রানকে পুঁজি করে বোলিং করতে এসে শুরুতেই ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। ফেরান টিম সেইফার্ট এবং ড্যারিল মিচেলকে।

আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য ৩৪ পেনাল্টির ম্যাচ 

প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় ১১০ রানে। জবাব দিতে নেমে কিউই ব্যাটার ফিন অ্যালেন শুরু থেকেই মারমুখি। অন্যপ্রান্তে মারমুখী ছিলেন বোলরা মেহেদী। দ্বিতীয় ওভারেই দলীয় ১৬ রানের মাথায় স্ট্যাম্পিং হয়ে যান টিম সেইফার্ট। ১ রান করেন তিনি।

এরপর দলীয় ২৬ রানের মাথায় আউট হয়ে যান ড্যারিল মিচেল। মেহেদীর বলে নাজমুল শান্তর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। করেন ১ রান। এরপর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। তার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে গেলেন গ্লেন ফিলিপস। ৪ বলে তিনিও করেন ১ রান।

এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে সর্বোচ্চ ফায়দা লুটে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড বোলাররা। বাংলাদেশকে রানই করতে দেয়নি সঠিকভাবে। ১৯.২ ওভারে অলআউট করেছে ১১০ রানে।

নেপিয়ারে প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শেষ করা যায়নি। পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হয়। আজ তৃতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই স্লো ব্যাটিং আর উইকেট হারানোর মিছিলে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

শুরুতেই টিম সাউদির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে উইকেট পতনের সূচনা করেন সৌম্য সরকার। ৪ বলে ৪ রান করেন তিনি। রনি তালুকদার এলবিডব্লিউ হন বেন সিয়ার্সের বলে। ১০ বলে তিনি করেন ১০ রান।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ছিলই। ৩১ রানে দ্বিতীয়, ৪১ রানে তৃতীয়, ৫৯ রানে তৃতীয়- এভাবে একের পর এক উইকেট পড়ছিলই। সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১৬ রান আসে তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। আফিফ হোসেন করেন ১৪ রান।

রিশাদ হোসেন ১০ রান করেন। এছাড়া লিটনের পরিবর্তে খেলা শামীম হোসনে পাটোয়ারী করেন মাত্র ৯ রান। শেখ মেহেদী ১৩ বলে করেন ৪ রান। শেষ পর্যন্ত ৪ বল বাকি থাকতেই ১১০ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ৪ উইকেট নেন মিচেল সান্তনার, ২টি করে উইকেট নেন টিম সাউদি, অ্যাডাম মিলনে এবং বেন সিয়ার্স।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x
English Version

বৃষ্টি আইনে জিতে ড্র করল নিউজিল্যান্ড

আপডেট: ১০:২১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

১১০ রানের পুঁজিকে রক্ষা করার জন্য মেহেদী হাসান এবং শরিফুল ইসলামই যা লড়াই করলেন। অন্য বোলারদের আর কেউ নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। অন্যদিকে সেই জিমি নিশামই শেষ মুহূর্তে ঝড় তুলেছিলেন। যদিও বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইন ডিএল মেথডে ১৭ রানে ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের রান ছিল ৯৫। জিমি নিশাম এবং মিচেল সান্তনারের ব্যাটে জয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল নিউজিল্যান্ড। এমন সময়ই নামে বৃষ্টি। তুমুল বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। শেষে বৃষ্টি বন্ধ না হলে ম্যাচ রেফারি খেলা সেখানেই শেষ করে দেন। যতটুকু খেলা হয়েছে, তাতে ১৭ রান এগিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড।

পুঁজি মাত্র ১১০ রানের। তবে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভাল যে বোলারদের স্বর্গ, তা বেশ ভালো করে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন মেহেদী-শরিফুলরা। ৪৯ রানেই কিউইদের ব্যাটিং শক্তির অর্ধেক সাজঘরে ফিরিয়ে দেন তারা। ভয়ঙ্কর হওয়ে ওঠা ফিন অ্যালেনকেও বোল্ড করেন শরিফুল ইসলাম।

ওপেনার ফিন অ্যালেন একপ্রান্ত ধরে কিছুক্ষণ ব্যাট না করলে হয়তো আরও বড় বিপর্যয়ে পড়তে পারতো নিউজিল্যান্ড। সবচেয়ে বড় কথা চার ব্যাটারের সবাই যখন ১ রান করে ফিরে যান, তখন কিউইদের দুর্দশা বেশ ভালোভাবেই বোঝা যায়। মেহেদী এবং শরিফুল নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। একজন হন রানআউট।

নেপিয়ারের স্মৃতিই যেন ফিরিয়ে আনলেন শেখ মেহেদী হাসান। ওই ম্যাচেও শুরুতে কিউই ইনিংসে আঘাত হেনেছিলেন তিনি। এবারও মাত্র ১১০ রানকে পুঁজি করে বোলিং করতে এসে শুরুতেই ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। ফেরান টিম সেইফার্ট এবং ড্যারিল মিচেলকে।

আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য ৩৪ পেনাল্টির ম্যাচ 

প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় ১১০ রানে। জবাব দিতে নেমে কিউই ব্যাটার ফিন অ্যালেন শুরু থেকেই মারমুখি। অন্যপ্রান্তে মারমুখী ছিলেন বোলরা মেহেদী। দ্বিতীয় ওভারেই দলীয় ১৬ রানের মাথায় স্ট্যাম্পিং হয়ে যান টিম সেইফার্ট। ১ রান করেন তিনি।

এরপর দলীয় ২৬ রানের মাথায় আউট হয়ে যান ড্যারিল মিচেল। মেহেদীর বলে নাজমুল শান্তর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। করেন ১ রান। এরপর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। তার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে গেলেন গ্লেন ফিলিপস। ৪ বলে তিনিও করেন ১ রান।

এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে সর্বোচ্চ ফায়দা লুটে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড বোলাররা। বাংলাদেশকে রানই করতে দেয়নি সঠিকভাবে। ১৯.২ ওভারে অলআউট করেছে ১১০ রানে।

নেপিয়ারে প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শেষ করা যায়নি। পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হয়। আজ তৃতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই স্লো ব্যাটিং আর উইকেট হারানোর মিছিলে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

শুরুতেই টিম সাউদির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে উইকেট পতনের সূচনা করেন সৌম্য সরকার। ৪ বলে ৪ রান করেন তিনি। রনি তালুকদার এলবিডব্লিউ হন বেন সিয়ার্সের বলে। ১০ বলে তিনি করেন ১০ রান।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ছিলই। ৩১ রানে দ্বিতীয়, ৪১ রানে তৃতীয়, ৫৯ রানে তৃতীয়- এভাবে একের পর এক উইকেট পড়ছিলই। সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১৬ রান আসে তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। আফিফ হোসেন করেন ১৪ রান।

রিশাদ হোসেন ১০ রান করেন। এছাড়া লিটনের পরিবর্তে খেলা শামীম হোসনে পাটোয়ারী করেন মাত্র ৯ রান। শেখ মেহেদী ১৩ বলে করেন ৪ রান। শেষ পর্যন্ত ৪ বল বাকি থাকতেই ১১০ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ৪ উইকেট নেন মিচেল সান্তনার, ২টি করে উইকেট নেন টিম সাউদি, অ্যাডাম মিলনে এবং বেন সিয়ার্স।

ঢাকা/এসএইচ