বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমেছে
- আপডেট: ০৬:২৪:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪১৪৯ বার দেখা হয়েছে
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। জুলাই-আগস্টের কোনো মাসেই আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি ব্যাংক খাত। আগস্টের এই প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশ ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ১৫ শতাংশ কম।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট মাস শেষে বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। তখন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ঋণে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়া আগের মাসের তুলনায় খাতটিতে ঋণ বেড়েছে ৯ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।
ব্যাংকাররা বলছেন, ডলারের বাজারের অস্থিরতা, এলসি খোলার পরিমাণ কমে যাওয়া, ঋণ খেলাপি বৃদ্ধি পাওয়া এবং ব্যাংক খাতে তারল্য সংকটের কারণে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমেছে।
আগের মাস জুলাইয়ে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ করা হয়েছিলো ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এ খাতে ঋণ বেড়েছে ৯ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। এছাড়া ২০২২ সালের আগস্টে ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিলো।
আরও পড়ুন: আট ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ২৬ হাজার কোটি টাকা
সাধারণভাবে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে থাকে। তবে ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো তা নেমে যায় ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে। করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর ব্যাপক হারে কমে গিয়ে ২০২০ সালের মে মাসের শেষে প্রবৃদ্ধি নামে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে। তবে পরের মাস জুন থেকে তা অল্প অল্প করে বাড়তে থাকে।
আর্থিক সংকটের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। এসবের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে, ডলার সংকট বেশ ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। এ সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করছে। এতে রিজার্ভের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গতকালও রিজার্ভ থেকে ৩৫০ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়। এর ফলে বর্তমানে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৫ কোটি ডলারের কাছাকাছি।
ঢাকা/এসএ