বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নবায়ন গুজবে নেতিবাচক প্রভাব

- আপডেট: ১১:২৪:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ ২০২১
- / ১০৭২০ বার দেখা হয়েছে
বেসরকারি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নবায়ন নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। যদিও এই গুজবের সাথে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সাথে কোন সম্পর্ক নেই।
কয়েকটি কোম্পানি সাথে যোগাযেআ করে জানা গেছে, সম্প্রতি সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নামে পরিচিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে পুঁজিবাজারের কোম্পানিগুলোর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। কারণ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো হলো ইনডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট (আইপিপি)। রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ হলে তাদের আয় আরও বেড়ে যেতে পারে।
শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন:বিজনেসজার্নাল–বিজনেসজার্নাল.বিডি
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, “এখন বড় বড় সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আছে। সামনে আরও উৎপাদনে আসছে। “এখন আর ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রের দরকার নেই। আমরা প্রয়োজন অনুসারে সেগুলো বন্ধ করে দিতে বলেছি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মোঃ ইয়াছিন আহমেদ সানবিডিকে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাথে কিছু শব্দ আছে; যা অনেকই সঠিকভাবে বুঝতে পারে না। ফলে অনেক সময় ভুলভাবে বিষয়টি উপস্থাপন হয়। মন্ত্রণালয় রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের কথা বলেছে। শাহজিবাজারের এই জাতীয় কোন কেন্দ্র নেই। ফলে শাহজিবাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কোন কারণ নেই।
শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মোঃ ইয়াছিন আহমেদ বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাথে অনেক টেকনিক্যাল বিষয় জড়িত থাকায় অনেকে খবরটির ভুল অর্থ করেছেন। বাস্তবে মন্ত্রণালয়ের ওই সিদ্ধান্ত (রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া) কার্যকর হলে তাদের কোম্পানির উপর কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানি কোনো রেন্টাল বা কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করছে না।
শাহজিবাজার পাওয়ার নিজে সরাসরি একটি আইপিপি পরিচালনা করছে পেট্রোম্যাক্স রিফাইনারি লিমিটেড থেকে। এটি একটি মেয়াদহীন স্থায়ী কোম্পানি। কোম্পানিটি অকটেন ও পেট্রোল পরিশোধন করে। অন্যদিকে শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির আরও কয়েকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে মিডল্যান্ড পাওয়ারের মেয়াদ আছে ৭ বছর এবং মিডল্যান্ড পাওয়ার ইস্ট লিমিটেডের মেয়াদ আছে ১২ বছর।
বারাকা গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) গণমাধ্যমকে বলেন, কয়েক ধরণের কোম্পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এর মধ্যে ইনডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট (আইপিপি), রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল আছে। এর মধ্যে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বন্ধের কথা বলা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎতের দাম আইপিপির তুলনায় একটু বেশি। ফলে সংসদীয় কমিটি এগুলো বন্ধের কথা বলেছে। এগুলো বন্ধ হলে আইপিপির চাহিদে বেড়ে যাবে।
বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এএ
আরও পড়ুন:
- বুধবার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজারের লেনদেন
- ১৩টি ব্রোকারজ হাউজে সতর্কতা জারি বিএসইসির
- মিয়ানমারের বিক্ষোভে একদিনেই নিহত ৭১ জন
- ই-কমার্স ব্যবসা চালু করছে গোল্ডেন হার্ভেস্ট
- পিপলস লিজিংঃ ১২২ ঋণখেলাপির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা
- বিনিয়োগকারীদের গলার কাঁটা মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড
- ব্যাংক খাতে ভর করে সূচকের পালে হাওয়া!
- ৮০ হাজার প্রবাসী এ পর্যন্ত আইপিও আবেদন করেছেন
- রেমিট্যান্স পুঁজিবাজারে কাজে লাগাতে চায় বিএসইসি:শেখ শামসুদ্দিন
- অবশেষে বাড়ছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড সীমা
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩৫৪ কর্মকর্তার তালিকা হাইকোর্টে
- বিবিএস পরিচালকের শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন
- প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
- পি কে হালদারের দেশত্যাগ : ৬৭ পুলিশের তালিকা হাইকোর্টে
- এস কে সুর ও শাহ আলম কেন গ্রেফতার হচ্ছেন না?