০৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ব্যাংকের তালিকাভূক্তিতে শেয়ারবাজারে ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:৩৩:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪৩৪৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্তির ক্ষেত্রে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা বেধে দিলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অর্থ্যাৎ আইপিওর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে শেয়ারবাজারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ন্যূনতম ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে যেসব ব্যাংক শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য আইপিওতে আবেদন করেছে এবং ভবিষ্যতে যেসব ব্যাংক আবেদন করবে তাদেরকে এ শর্ত মেনে চলতে হবে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে গত ২১ এপ্রিল শেয়ারবাজারে ২০০ কোটি টাকা করে বিনিয়োগের জন্য গঠিত বিশেষ তহবিলের হালনাগাদ তথ্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর কাছে জানতে চেয়েছে বিএসইসি। একইসঙ্গে বিশেষ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে (এসপিএফ) আরও ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের তথ্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।

সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে (সিইও) এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই, সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের অবহিত করেছে বিএসইসি। 

দেশে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি। এর মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে ৩১টি ব্যাংক। আর অ-তালিকাভুক্ত রয়েছে ৩০টি ব্যাংক। সব ব্যাংকের কাছে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শেয়ারবাজারে তারল্য সমাধানের লক্ষ্যে প্রত্যেক তফসিলি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের জন্য সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জারি করা ওই সার্কুলার অনুযায়ী, তফসিলি ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলো ওই বিশষ তহবিল থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ শুরু করেছে। তবে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগের তথ্য প্রতিনিয়ত সংরক্ষণ করা হয়নি। ফলে শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর কী পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে, সেই তথ্য বিএসইসির কাছে নেই।

আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে ব্যাংকগুলোকে গঠিত বিশেষ তহবিল ও তার বিনিয়োগের তথ্য জানাতে অনুরোধ জানানো হলো। একই সঙ্গে বিশেষ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের তথ্যও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জানানোর জন্য চিঠিতে উল্লেখ করে বিএসইসি।

এ বিষয়ে বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর কাছে গঠিত বিশেষ তহবিলের বিনিয়োগ সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। ব্যাংকগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যাবে ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে কী পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে।’

এদিকে, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে কিনা, সেটি আমরা প্রতিনিয়তই মনিটরিং করছি। যারা বিনিয়োগ করছে না তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে বিনিয়োগের জন্য। এছাড়া, নতুন যেসব ব্যাংক তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করছে, তাদের আবেদনের পর পরই ২০০ কোটি টাকা বাধ্যতামূলকভাবে বিনিয়োগ করতে বলা হচ্ছে।’

ঢাকা/নইম

শেয়ার করুন

x
English Version

ব্যাংকের তালিকাভূক্তিতে শেয়ারবাজারে ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক

আপডেট: ০৯:৩৩:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্তির ক্ষেত্রে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা বেধে দিলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অর্থ্যাৎ আইপিওর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে শেয়ারবাজারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ন্যূনতম ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে যেসব ব্যাংক শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য আইপিওতে আবেদন করেছে এবং ভবিষ্যতে যেসব ব্যাংক আবেদন করবে তাদেরকে এ শর্ত মেনে চলতে হবে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে গত ২১ এপ্রিল শেয়ারবাজারে ২০০ কোটি টাকা করে বিনিয়োগের জন্য গঠিত বিশেষ তহবিলের হালনাগাদ তথ্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর কাছে জানতে চেয়েছে বিএসইসি। একইসঙ্গে বিশেষ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে (এসপিএফ) আরও ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের তথ্য তফসিলি ব্যাংকগুলোর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।

সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে (সিইও) এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই, সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের অবহিত করেছে বিএসইসি। 

দেশে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি। এর মধ্যে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে ৩১টি ব্যাংক। আর অ-তালিকাভুক্ত রয়েছে ৩০টি ব্যাংক। সব ব্যাংকের কাছে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শেয়ারবাজারে তারল্য সমাধানের লক্ষ্যে প্রত্যেক তফসিলি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের জন্য সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জারি করা ওই সার্কুলার অনুযায়ী, তফসিলি ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলো ওই বিশষ তহবিল থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ শুরু করেছে। তবে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগের তথ্য প্রতিনিয়ত সংরক্ষণ করা হয়নি। ফলে শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর কী পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে, সেই তথ্য বিএসইসির কাছে নেই।

আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে ব্যাংকগুলোকে গঠিত বিশেষ তহবিল ও তার বিনিয়োগের তথ্য জানাতে অনুরোধ জানানো হলো। একই সঙ্গে বিশেষ মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের তথ্যও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জানানোর জন্য চিঠিতে উল্লেখ করে বিএসইসি।

এ বিষয়ে বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর কাছে গঠিত বিশেষ তহবিলের বিনিয়োগ সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। ব্যাংকগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যাবে ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে কী পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে।’

এদিকে, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে কিনা, সেটি আমরা প্রতিনিয়তই মনিটরিং করছি। যারা বিনিয়োগ করছে না তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে বিনিয়োগের জন্য। এছাড়া, নতুন যেসব ব্যাংক তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করছে, তাদের আবেদনের পর পরই ২০০ কোটি টাকা বাধ্যতামূলকভাবে বিনিয়োগ করতে বলা হচ্ছে।’

ঢাকা/নইম