০৬:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভারতে অনুপ্রবেশকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের ফেরত চাইল মিয়ানমার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:০৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১
  • / ৪১৩৯ বার দেখা হয়েছে

সীমান্ত অতিক্রম করা পুলিশ কর্মকর্তাদের ফেরত চেয়ে ভারতকে চিঠি দিয়েছে মিয়ানমার। দেশটির ওই সব পুলিশ কর্মকর্তা সম্প্রতি জান্তা সরকারের নির্দেশ পালনে অস্বীকৃতি জানিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান।

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা কর্তৃপক্ষ এক চিঠিতে ভারতকে ‘বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখতে’ আটজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করে তাদের কাছে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে।

মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ভারতের মিজোরাম রাজ্যের কর্মকর্তারা গতকাল শনিবার (০৬ সার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিয়ানমার পুলিশের নিম্ন পদের কিছু কর্মকর্তা দেশ ছেড়ে ভারতে ঢুকেছেন। ভারতীয় কর্মকর্তাদের দাবি, আগতরা বলেছেন তারা সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালানো এবং বিক্ষোভকারীদের দমন-নির্যাতনে সামরিক জান্তার আদেশ মানতে চান না বলেই এমনটি করেছেন।

ভারতের মিজোরাম রাজ্যের চাম্ফাই জেলার কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মারিয়া জুয়ালি টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, বর্তমানে, আমরা আর কাউকে ঢুকতে দিচ্ছি না। শুক্রবার থেকে ভারতের সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে পুলিশও টহলে অংশ নিয়েছে।

মিয়ানমারে সামরিক শাসনবিরোধী বিক্ষোভে দমন-পীড়নের আদেশ মানতে নারাজ এমন অন্তত ৩০ জন নিম্ন পদের পুলিশ কর্মকর্তা অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ভারতে ঢুকেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য রয়টার্সকে জানান মিজোরাম রাজ্যের জ্যেষ্ঠ একজন পুলিশ কর্মকর্তা।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে আটক করে ক্ষমতা দখল করে।

গত নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সু চির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে যদিও এর সপক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি।

সু চি দেশটির বিচ্ছিন্ন রাজধানী নেইপিদোতে আটক রয়েছেন বলে জানা গেছে। সেনাবাহিনী এর আগে তাদের কয়েক দশক ক্ষমতায় থাকাকালে এই রাজধানী নির্মাণ করে।

অভ্যুত্থান ও সহিংসতার কারণে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে রয়েছে মিয়ানমার। নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। কিন্তু ক্ষমতা দখলকারীরা এখনো নিজেদের সিদ্ধান্তে দৃশ্যত অটল।

 

আরও পড়ু্ন:

শেয়ার করুন

x
English Version

ভারতে অনুপ্রবেশকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের ফেরত চাইল মিয়ানমার

আপডেট: ০১:০৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মার্চ ২০২১

সীমান্ত অতিক্রম করা পুলিশ কর্মকর্তাদের ফেরত চেয়ে ভারতকে চিঠি দিয়েছে মিয়ানমার। দেশটির ওই সব পুলিশ কর্মকর্তা সম্প্রতি জান্তা সরকারের নির্দেশ পালনে অস্বীকৃতি জানিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান।

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা কর্তৃপক্ষ এক চিঠিতে ভারতকে ‘বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখতে’ আটজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করে তাদের কাছে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে।

মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ভারতের মিজোরাম রাজ্যের কর্মকর্তারা গতকাল শনিবার (০৬ সার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিয়ানমার পুলিশের নিম্ন পদের কিছু কর্মকর্তা দেশ ছেড়ে ভারতে ঢুকেছেন। ভারতীয় কর্মকর্তাদের দাবি, আগতরা বলেছেন তারা সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালানো এবং বিক্ষোভকারীদের দমন-নির্যাতনে সামরিক জান্তার আদেশ মানতে চান না বলেই এমনটি করেছেন।

ভারতের মিজোরাম রাজ্যের চাম্ফাই জেলার কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মারিয়া জুয়ালি টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, বর্তমানে, আমরা আর কাউকে ঢুকতে দিচ্ছি না। শুক্রবার থেকে ভারতের সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে পুলিশও টহলে অংশ নিয়েছে।

মিয়ানমারে সামরিক শাসনবিরোধী বিক্ষোভে দমন-পীড়নের আদেশ মানতে নারাজ এমন অন্তত ৩০ জন নিম্ন পদের পুলিশ কর্মকর্তা অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ভারতে ঢুকেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ তথ্য রয়টার্সকে জানান মিজোরাম রাজ্যের জ্যেষ্ঠ একজন পুলিশ কর্মকর্তা।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে আটক করে ক্ষমতা দখল করে।

গত নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সু চির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে যদিও এর সপক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি।

সু চি দেশটির বিচ্ছিন্ন রাজধানী নেইপিদোতে আটক রয়েছেন বলে জানা গেছে। সেনাবাহিনী এর আগে তাদের কয়েক দশক ক্ষমতায় থাকাকালে এই রাজধানী নির্মাণ করে।

অভ্যুত্থান ও সহিংসতার কারণে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে রয়েছে মিয়ানমার। নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। কিন্তু ক্ষমতা দখলকারীরা এখনো নিজেদের সিদ্ধান্তে দৃশ্যত অটল।

 

আরও পড়ু্ন: