০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

‘মাঠে খেলা দেখা চুক্তিতে নেই’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১৫০ বার দেখা হয়েছে

হঠাৎই জেমি ডের প্রতি কঠোর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার নির্বাহী কমিটির সভা শেষে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সরাসরি বলে দিলেন, ‘আমি চাই মাঠে গিয়ে জেমি খেলা দেখুক।’ তিন বছর ধরে জাতীয় দলের কোচের পদে থাকা জেমি খেলা না থাকলে বেশিরভাগ সময়ই ছুটি কাটান। এটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। সালাউদ্দিনের এমন মন্তব্যের পর চাপটাও বেড়ে গেল ব্রিটিশ এ কোচের ওপর। তবে বর্তমানে ইংল্যান্ডে অবস্থান করা জেমি ডে এটা নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাচ্ছেন না; বরং তার সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে বাফুফের, সেখানে নাকি লেখা নেই মাঠে গিয়ে খেলা দেখার।

গতকাল সমকালের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘বাফুফের সঙ্গে আমার যে চুক্তি তাতে লেখা নেই মাঠে গিয়ে খেলা দেখার। তবে আমি একজন কোচ। আর দল নির্বাচন করতে গেলে আমাকে খেলা দেখতেই হবে। তাই আমি বেশিরভাগ ম্যাচ মাঠে গিয়ে দেখার চেষ্টা করব। জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসব আমি। প্রিমিয়ার লিগের খেলা দেখব। এখন এখানে বসে টিভিতে খেলা দেখছি।’

গত ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ফুটবল ম্যাচের পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন জেমি ডে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়াতে পারেননি বাংলাদেশ কোচ। কভিড পজিটিভ হয়ে কাতারে গিয়ে ৪ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ছিলেন। সেখান থেকে ঢাকায় না এসে চলে যান ইংল্যান্ডে। তখনই গুজব ওঠে, তাকে বরখাস্ত করতে যাচ্ছে বাফুফে। তবে সেটা যে সেফ্র গুজব ছিল, তা পরে নিশ্চিত করেন ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাফুফে সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ এমপি। সেই সময় কাজী নাবিলও বলেছিলেন যে, জেমি কতদিন ঢাকায় থাকবেন আর কতদিন ছুটি কাটাবেন, তা চুক্তিতেই আছে। নাবিলের মতো একই কথা শুক্রবার বলেছেন জেমি, ‘চুক্তি সম্পর্কে আমি এবং বাফুফে দু’পক্ষই অবগত আছি। আমি কতদিন বাংলাদেশে থাকব, আর কতদিন ছুটি কাটাব, তা চুক্তিতেই লেখা আছে। চুক্তির বাইরেও তো আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক কিছু করি। আসলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা পরিবারের মতো। এখানে কোনো ইস্যু সামনে না আনাটাই ভালো। আর আমি তো সর্বশেষ হওয়া লিগের ৩৪ রাউন্ডের মধ্যে ২৯ রাউন্ড দেখেছি। আমি নব্বই ভাগের মতো খেলা দেখেছি। তবে আমি একটা জিনিস আপনাকে পরিষ্কার করে বলতে চাই, মাঠে থাকা আর না থাকা কোনো ব্যাপার নয়। খেলা দেখতে পারাটাই বড় বিষয়।’

২২ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে ফেডারেশন কাপ ফুটবল। ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি পর্দা নামবে নতুন মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্টটি। ১৩ জানুয়ারি শুরু হবে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাজ্যে লকডাউনের মধ্যে আছেন জেমি। বড়দিনের উৎসব ঘরে বসেই করতে হয়েছে পরিবার নিয়ে, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবারের বড়দিন ঘরে বসেই কাটাতে হয়েছে। কারণ এখানে লকডাউন করা হয়েছে।’

ঘরে বসেই ফেডারেশন কাপের ম্যাচগুলো দেখেছেন বলে জানিয়েছেন জেমি, ‘আমি এ পর্যন্ত হওয়া সব ম্যাচই দেখেছি। এখন পর্যন্ত আমার কাছে মনে হয়েছে বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ভালো করছে। আসলে সব দলের পারফরম্যান্স যে এক হবে, তা কিন্তু নয়। আপনি জানেন যে, করোনার কারণে অনেক দলই অনুশীলন করতে পারেনি। আর এটা তো মৌসুমের প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্ট।’

শেয়ার করুন

x
English Version

‘মাঠে খেলা দেখা চুক্তিতে নেই’

আপডেট: ১১:০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

হঠাৎই জেমি ডের প্রতি কঠোর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার নির্বাহী কমিটির সভা শেষে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সরাসরি বলে দিলেন, ‘আমি চাই মাঠে গিয়ে জেমি খেলা দেখুক।’ তিন বছর ধরে জাতীয় দলের কোচের পদে থাকা জেমি খেলা না থাকলে বেশিরভাগ সময়ই ছুটি কাটান। এটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। সালাউদ্দিনের এমন মন্তব্যের পর চাপটাও বেড়ে গেল ব্রিটিশ এ কোচের ওপর। তবে বর্তমানে ইংল্যান্ডে অবস্থান করা জেমি ডে এটা নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাচ্ছেন না; বরং তার সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে বাফুফের, সেখানে নাকি লেখা নেই মাঠে গিয়ে খেলা দেখার।

গতকাল সমকালের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘বাফুফের সঙ্গে আমার যে চুক্তি তাতে লেখা নেই মাঠে গিয়ে খেলা দেখার। তবে আমি একজন কোচ। আর দল নির্বাচন করতে গেলে আমাকে খেলা দেখতেই হবে। তাই আমি বেশিরভাগ ম্যাচ মাঠে গিয়ে দেখার চেষ্টা করব। জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসব আমি। প্রিমিয়ার লিগের খেলা দেখব। এখন এখানে বসে টিভিতে খেলা দেখছি।’

গত ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ফুটবল ম্যাচের পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন জেমি ডে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়াতে পারেননি বাংলাদেশ কোচ। কভিড পজিটিভ হয়ে কাতারে গিয়ে ৪ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ছিলেন। সেখান থেকে ঢাকায় না এসে চলে যান ইংল্যান্ডে। তখনই গুজব ওঠে, তাকে বরখাস্ত করতে যাচ্ছে বাফুফে। তবে সেটা যে সেফ্র গুজব ছিল, তা পরে নিশ্চিত করেন ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাফুফে সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ এমপি। সেই সময় কাজী নাবিলও বলেছিলেন যে, জেমি কতদিন ঢাকায় থাকবেন আর কতদিন ছুটি কাটাবেন, তা চুক্তিতেই আছে। নাবিলের মতো একই কথা শুক্রবার বলেছেন জেমি, ‘চুক্তি সম্পর্কে আমি এবং বাফুফে দু’পক্ষই অবগত আছি। আমি কতদিন বাংলাদেশে থাকব, আর কতদিন ছুটি কাটাব, তা চুক্তিতেই লেখা আছে। চুক্তির বাইরেও তো আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক কিছু করি। আসলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা পরিবারের মতো। এখানে কোনো ইস্যু সামনে না আনাটাই ভালো। আর আমি তো সর্বশেষ হওয়া লিগের ৩৪ রাউন্ডের মধ্যে ২৯ রাউন্ড দেখেছি। আমি নব্বই ভাগের মতো খেলা দেখেছি। তবে আমি একটা জিনিস আপনাকে পরিষ্কার করে বলতে চাই, মাঠে থাকা আর না থাকা কোনো ব্যাপার নয়। খেলা দেখতে পারাটাই বড় বিষয়।’

২২ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে ফেডারেশন কাপ ফুটবল। ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি পর্দা নামবে নতুন মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্টটি। ১৩ জানুয়ারি শুরু হবে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাজ্যে লকডাউনের মধ্যে আছেন জেমি। বড়দিনের উৎসব ঘরে বসেই করতে হয়েছে পরিবার নিয়ে, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবারের বড়দিন ঘরে বসেই কাটাতে হয়েছে। কারণ এখানে লকডাউন করা হয়েছে।’

ঘরে বসেই ফেডারেশন কাপের ম্যাচগুলো দেখেছেন বলে জানিয়েছেন জেমি, ‘আমি এ পর্যন্ত হওয়া সব ম্যাচই দেখেছি। এখন পর্যন্ত আমার কাছে মনে হয়েছে বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ভালো করছে। আসলে সব দলের পারফরম্যান্স যে এক হবে, তা কিন্তু নয়। আপনি জানেন যে, করোনার কারণে অনেক দলই অনুশীলন করতে পারেনি। আর এটা তো মৌসুমের প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্ট।’