০২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

মূল্যস্ফীতিতে খরচ সামলাতে সঞ্চয়পত্র ভাঙছেন মানুষ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:১৮:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
  • / ৪১৯১ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের মানুষ এখন অনেকটাই সঞ্চয় বিমুখ। আগের জমানো ডিপোজিট ভেঙে সংসারের খরচ মেটাচ্ছেন তারা। যার কারনে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি কমেছে ১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকার। আর আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে ৯ হাজার ২৫১ কোটি টাকা। এতে করে এ মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্রে নতুন করে বিনিয়োগ করছেন না গ্রাহক।

আরও পড়ুন: আজ থেকে ব্যাংকে লেনদেনে নতুন সময়সূচি

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অভ ট্রেজারি বিল) রেট ঘোষণা করার পর থেকে ক্রমাগত ব্যাংকঋণ ও আমানতের সুদহার বাড়ছে। ফলে অন্যান্য খাত থেকে টাকা ব্যাংকে ঢুকছে। তাই ব্যাংকের আমানত বাড়লেও বিনিয়োগ কমছে সঞ্চয়পত্রে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল ৪৯ হাজার ২৫৭ কোটি টাকার। একই সময়ে এ খাতে সরকারকে সুদ-আসল বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে ৫৬ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৭ মাসে সরকার এই খাত থেকে কোনো ঋণ পায়নি। উল্টো অতিরিক্ত পরিশোধ করতে হয়েছে ৭ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

মূল্যস্ফীতিতে খরচ সামলাতে সঞ্চয়পত্র ভাঙছেন মানুষ

আপডেট: ১২:১৮:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের মানুষ এখন অনেকটাই সঞ্চয় বিমুখ। আগের জমানো ডিপোজিট ভেঙে সংসারের খরচ মেটাচ্ছেন তারা। যার কারনে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি কমেছে ১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকার। আর আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে ৯ হাজার ২৫১ কোটি টাকা। এতে করে এ মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্রে নতুন করে বিনিয়োগ করছেন না গ্রাহক।

আরও পড়ুন: আজ থেকে ব্যাংকে লেনদেনে নতুন সময়সূচি

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অভ ট্রেজারি বিল) রেট ঘোষণা করার পর থেকে ক্রমাগত ব্যাংকঋণ ও আমানতের সুদহার বাড়ছে। ফলে অন্যান্য খাত থেকে টাকা ব্যাংকে ঢুকছে। তাই ব্যাংকের আমানত বাড়লেও বিনিয়োগ কমছে সঞ্চয়পত্রে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল ৪৯ হাজার ২৫৭ কোটি টাকার। একই সময়ে এ খাতে সরকারকে সুদ-আসল বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে ৫৬ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৭ মাসে সরকার এই খাত থেকে কোনো ঋণ পায়নি। উল্টো অতিরিক্ত পরিশোধ করতে হয়েছে ৭ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।

ঢাকা/এসএ