০৩:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মূল মার্কেটে ফিরছে ওটিসির ৪ কোম্পানি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১
  • / ৪৯৪৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) বাজার থেকে মূল বাজারে ফিরছে চারটি কোম্পানি। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানি চারটির পুনঃ তালিকাভুক্তির আবেদন অনুমোদন করেছে। কোম্পানি চারটি হলো মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, মুন্নু ফেব্রিকস ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় কোম্পানিটির চারটির পুনঃ তালিকাভুক্তির অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। কিছু শর্ত সাপেক্ষে কোম্পানিগুলোকে পুনঃ তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন লাগবে। গত মঙ্গলবারই তা অনুমোদনের জন্য বিএসইসিতে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনের পরই মূল বাজারে কোম্পানিগুলোকে পুনরায় তালিকাভুক্ত করে লেনদেনের ব্যবস্থা করা হবে।

ডিএসইর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ওটিসি বাজারে তালিকাভুক্ত এ চার কোম্পানির লেনদেন স্থগিত রয়েছে। সর্বশেষ ওটিসি বাজারে বিডি মনোস্পুল পেপারের শেয়ার ৫০ টাকায়, পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ার ১৬ টাকায়, মুন্নু ফেব্রিকসের শেয়ার ১০ টাকা ও তমিজউদ্দিনের শেয়ার ১২ টাকায় লেনদেন হয়। ২০০৯ সালে বিএসইসির নির্দেশনায় কোম্পানিগুলোকে মূল মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত করে ওটিসি বাজারে স্থানান্তর করা হয়। এক যুগ পর এসে সেগুলোকে আবারও মূল বাজারে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোম্পানিগুলোও মূল বাজারে ফিরতে আগ্রহ দেখিয়েছে।

বিএসইসি ও ডিএসই সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ধীরে ধীরে ওটিসি মার্কেটকে বিলুপ্ত করতে চায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তারই অংশ হিসেবে ওটিসি বাজারে তালিকাভুক্ত কিছু কোম্পানিকে মূল বাজারে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য কিছু কোম্পানির উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করে বিএসইসি। যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তারা মূল বাজারে ফিরতে আগ্রহী ও যেগুলোর অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভালো, সেগুলোকেই মূল বাজারে ফিরিয়ে আনতে সম্মত হয় বিএসইসি। তারই অংশ হিসেবে এ চার কোম্পানিকে মূল বাজারে ফেরানো হচ্ছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল। ২০০৯ সালে সেটি ওটিসিতে স্থানান্তরিত হয়।গত বছরের জুন শেষে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি টাকায়। সর্বশেষ ২০১৯ সালের আর্থিক বছরের জন্য কোম্পানিটি ২৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল মনোস্পুল পেপার। ২০২০ সালের জুন শেষে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩ কোটি টাকা। পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংও ১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গত বছরের জুন শেষে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩ কোটি টাকার বেশি। মুন্নু ফেব্রিকস ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। অন্য তিনটির মতো এটিও ২০০৯ সালে ওটিসি বাজারে স্থানান্তরিত হয়। ২০২০ সালের ৩০ জুন শেষে এটির পরিশোধিত মূলধন দাঁড়িয়েছে ১১৫ কোটি টাকায়।

বিএসইসি ও ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, মূল বাজারে ফিরলেও কোম্পানি চারটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সব শেয়ারের তিন বছরের লক-ইন বা বিক্রয় নিষেধাজ্ঞা থাকবে। অর্থাৎ এ তিন বছর কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা তাঁদের হাতে থাকা কোনো শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। মূল বাজারে ফেরার পর কোম্পানিগুলোতে যাতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে, এ কারণে এ বিক্রয় নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ২৬ জুলাই ওটিসি বাজারের কোম্পানি সোনালী পেপারকে মূল বাজারে ফেরত আনা হয়। মূল বাজারে ফেরত আসার পর অক্টোবরে কোম্পানিটি নগদ ও বোনাস মিলিয়ে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। বর্তমানে সোনালী পেপারের শেয়ারের বাজারমূল্য ২৫২ টাকা। নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর কোম্পানিটিকে মূল বাজারে ফিরিয়ে আনার অনুমোদন দেওয়া হয়।

ঢাকা/এইচকে

শেয়ার করুন

x
English Version

মূল মার্কেটে ফিরছে ওটিসির ৪ কোম্পানি

আপডেট: ১১:২৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) বাজার থেকে মূল বাজারে ফিরছে চারটি কোম্পানি। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানি চারটির পুনঃ তালিকাভুক্তির আবেদন অনুমোদন করেছে। কোম্পানি চারটি হলো মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, মুন্নু ফেব্রিকস ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় কোম্পানিটির চারটির পুনঃ তালিকাভুক্তির অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। কিছু শর্ত সাপেক্ষে কোম্পানিগুলোকে পুনঃ তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন লাগবে। গত মঙ্গলবারই তা অনুমোদনের জন্য বিএসইসিতে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনের পরই মূল বাজারে কোম্পানিগুলোকে পুনরায় তালিকাভুক্ত করে লেনদেনের ব্যবস্থা করা হবে।

ডিএসইর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ওটিসি বাজারে তালিকাভুক্ত এ চার কোম্পানির লেনদেন স্থগিত রয়েছে। সর্বশেষ ওটিসি বাজারে বিডি মনোস্পুল পেপারের শেয়ার ৫০ টাকায়, পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ার ১৬ টাকায়, মুন্নু ফেব্রিকসের শেয়ার ১০ টাকা ও তমিজউদ্দিনের শেয়ার ১২ টাকায় লেনদেন হয়। ২০০৯ সালে বিএসইসির নির্দেশনায় কোম্পানিগুলোকে মূল মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত করে ওটিসি বাজারে স্থানান্তর করা হয়। এক যুগ পর এসে সেগুলোকে আবারও মূল বাজারে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোম্পানিগুলোও মূল বাজারে ফিরতে আগ্রহ দেখিয়েছে।

বিএসইসি ও ডিএসই সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ধীরে ধীরে ওটিসি মার্কেটকে বিলুপ্ত করতে চায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তারই অংশ হিসেবে ওটিসি বাজারে তালিকাভুক্ত কিছু কোম্পানিকে মূল বাজারে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য কিছু কোম্পানির উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করে বিএসইসি। যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তারা মূল বাজারে ফিরতে আগ্রহী ও যেগুলোর অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভালো, সেগুলোকেই মূল বাজারে ফিরিয়ে আনতে সম্মত হয় বিএসইসি। তারই অংশ হিসেবে এ চার কোম্পানিকে মূল বাজারে ফেরানো হচ্ছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল। ২০০৯ সালে সেটি ওটিসিতে স্থানান্তরিত হয়।গত বছরের জুন শেষে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি টাকায়। সর্বশেষ ২০১৯ সালের আর্থিক বছরের জন্য কোম্পানিটি ২৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল মনোস্পুল পেপার। ২০২০ সালের জুন শেষে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩ কোটি টাকা। পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংও ১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গত বছরের জুন শেষে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩ কোটি টাকার বেশি। মুন্নু ফেব্রিকস ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। অন্য তিনটির মতো এটিও ২০০৯ সালে ওটিসি বাজারে স্থানান্তরিত হয়। ২০২০ সালের ৩০ জুন শেষে এটির পরিশোধিত মূলধন দাঁড়িয়েছে ১১৫ কোটি টাকায়।

বিএসইসি ও ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, মূল বাজারে ফিরলেও কোম্পানি চারটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সব শেয়ারের তিন বছরের লক-ইন বা বিক্রয় নিষেধাজ্ঞা থাকবে। অর্থাৎ এ তিন বছর কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা তাঁদের হাতে থাকা কোনো শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। মূল বাজারে ফেরার পর কোম্পানিগুলোতে যাতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে, এ কারণে এ বিক্রয় নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ২৬ জুলাই ওটিসি বাজারের কোম্পানি সোনালী পেপারকে মূল বাজারে ফেরত আনা হয়। মূল বাজারে ফেরত আসার পর অক্টোবরে কোম্পানিটি নগদ ও বোনাস মিলিয়ে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। বর্তমানে সোনালী পেপারের শেয়ারের বাজারমূল্য ২৫২ টাকা। নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর কোম্পানিটিকে মূল বাজারে ফিরিয়ে আনার অনুমোদন দেওয়া হয়।

ঢাকা/এইচকে