১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন ২৯২ কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৪৪:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪১৬৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে লেনদেন ও গ্রাহকের পরিমাণ। সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৯২ কোটি ২৮ লাখ টাকা করে। এর আগের মাস অর্থাৎ আগস্ট মাসের হিসাবে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন ছিল প্রায় ২৯১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মোবাইল ব্যাংকিং দেশের ব্যাংকিং সেবায় পরিবর্তনের ফলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে এক মাসের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ২৩৯ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছে ৮৭ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। এর আগে আগস্টে লেনদেনের পরিমাণ ছিলো ৮৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: ৫ বছরের মধ্যে ক্যাশলেস সোসাইটি করতে চাই: গভর্নর

অতিদ্রুত শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুযোগ তৈরি হওয়ায় মোবাইল ব্যাংকিং দেশের ব্যাংকিং সেবায় নতুন সম্ভাবনা এনে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে বিরাট এক গতি সঞ্চার করেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এই সেবা। এছাড়া যোগ হয়েছে নতুন কর্মসংস্থান।

এদিকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিনের লেনদেন ছাড়াও বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ করা যায়, করা যায় কেনা কাটা। সেবামূল্য পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, প্রবাসী আয় পাঠানো সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন পছন্দের শীর্ষে। কম খরচ ও দ্রুত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টাকা পাঠাতে প্রতিদিনই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য হিসাব খুলছেন বিপুলসংখ্যক গ্রাহক। প্রতিমাসেই বাড়ছে গ্রাহকসংখ্যা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর শেষে নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৫২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৩২। এর মধ্যে পুরুষ ১০ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার ৫৪ এবং নারী গ্রাহক সাত কোটি ৭৫ লাখ ৩২ হাজার ৭৮২। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১২৮ টি।

মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) এক মাসে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ২৫ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় দুই হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। বিভিন্ন পরিষেবার দুই হাজার ১৭৮ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় তিন হাজার ১২৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়।

এদিকে লেনদেন উৎসাহিত করতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনে সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন গ্রাহকরা দিনে এজেন্ট থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক হিসাব বা কার্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা জমা করতে পারেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংসেবা চালু করে বিকাশ। এছাড়াও নগদ সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দিচ্ছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন ২৯২ কোটি টাকা

আপডেট: ০৭:৪৪:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে লেনদেন ও গ্রাহকের পরিমাণ। সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৯২ কোটি ২৮ লাখ টাকা করে। এর আগের মাস অর্থাৎ আগস্ট মাসের হিসাবে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন ছিল প্রায় ২৯১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মোবাইল ব্যাংকিং দেশের ব্যাংকিং সেবায় পরিবর্তনের ফলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে এক মাসের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ২৩৯ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছে ৮৭ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। এর আগে আগস্টে লেনদেনের পরিমাণ ছিলো ৮৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: ৫ বছরের মধ্যে ক্যাশলেস সোসাইটি করতে চাই: গভর্নর

অতিদ্রুত শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুযোগ তৈরি হওয়ায় মোবাইল ব্যাংকিং দেশের ব্যাংকিং সেবায় নতুন সম্ভাবনা এনে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে বিরাট এক গতি সঞ্চার করেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এই সেবা। এছাড়া যোগ হয়েছে নতুন কর্মসংস্থান।

এদিকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিনের লেনদেন ছাড়াও বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ করা যায়, করা যায় কেনা কাটা। সেবামূল্য পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, প্রবাসী আয় পাঠানো সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন পছন্দের শীর্ষে। কম খরচ ও দ্রুত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টাকা পাঠাতে প্রতিদিনই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য হিসাব খুলছেন বিপুলসংখ্যক গ্রাহক। প্রতিমাসেই বাড়ছে গ্রাহকসংখ্যা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর শেষে নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৫২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৩২। এর মধ্যে পুরুষ ১০ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার ৫৪ এবং নারী গ্রাহক সাত কোটি ৭৫ লাখ ৩২ হাজার ৭৮২। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১২৮ টি।

মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) এক মাসে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ২৫ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় দুই হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। বিভিন্ন পরিষেবার দুই হাজার ১৭৮ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় তিন হাজার ১২৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়।

এদিকে লেনদেন উৎসাহিত করতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনে সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন গ্রাহকরা দিনে এজেন্ট থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক হিসাব বা কার্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা জমা করতে পারেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংসেবা চালু করে বিকাশ। এছাড়াও নগদ সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দিচ্ছে।

ঢাকা/টিএ