০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ময়মনসিংহের ৩ জনের আমৃত্যু, ৫ জনের ২০ বছরের কারাদণ্ড

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৪০ বার দেখা হয়েছে

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও ভালুকার ৯ রাজাকারের মধ্যে আটজনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।  এদের মধ্যে তিনজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড ও পাঁচজনের ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বাকি এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন-বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার।

আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-এ এফ এম ফয়জুল্লাহ, মো. শামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম ও আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল।

২০ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-মো. খলিলুর রহমান মীর, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, সিরাজুল ইসলাম তোতা ও আলিম উদ্দিন খান। আর খালাস পেয়েছন আব্দুল লতিফ।

রায়ের পরে প্রসিকিউটর সাইদুর রহমান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, যে আসামিকে খালাস দেওয়া হয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর সাত্তার পালোয়ান বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণ করতে পারেননি আদালত। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করবো।

উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখা হয়েছিল। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর যুদ্ধাপরাধের মামলার কোনো রায় দিতে পারেননি ট্রাইব্যুনাল।

মানবতাবিরোধী তিন অভিযোগে ২০১৮ সালের ৪ মার্চ এ মামলায় মোট ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।বিচার চলাকালে গ্রেপ্তার ও পলাতক দু’জনের মৃত্যু হলে আসামি ছিলেন নয়জন। এর মধ্যে পাঁচ আসামি খলিলুর রহমান মীর, মো. শামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, মো. আব্দুল্লাহ, রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী ও আব্দুল লতিফ কারাগারে ছিলেন। আর চার আসামি এ এফ এম ফয়জুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, সিরাজুল ইসলাম তোতা ও আলিম উদ্দিন খান পলাতক।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, আটকসহ বিভিন্ন অপরাধের চারটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।  অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে আব্দুল মালেক আকন্দ গ্রেপ্তারের পর বিচার চলাকালে মারা যান। পলাতক অবস্থায় মারা যান আসামি নুরুল আমিন শাজাহান।

২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত শুরু হয়। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন প্রসিকিউশন। মোট ১৮ জন সাক্ষী এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানায় প্রসিকিউশন।

 

শেয়ার করুন

x
English Version

ময়মনসিংহের ৩ জনের আমৃত্যু, ৫ জনের ২০ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট: ১২:৫২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও ভালুকার ৯ রাজাকারের মধ্যে আটজনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।  এদের মধ্যে তিনজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড ও পাঁচজনের ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বাকি এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন-বিচারপতি আমির হোসেন ও বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার।

আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-এ এফ এম ফয়জুল্লাহ, মো. শামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম ও আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল।

২০ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-মো. খলিলুর রহমান মীর, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, সিরাজুল ইসলাম তোতা ও আলিম উদ্দিন খান। আর খালাস পেয়েছন আব্দুল লতিফ।

রায়ের পরে প্রসিকিউটর সাইদুর রহমান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, যে আসামিকে খালাস দেওয়া হয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর সাত্তার পালোয়ান বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণ করতে পারেননি আদালত। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করবো।

উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখা হয়েছিল। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর যুদ্ধাপরাধের মামলার কোনো রায় দিতে পারেননি ট্রাইব্যুনাল।

মানবতাবিরোধী তিন অভিযোগে ২০১৮ সালের ৪ মার্চ এ মামলায় মোট ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।বিচার চলাকালে গ্রেপ্তার ও পলাতক দু’জনের মৃত্যু হলে আসামি ছিলেন নয়জন। এর মধ্যে পাঁচ আসামি খলিলুর রহমান মীর, মো. শামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, মো. আব্দুল্লাহ, রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী ও আব্দুল লতিফ কারাগারে ছিলেন। আর চার আসামি এ এফ এম ফয়জুল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, সিরাজুল ইসলাম তোতা ও আলিম উদ্দিন খান পলাতক।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, আটকসহ বিভিন্ন অপরাধের চারটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।  অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে আব্দুল মালেক আকন্দ গ্রেপ্তারের পর বিচার চলাকালে মারা যান। পলাতক অবস্থায় মারা যান আসামি নুরুল আমিন শাজাহান।

২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত শুরু হয়। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন প্রসিকিউশন। মোট ১৮ জন সাক্ষী এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানায় প্রসিকিউশন।