০৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

রমজানের আগেই বেড়েছে খেজুরের দাম

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মার্চ ২০২১
  • / ৪২০৯ বার দেখা হয়েছে

দরজায় কড়া নাড়ছে রমজান। আর মাত্র ক’দিন পরেই শুরু হবে রোজাকেন্দ্রিক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনাকাটার ধুম। আর এরই মধ্যে মধ্যে স্বত্ব ভোগীদের কারসাজিতে অস্থির হয়ে উঠেছে রমজানের অন্যতম ফল খেজুরের দাম। প্রতি কেজি সাধারণ মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুন দামে। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা।

শনিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গেলো বছরের টিসিবির মূল্য তালিকা অনুযায়ী প্রতি কেজি সাধারণ মানের খেজুর বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়। এ বছরও টিসিবির আজকের বাজার দর অনুযায়ী একই দাম পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে টিসিবির মূল্য তালিকা অনুযায়ী সরেজমিনে বাজারে খেজুরের দামের মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।বাজারে প্রতি কেজি সাধারণ মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায়। তবে মানভেদে এ দামের তারতম্যও দেখা গেছে।

শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও বায়তুল মোকাররম ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পাকা মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৫০০-১০০০ টাকায়। খেজুরের মধ্যে অন্যতম সুস্বাদু ও সর্বাধিক বিক্রিত খেজুর হচ্ছে আজওয়া খেজুর যা মানভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়, ম্যার্জুয়েল মরিময়ম বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়, আম্বার ৬০০-৬৫০ টাকায়, সুক্কারি খেজুর ৫৫০-৬০০ টাকায়, সুগাই ৫০০-৫০০ টাকায়, সুফরি ৪৫০-৫০০ টাকায়, তিউনিসিয়ান খেজুর-৩০০-৪০০ টাকায়, কালকি খেজুর ৫০০-৫৫০ টাকায়, দুবাইয়ের দাবাস ৩০০-৩৫০ টাকায়, মুনতাজ ৩০০-৩৫০ টাকায়, বড়ই খেজুর ২২০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে শুধুমাত্র জিহাদি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে খুচরা ও পাইকারি খেজুর ব্যবসায়ীদের দাবি বর্তমানে বাজারে ন্যায্যমূল্যে খেজুর বিক্রি হচ্ছে। তবে তারা বলছেন সামনে মানুষ রমজানের কেনাকাটা শুরু করলে বাড়তে পারে খেজুরের দাম। কারওয়ান বাজারে ভাসমান এক খেজুর বিক্রেতা বলেন, আমরা খুচরা খেজুর বিক্রি করি। আমার যেমন দামে খেজুর কিনি তার থেকে একটু লাভতো করবোই। বর্তমানে খেজুরের দাম কমই আছে। আগের বছরের চেয়েও কম দামে বিক্রি হচ্ছে খেজুর বলেও জানান তিনি। তবে সামনে রমজানের জন্য মানুষ খেজুর কেনা শুরু করলে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়বে বলে জানান এই বিক্রেতা।

তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ খেজুরের সরবারাহ রয়েছে। কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করার জন্য খেজুর মজুদ রাখছে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। বিক্রেতারা খেজুরের দাম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ক্রেতাদের মধ্যে। হাতিরপুল থেকে কারওয়ান বাজারের বাজার করতে আসা রূপালি বেগম বলেন, কাঁচা তরকারি কিনতে এসেছিলাম। সামনে রমজান তাই ফলের বাজারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় খেজুরের দাম দেখে গেলাম।

দরদাম কেমন দেখলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ আর নতুন কী দাম বেড়েছে। রোজা আসলে বিশ্বের সব দেশের রমজানকেন্দ্রিক পণ্যের দাম কমে আর আমাদের দেশে তার উল্টো। আগের বছর যে খেজুর ২০০ টাকায় কিনেছি সেটা এখন ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, রমজানকেন্দ্রিক বিভিন্ন পণ্যের বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বাজারের প্রচুর পরিমাণে খেজুর রয়েছে। তবে বাজারে যাতে করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না হয় সে ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি। আমরা এখন নিয়মিত রোজাকেন্দ্রিক পণ্যের বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। ঢাকাসহ সারাদেশে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

রমজানের আগেই বেড়েছে খেজুরের দাম

আপডেট: ১১:৩৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মার্চ ২০২১

দরজায় কড়া নাড়ছে রমজান। আর মাত্র ক’দিন পরেই শুরু হবে রোজাকেন্দ্রিক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনাকাটার ধুম। আর এরই মধ্যে মধ্যে স্বত্ব ভোগীদের কারসাজিতে অস্থির হয়ে উঠেছে রমজানের অন্যতম ফল খেজুরের দাম। প্রতি কেজি সাধারণ মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুন দামে। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা।

শনিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গেলো বছরের টিসিবির মূল্য তালিকা অনুযায়ী প্রতি কেজি সাধারণ মানের খেজুর বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়। এ বছরও টিসিবির আজকের বাজার দর অনুযায়ী একই দাম পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে টিসিবির মূল্য তালিকা অনুযায়ী সরেজমিনে বাজারে খেজুরের দামের মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।বাজারে প্রতি কেজি সাধারণ মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায়। তবে মানভেদে এ দামের তারতম্যও দেখা গেছে।

শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও বায়তুল মোকাররম ফলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পাকা মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৫০০-১০০০ টাকায়। খেজুরের মধ্যে অন্যতম সুস্বাদু ও সর্বাধিক বিক্রিত খেজুর হচ্ছে আজওয়া খেজুর যা মানভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়, ম্যার্জুয়েল মরিময়ম বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়, আম্বার ৬০০-৬৫০ টাকায়, সুক্কারি খেজুর ৫৫০-৬০০ টাকায়, সুগাই ৫০০-৫০০ টাকায়, সুফরি ৪৫০-৫০০ টাকায়, তিউনিসিয়ান খেজুর-৩০০-৪০০ টাকায়, কালকি খেজুর ৫০০-৫৫০ টাকায়, দুবাইয়ের দাবাস ৩০০-৩৫০ টাকায়, মুনতাজ ৩০০-৩৫০ টাকায়, বড়ই খেজুর ২২০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে শুধুমাত্র জিহাদি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে খুচরা ও পাইকারি খেজুর ব্যবসায়ীদের দাবি বর্তমানে বাজারে ন্যায্যমূল্যে খেজুর বিক্রি হচ্ছে। তবে তারা বলছেন সামনে মানুষ রমজানের কেনাকাটা শুরু করলে বাড়তে পারে খেজুরের দাম। কারওয়ান বাজারে ভাসমান এক খেজুর বিক্রেতা বলেন, আমরা খুচরা খেজুর বিক্রি করি। আমার যেমন দামে খেজুর কিনি তার থেকে একটু লাভতো করবোই। বর্তমানে খেজুরের দাম কমই আছে। আগের বছরের চেয়েও কম দামে বিক্রি হচ্ছে খেজুর বলেও জানান তিনি। তবে সামনে রমজানের জন্য মানুষ খেজুর কেনা শুরু করলে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়বে বলে জানান এই বিক্রেতা।

তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ খেজুরের সরবারাহ রয়েছে। কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করার জন্য খেজুর মজুদ রাখছে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। বিক্রেতারা খেজুরের দাম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ক্রেতাদের মধ্যে। হাতিরপুল থেকে কারওয়ান বাজারের বাজার করতে আসা রূপালি বেগম বলেন, কাঁচা তরকারি কিনতে এসেছিলাম। সামনে রমজান তাই ফলের বাজারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় খেজুরের দাম দেখে গেলাম।

দরদাম কেমন দেখলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ আর নতুন কী দাম বেড়েছে। রোজা আসলে বিশ্বের সব দেশের রমজানকেন্দ্রিক পণ্যের দাম কমে আর আমাদের দেশে তার উল্টো। আগের বছর যে খেজুর ২০০ টাকায় কিনেছি সেটা এখন ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, রমজানকেন্দ্রিক বিভিন্ন পণ্যের বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বাজারের প্রচুর পরিমাণে খেজুর রয়েছে। তবে বাজারে যাতে করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না হয় সে ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি। আমরা এখন নিয়মিত রোজাকেন্দ্রিক পণ্যের বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। ঢাকাসহ সারাদেশে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: