১০:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

লেনদেনের ভোগান্তি দূরীকরণে ফের চালু হচ্ছে প্রি-ওপেনিং সেশন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:০০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪২৩১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্ভার বিভ্রাট ও মোবাইল অ্যাপে লেনদেনের ভোগান্তি দূর করতে ২২ এপ্রিল ফের চালু করা হচ্ছে প্রি-ওপেনিং সেশন। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে আবারও লেনদেন শুরুর ১৫ মিনিট আগেই ক্রয়-বিক্রয়ের আদেশ দিতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি’র কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ।

দিনের শুরুতে হাজারো বিনিয়োগকারী একসাথে লগইন করায় বাড়তি চাপ তৈরি হচ্ছে ডিএসইর ট্রেডিং সার্ভার ও মোবাইল অ্যাপে। লকডাইনের কারণে বিনিয়োগকারীরা ঘরে থাকায় মোবাইল অ্যাপের ওপর নির্ভরতাও আগের চেয়ে বেড়েছে।

২০১৬ সালের ৯ মার্চ ‘ডিএসই মোবাইল’ নামে অ্যাপ্লিকেশন চালু করে ডিএসই। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন ৫২ হাজারের কিছু বেশি বিনিয়োগকারী। আর লেনদেনের জন্য সার্ভারে লগইন করতেন ১১ থেকে ১২ হাজার জন।

ডিএসইর হালনাগাদ তথ্য বলছে, এখন এই নিবন্ধিত অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬৩ হাজারের ওপরে। আর ১ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত দিনে ৪৫ হাজার পর্যন্ত অর্ডার দাখিল হচ্ছে। যা অ্যাপের সক্ষমতার চেয়ে বেশি। আর এতেই বিভ্রাট তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএসইর সিটিও জিয়াউল করিম।

তিনি বলেন, ডিএসইর সার্ভারে মোবাইল অ্যাপ থেকে এক সাথে সর্বোচ্চ ২০ হাজার লেনদেনের অর্ডার নেয়ার সক্ষমতা রয়েছে। যখনই অর্ডার বেশি হচ্ছে তখনই বিনিয়োগকারীরা লেনদেনে বিড়ম্বনায় পড়ছেন।

জিয়াউল করিম আরও বলেন, প্রি-ওপেনিং সেশন বন্ধ থাকায় সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। সকাল ১০টায় ব্রোকারেজ হাউজ ও মোবাইল অ্যাপ থেকে হাজারো বিনিয়োগকারী একযোগে অর্ডার প্লেস করছেন। ফলে চাপ সামাল দেয়া যাচ্ছে না।

গত ১৯ নভেম্বর প্রি-ওপেনিং সেশন চালু হয়েছিল পুঁজিবাজারে। যাতে লেনদেন শুরুর ১৫ মিনিট আগেই ক্রয়-বিক্রয়ের আদেশ দিতে পারতেন বিনিয়োকারীরা। তখন লেনদেন শুরুর আগেই প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ফেলতে পারতো ডিএসই। ফলে সকাল ১০ টায় যখন লেনদেন শরু হতো তখন এতোটা চাপ থাকতো না। কিন্তু গেল ৪ এপ্রিল এ সুযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় বিএসইসি।

লেনদেনে বিদ্যমান জটিলতা বা বিভ্রাটের ঘটনা এড়াতে প্রি-ওপেনিং সেশন পুনঃরায় চালুর পক্ষে ডিএসই। এজন্য বিএসইসির কাছে অনুমোদনও চওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিএসইর সার্ভারের সক্ষমতাও কমপক্ষে তিন গুণ বৃদ্ধির কথাও জানিয়েছেন ডিএসই। ডিএসইর পরিচলনা পর্ষদও ইতিমধ্যে প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ট্রেডিং সার্ভারের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভভ হবে বলে আশা করছেন সিটিও জিয়াউল করিম।

মোবাইল অ্যাপে লেনদেনে বিড়ম্বনার এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে ভাবছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও। এরই মধ্যে ডিএসই একাধিকবার বিএসইসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ২২ এপ্রিল থেকেই প্রি-ওপেনিং সেশন ফের চালু হবে। অন্যান্য টেকনিক্যাল ইস্যুগুলোর সমাধান নিয়েও চিন্তা করছে বিএসইসি।

এদিকে মোবাইল অ্যাপে লেনদেনে ভোগান্তি এড়াতে সকাল ১০টার মধ্যে লগইন করতে বিনিয়োগকারীদের প্রতি আনুরোধ জানিয়ে নিজেদের ওয়েবসাইটে নোটিশ দিয়েছে ডিএসই।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

লেনদেনের ভোগান্তি দূরীকরণে ফের চালু হচ্ছে প্রি-ওপেনিং সেশন

আপডেট: ১০:০০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্ভার বিভ্রাট ও মোবাইল অ্যাপে লেনদেনের ভোগান্তি দূর করতে ২২ এপ্রিল ফের চালু করা হচ্ছে প্রি-ওপেনিং সেশন। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে আবারও লেনদেন শুরুর ১৫ মিনিট আগেই ক্রয়-বিক্রয়ের আদেশ দিতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি’র কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ।

দিনের শুরুতে হাজারো বিনিয়োগকারী একসাথে লগইন করায় বাড়তি চাপ তৈরি হচ্ছে ডিএসইর ট্রেডিং সার্ভার ও মোবাইল অ্যাপে। লকডাইনের কারণে বিনিয়োগকারীরা ঘরে থাকায় মোবাইল অ্যাপের ওপর নির্ভরতাও আগের চেয়ে বেড়েছে।

২০১৬ সালের ৯ মার্চ ‘ডিএসই মোবাইল’ নামে অ্যাপ্লিকেশন চালু করে ডিএসই। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন ৫২ হাজারের কিছু বেশি বিনিয়োগকারী। আর লেনদেনের জন্য সার্ভারে লগইন করতেন ১১ থেকে ১২ হাজার জন।

ডিএসইর হালনাগাদ তথ্য বলছে, এখন এই নিবন্ধিত অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬৩ হাজারের ওপরে। আর ১ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত দিনে ৪৫ হাজার পর্যন্ত অর্ডার দাখিল হচ্ছে। যা অ্যাপের সক্ষমতার চেয়ে বেশি। আর এতেই বিভ্রাট তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএসইর সিটিও জিয়াউল করিম।

তিনি বলেন, ডিএসইর সার্ভারে মোবাইল অ্যাপ থেকে এক সাথে সর্বোচ্চ ২০ হাজার লেনদেনের অর্ডার নেয়ার সক্ষমতা রয়েছে। যখনই অর্ডার বেশি হচ্ছে তখনই বিনিয়োগকারীরা লেনদেনে বিড়ম্বনায় পড়ছেন।

জিয়াউল করিম আরও বলেন, প্রি-ওপেনিং সেশন বন্ধ থাকায় সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। সকাল ১০টায় ব্রোকারেজ হাউজ ও মোবাইল অ্যাপ থেকে হাজারো বিনিয়োগকারী একযোগে অর্ডার প্লেস করছেন। ফলে চাপ সামাল দেয়া যাচ্ছে না।

গত ১৯ নভেম্বর প্রি-ওপেনিং সেশন চালু হয়েছিল পুঁজিবাজারে। যাতে লেনদেন শুরুর ১৫ মিনিট আগেই ক্রয়-বিক্রয়ের আদেশ দিতে পারতেন বিনিয়োকারীরা। তখন লেনদেন শুরুর আগেই প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ফেলতে পারতো ডিএসই। ফলে সকাল ১০ টায় যখন লেনদেন শরু হতো তখন এতোটা চাপ থাকতো না। কিন্তু গেল ৪ এপ্রিল এ সুযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় বিএসইসি।

লেনদেনে বিদ্যমান জটিলতা বা বিভ্রাটের ঘটনা এড়াতে প্রি-ওপেনিং সেশন পুনঃরায় চালুর পক্ষে ডিএসই। এজন্য বিএসইসির কাছে অনুমোদনও চওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিএসইর সার্ভারের সক্ষমতাও কমপক্ষে তিন গুণ বৃদ্ধির কথাও জানিয়েছেন ডিএসই। ডিএসইর পরিচলনা পর্ষদও ইতিমধ্যে প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ট্রেডিং সার্ভারের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভভ হবে বলে আশা করছেন সিটিও জিয়াউল করিম।

মোবাইল অ্যাপে লেনদেনে বিড়ম্বনার এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে ভাবছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও। এরই মধ্যে ডিএসই একাধিকবার বিএসইসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ২২ এপ্রিল থেকেই প্রি-ওপেনিং সেশন ফের চালু হবে। অন্যান্য টেকনিক্যাল ইস্যুগুলোর সমাধান নিয়েও চিন্তা করছে বিএসইসি।

এদিকে মোবাইল অ্যাপে লেনদেনে ভোগান্তি এড়াতে সকাল ১০টার মধ্যে লগইন করতে বিনিয়োগকারীদের প্রতি আনুরোধ জানিয়ে নিজেদের ওয়েবসাইটে নোটিশ দিয়েছে ডিএসই।

ঢাকা/এসএ