লেনদেন বাড়লেও এমএফএসে ১৩ লাখ হিসাব কমেছে
- আপডেট: ০২:২৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪
- / ৪১৫৫ বার দেখা হয়েছে
চলতি অর্থবরের (২০২৩-২৪) জানুয়ারি পর্যন্ত মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসে (এমএফএস) নিবন্ধিত হিসাব দাঁড়িয়েছে প্রায় ২১ কোটি ৯২ লাখে। যা গত ডিসেম্বরের শেষে ছিল প্রায় ২২ কোটি ৫ লাখ। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে এমএফএসে হিসাব কমেছে ১৩ লাখ। জানুয়ারিতে আগের মাসের চেয়ে এমএফএসে হিসাব কমলেও লেনদেন বেড়েছে ৪ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা বা ৩.৯৩ শতাংশ।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সংশ্লিষ্টরা জানান, এমএফএস কোম্পানিগুলো এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে, তেমন নয়। বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী কোনো মোবাইল সিম কার্ড টানা ১৫ মাস নিষ্ক্রিয় থাকলে নিবন্ধন বাতিল হয়। এ ধরনের সিম কার্ডের বিপরীতে খোলা এমএফএস অ্যাকাউন্টও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে এই তথ্য হালনাগাদ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩টি এমএফএস কোম্পানির নিবন্ধিত হিসাব রয়েছে ২১ কোটি ৯১ লাখ ৭৪ হাজার। এর মধ্যে সক্রিয় তথা পূর্ববর্তী তিন মাসে একবার হলেও লেনদেন হয়েছে এমন হিসাব ৮ কোটি ৩৭ লাখ ১০ হাজার। আগের মাসে সক্রিয় ছিল ৮ কোটি ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার অ্যাকাউন্ট।
দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়ে নিবন্ধিত অ্যাকাউন্ট বেশি হওয়ার কারণ হলো একই ব্যক্তির একাধিক এমএফএস প্রতিষ্ঠানে অ্যাকাউন্ট থাকার সুযোগ রয়েছে। শুরুর দিকে একই প্রতিষ্ঠানে একাধিক হিসাব খোলা যেত। পরবর্তী সময়ে একটি আইডি কার্ডে একই প্রতিষ্ঠানে কেবল একটি হিসাব খোলার সুযোগ রাখা হয়।
আরও পড়ুন: ডলার সঙ্কটে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কার্যক্রমে থাকা ১৩টি এমএফএস প্রতিষ্ঠানের সারাদেশে এজেন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩৯ হাজার। ডিসেম্বরে যা ছিল ১৭ লাখ ২৪ হাজার। সব মিলিয়ে জানুয়ারিতে এমএফএসে মোট ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের মাসে ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। আগের মাসের চেয়ে লেনদেন বেশি হয়েছে ৪ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা বা ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
জানুয়ারির এ লেনদেন একক মাস হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা লেনদেন হয় গত বছরের জুনে। জানুয়ারির মোট লেনদেনের মধ্যে ‘ক্যাশ ইন’ হয়েছে ৪০ হাজার ২২৮ কোটি টাকা। আর ‘ক্যাশ আউট’ হয়েছে ৩৭ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি পরিশোধ হয়েছে ৩৫ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। বাকি লেনদেন হয়েছে মার্চেন্ট, সরকারি পরিশোধ, বেতন-ভাতা, ইউটিলিটি বিলসহ অন্যান্য পরিশোধে।
ঢাকা/এসএম