বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শেষ পর্যন্ত বিদায়ী অর্থবছরে (২০২০-২১) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক-কর আদায়ে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হয়েছে। শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং আয়কর—এই বিভাগে সব মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। বিদায়ী বছরে এনবিআরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা। আর মূল লক্ষ্য ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) এনবিআরে রাজস্ব আদায় পর্যালোচনা সভায় বিদায়ী অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের যথাযথ স্বরূপটি তুলে ধরা হয়। অনলাইনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। ২০২০-২১ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ে মোট প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ শতাংশ।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী বছরে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে ভ্যাট খাত থেকে। এই খাত থেকে ৯৭ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) সবচেয়ে বেশি ৪৯ হাজার ২৫১ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করেছে। ভ্যাটের পর আয়কর থেকে আদায় হয়েছে প্রায় ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। আয়করের এলটিইউ সর্বোচ্চ ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি আদায় করেছে। আদায় হওয়া রাজস্বের বাকি প্রায় ৭৭ হাজার কোটি টাকা শুল্ক খাত থেকে এসেছে।
বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম আগামী রাজস্ব আদায়ে উৎসে কর কাটার চেয়ে তদারকিভিত্তিক রাজস্ব আদায়ে মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ দেন। শুল্ক এবং কর ফাঁকি ঠেকাতে রাজস্ব বোর্ডের নজরদারি বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
এনবিআরের বেশকিছু দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ঢাকা পূর্ব, ঢাকা পশ্চিম, সিলেট ও রংপুরসহ বেশ কয়েকটি ভ্যাট কমিশনারেটের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য বাড়িয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে এনবিআর। যেহেতু হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ সিলেট অঞ্চলে এখন শিল্পকারখানা বেশি হচ্ছে এবং বিদায়ী অর্থবছরে সিলেট অঞ্চল থেকে ভ্যাট প্রবৃদ্ধি সাড়ে ১৬ শতাংশ। কিন্তু চলতি অর্থবছরে একই অঞ্চলের প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ১১ শতাংশ। বৈঠকে ঢাকা পশ্চিম ও পূর্ব এবং রংপুর ভ্যাট কমিশনারেটের রাজস্ব লক্ষ্য বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Related