০১:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

শেয়ারবাজার লুটপাট ও আর্থিক খাতের কেলেঙ্কারি নিয়ে জাতীয়পার্টির সাংসদের ক্ষোভ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:১৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
  • / ৪২৫৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শেয়ারবাজার লুটপাট ও ব্যাংকিং খাতের কেলেংকারী নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের শেয়ারবাজার লুটপাট হয় অর্থমন্ত্রী খুঁজে পান না। সিএজির গত চার বছরের অডিট প্রতিবেদন বলছে, ৩১ হাজার কোটি টাকা লুট। চার বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জালিয়াতি, সরকারি অর্থের মোট অনিয়মের ৫২ শতাংশই ব্যাংকিং খাতে। নয় বছরে অনিয়ম বেড়েছে ১৬ গুণ। এটি অডিটর জেনারেলের চার বছরের অডিট থেকেই এসেছে। 

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল উপস্থিত না থাকার সমালোচনাও করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান।

বুধবার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা বাজেট বক্তৃতা দিচ্ছি। কিন্তু আমাদের অর্থমন্ত্রীকে গতকালকেও (মঙ্গলবার) আমরা সংসদে পাইনি। আজও তিনি নেই।

পীর ফজলু বলেন, দেশের প্রথম বাজেট ছিল ৭৮৬ কোটি টাকার। অর্থমন্ত্রী বাজেট দেওয়ার দিন বলেছেন, ৭১৯ কোটি টাকার। যদি এটা ভুল হয়ে থাকে তাহলে সংশোধন করা উচিত।

তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন দেশ থেকে কারা টাকা পাচার করছে, সে তালিকা চান সংসদ সদস্যদের কাছে। সংসদ সদস্যরা কীভাবে তালিকা দেবেন। তিনি অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। তিনি তালিকা নেবেন কারা অর্থ পাচার করে। পিকে হালদার টাকা নিয়ে বিদেশে গিয়ে ঘুমায়। এটা তো আমরা চাইনি। আমরা চেয়েছিলাম পিকে হালদারদের মত লোকরা যেন অর্থ নিয়ে বাইরে যেতে না পারেন।

জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, প্রত্যেকটি অডিট রিপোর্টে আছে কীভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে। সেখান থেকে তিনি টাকা পাচারকারীদের তথ্য নিতে পারেন।

তিনি বলেন, সিএজির গত চার বছরের অডিট প্রতিবেদন বলছে, ৩১ হাজার কোটি টাকা লুট। চার বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জালিয়াতি, সরকারি অর্থের মোট অনিয়মের ৫২ শতাংশই ব্যাংকিং খাতে। নয় বছরে অনিয়ম বেড়েছে ১৬ গুণ। এটি অডিটর জেনারেলের চার বছরের অডিট থেকেই এসেছে। এখান থেকে তথ্য উনি পান না কেন?

পীর ফজলুর রহমান বলেন, আমাদের শেয়ারবাজার লুটপাট হয় অর্থমন্ত্রী খুঁজে পান না। বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট বলছে, পাঁচ বছরে এক হাজার ২৪টি অর্থ পাচারের প্রমাণ মিলছে। এটা তো সরকারি প্রতিষ্ঠানেরই তথ্য। তাহলে মন্ত্রী পান না কেন?

তিনি বলেন, সাফাই না গেয়ে যারা দুর্নীতি করছে তাদের ধরুন। এই করোনাকালে এসে অন্তত বিবেক জাগ্রত হোক। এই দুর্নীতিবাজদের ধরেন। মানুষের চিকিৎসার নিশ্চয়তা দেন। টিকা নিয়ে আমরা কোনো কথা শুনতে চাই না। টিকা নিশ্চিত করতে চাই।

শিক্ষায় কর ও মোবাইলে অর্থ লেনদেনে করারোপের সমালোচনা করে এই প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানান এই সংসদ সদস্য। অবৈধ টাকাকে কখনই সাদা করার সুযোগ দেওয়া উচিত না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য রমেশচন্দ্র সেন, ইকবাল হোসেন, ইউসুফ আব্দুল্লাহ, সংরক্ষিত আসনের নাদিরা ইয়াসমিন, নাহিদ এজহার খান, জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, বিএনপির মোশাররফ হোসেন প্রমুখ‌।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x
English Version

শেয়ারবাজার লুটপাট ও আর্থিক খাতের কেলেঙ্কারি নিয়ে জাতীয়পার্টির সাংসদের ক্ষোভ

আপডেট: ০৮:১৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: শেয়ারবাজার লুটপাট ও ব্যাংকিং খাতের কেলেংকারী নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের শেয়ারবাজার লুটপাট হয় অর্থমন্ত্রী খুঁজে পান না। সিএজির গত চার বছরের অডিট প্রতিবেদন বলছে, ৩১ হাজার কোটি টাকা লুট। চার বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জালিয়াতি, সরকারি অর্থের মোট অনিয়মের ৫২ শতাংশই ব্যাংকিং খাতে। নয় বছরে অনিয়ম বেড়েছে ১৬ গুণ। এটি অডিটর জেনারেলের চার বছরের অডিট থেকেই এসেছে। 

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল উপস্থিত না থাকার সমালোচনাও করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান।

বুধবার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা বাজেট বক্তৃতা দিচ্ছি। কিন্তু আমাদের অর্থমন্ত্রীকে গতকালকেও (মঙ্গলবার) আমরা সংসদে পাইনি। আজও তিনি নেই।

পীর ফজলু বলেন, দেশের প্রথম বাজেট ছিল ৭৮৬ কোটি টাকার। অর্থমন্ত্রী বাজেট দেওয়ার দিন বলেছেন, ৭১৯ কোটি টাকার। যদি এটা ভুল হয়ে থাকে তাহলে সংশোধন করা উচিত।

তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন দেশ থেকে কারা টাকা পাচার করছে, সে তালিকা চান সংসদ সদস্যদের কাছে। সংসদ সদস্যরা কীভাবে তালিকা দেবেন। তিনি অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। তিনি তালিকা নেবেন কারা অর্থ পাচার করে। পিকে হালদার টাকা নিয়ে বিদেশে গিয়ে ঘুমায়। এটা তো আমরা চাইনি। আমরা চেয়েছিলাম পিকে হালদারদের মত লোকরা যেন অর্থ নিয়ে বাইরে যেতে না পারেন।

জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, প্রত্যেকটি অডিট রিপোর্টে আছে কীভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে। সেখান থেকে তিনি টাকা পাচারকারীদের তথ্য নিতে পারেন।

তিনি বলেন, সিএজির গত চার বছরের অডিট প্রতিবেদন বলছে, ৩১ হাজার কোটি টাকা লুট। চার বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জালিয়াতি, সরকারি অর্থের মোট অনিয়মের ৫২ শতাংশই ব্যাংকিং খাতে। নয় বছরে অনিয়ম বেড়েছে ১৬ গুণ। এটি অডিটর জেনারেলের চার বছরের অডিট থেকেই এসেছে। এখান থেকে তথ্য উনি পান না কেন?

পীর ফজলুর রহমান বলেন, আমাদের শেয়ারবাজার লুটপাট হয় অর্থমন্ত্রী খুঁজে পান না। বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট বলছে, পাঁচ বছরে এক হাজার ২৪টি অর্থ পাচারের প্রমাণ মিলছে। এটা তো সরকারি প্রতিষ্ঠানেরই তথ্য। তাহলে মন্ত্রী পান না কেন?

তিনি বলেন, সাফাই না গেয়ে যারা দুর্নীতি করছে তাদের ধরুন। এই করোনাকালে এসে অন্তত বিবেক জাগ্রত হোক। এই দুর্নীতিবাজদের ধরেন। মানুষের চিকিৎসার নিশ্চয়তা দেন। টিকা নিয়ে আমরা কোনো কথা শুনতে চাই না। টিকা নিশ্চিত করতে চাই।

শিক্ষায় কর ও মোবাইলে অর্থ লেনদেনে করারোপের সমালোচনা করে এই প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানান এই সংসদ সদস্য। অবৈধ টাকাকে কখনই সাদা করার সুযোগ দেওয়া উচিত না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য রমেশচন্দ্র সেন, ইকবাল হোসেন, ইউসুফ আব্দুল্লাহ, সংরক্ষিত আসনের নাদিরা ইয়াসমিন, নাহিদ এজহার খান, জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, বিএনপির মোশাররফ হোসেন প্রমুখ‌।

ঢাকা/এসআর