১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সতীর্থ শত্রুকে বিক্রি করে দিতে বলেছেন মেসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ মে ২০১৮
  • / ৪৩৯৫ বার দেখা হয়েছে

অর্থকথা ডেস্ক: নতুন দুই সদস্য ফিলিপে কুতিনহো ও ইয়ারি মিনাসহ বার্সেলোনার মূল দলে খেলোয়াড় সংখ্যা এখন ২৫ জন। তাদের সবার সঙ্গেই কি ‘নেতা’ মেসির সম্পর্ক ভালো? সবাই কি মেসির বন্ধু? এতোদিন জানা ছিল, দলের সবার সঙ্গেই মেসির সম্পর্কটা মধুর। সবাই একবাক্যে মেনে নেয় মেসির কর্তৃত্ব। কিন্তু এবার জানা গেল, সবাই বন্ধু নয়। বর্তমান বার্সেলোনা দলে অন্তত একজন হলেও শত্রু আছে মেসির। তিনি আন্দ্রে গোমেজ। স্পেনের ক্রীড়া দৈনিক ডিয়ারিও গোল-এর ভাষায়, গোমেজ শুধু মেসির শত্রু নন, ‘সবচেয়ে খারাপ শত্রু!’

শত্রুর সঙ্গে বসবাস করাটা কারোরই কাম্য নয়। কোনো বুদ্ধিমান মানুষই তা চাইবে না। মেসিও শত্রু গোমেজের সঙ্গে একই ড্রেসিংরুমে থাকতে চান না। ডিয়ারিও গোলের খবর, মেসি তাই ক্লাব কর্তাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছেন গোমেজকে বিক্রি করে দিয়ে ন্যু-ক্যাম্পকে শত্রু মুক্ত করতে!

বিশ্ব ফুটবলে মেসির ব্যক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা যার সঙ্গে, সেই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর দেশ পর্তুগালের এই গোমেজ। না, রোনালদোর স্বদেশি, মেসি-গোমেজের শত্রুতার সঙ্গে এই সূত্রের যোগসাজশের প্রমাণ মেলেনি। ২০১৬ সালে ভ্যালেন্সিয়াকে থেকে গোমেজকে কিনে আনে বার্সেলোনা। শুরুতে বরং রোনালদোর স্বদেশির সঙ্গে সম্পর্কটা মধুরই ছিল মেসির। ডিয়ারিও গোলের দাবি, তাদের সেই ভালো সম্পর্কটা শত্রুতায় রূপ নিয়েছে গত কয়েক মাস আগে। ছোট্ট একটা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে।

কোন ক্ষোভ থেকে কিনা জানা যায়নি। তবে কয়েক মাস আগে নাকি গোমেজ মন্তব্য করে বসেন, বার্সেলোনায় মেসিই নিয়ম! মানে মেসি যা বলবেন, সেটাই নিয়ম! নিজ দলের একজন সতীর্থের মুখে এমন মন্তব্যে নাকি খুবই মনক্ষুন্ন হন মেসি। যা পরবর্তীতে গোমেজকে বানিয়ে দিয়েছে মেসির ‘সবচেয়ে খারাপ শত্রু!’ মেসি তাই ক্লাব কর্তাদের ‘শত্রু’ বিদায় করার দাবি জানিয়েছেন। যুক্তি হিসেবে মেসি নাকি এমন অভিযোগও করেছেন, বার্সেলোনার খেলার ধরনের সঙ্গে গোমেজ যায় না! গোমেজ বার্সেলোনায় খেলার মতো যথার্থ যোগ্য নন।

বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর প্রথম মৌসুমে প্রায় নিয়মিতই খেলার সুযোগ পেতেন গোমেজ। গত মৌসুমে বার্সার হয়ে খেলেছেন ৪৭টি ম্যাচ। কিন্তু এই মৌসুমে গোমেজকে খেলার চেয়ে রিজার্ভ বেঞ্চ গরম করেই কাটাতে হচ্ছে বেশি। লিগে ১৮ ম্যাচের মধ্যে গোমেজ মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ৯ ম্যাচে। যার বেশির ভাগ ম্যাচেই আবার নেমেছেন বদলি হিসেবে।

ম্যাচের পর ম্যাচ বসে থেকে গোমেজ নিজেও নাকি মনক্ষুন্ন। তাই তিনিও বার্সেলোনা ছাড়তে চাইছেন। গোমেজের বিশ্বখ্যাত এজেন্ট হোর্হে মেন্ডেস নাকি এরই মধ্যে বার্সেলোনা কর্তাদের গোমেজ বিক্রি করে দেওয়ার দাবিও জানান। বার্সা অবশ্য মেন্ডেজের সেই আবদারে রাজি হয়নি।

তবে ডিয়ারিও গোলের খবর যদি সত্যি হয়, সত্যিই যদি মেসি গোমেজকে বিক্রি করে দেওয়ার কথা বলে থাকেন, বার্সা কর্তারা সিদ্ধান্ত পাল্টে পর্তুগিজ মিডফিল্ডারকে বিক্রির নিলামে তুলতেও পারেন। দলের প্রানভোমড়া মেসিকে খুশি করার ব্যাপার বলে কথা।

তাছাড়া ধার-দেনা করে কুতিনহোকে কেনা বার্সেলোনার তহবিল সংগ্রহ করাটাও এখন খুব দরকার। টাকা সংগ্রহের জন্য এরই মধ্যে দলের একাধিক খেলোয়াড়কে ‘বিক্রি’র জন্য বাছাইও করেছে তারা। মেসিকে খুশি করতে সেই তালিকায় গোমেজের নামটি যোগ করে নিলে কি এমন হবে!

শেয়ার করুন

x
English Version

সতীর্থ শত্রুকে বিক্রি করে দিতে বলেছেন মেসি

আপডেট: ০৪:০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ মে ২০১৮

অর্থকথা ডেস্ক: নতুন দুই সদস্য ফিলিপে কুতিনহো ও ইয়ারি মিনাসহ বার্সেলোনার মূল দলে খেলোয়াড় সংখ্যা এখন ২৫ জন। তাদের সবার সঙ্গেই কি ‘নেতা’ মেসির সম্পর্ক ভালো? সবাই কি মেসির বন্ধু? এতোদিন জানা ছিল, দলের সবার সঙ্গেই মেসির সম্পর্কটা মধুর। সবাই একবাক্যে মেনে নেয় মেসির কর্তৃত্ব। কিন্তু এবার জানা গেল, সবাই বন্ধু নয়। বর্তমান বার্সেলোনা দলে অন্তত একজন হলেও শত্রু আছে মেসির। তিনি আন্দ্রে গোমেজ। স্পেনের ক্রীড়া দৈনিক ডিয়ারিও গোল-এর ভাষায়, গোমেজ শুধু মেসির শত্রু নন, ‘সবচেয়ে খারাপ শত্রু!’

শত্রুর সঙ্গে বসবাস করাটা কারোরই কাম্য নয়। কোনো বুদ্ধিমান মানুষই তা চাইবে না। মেসিও শত্রু গোমেজের সঙ্গে একই ড্রেসিংরুমে থাকতে চান না। ডিয়ারিও গোলের খবর, মেসি তাই ক্লাব কর্তাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছেন গোমেজকে বিক্রি করে দিয়ে ন্যু-ক্যাম্পকে শত্রু মুক্ত করতে!

বিশ্ব ফুটবলে মেসির ব্যক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা যার সঙ্গে, সেই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর দেশ পর্তুগালের এই গোমেজ। না, রোনালদোর স্বদেশি, মেসি-গোমেজের শত্রুতার সঙ্গে এই সূত্রের যোগসাজশের প্রমাণ মেলেনি। ২০১৬ সালে ভ্যালেন্সিয়াকে থেকে গোমেজকে কিনে আনে বার্সেলোনা। শুরুতে বরং রোনালদোর স্বদেশির সঙ্গে সম্পর্কটা মধুরই ছিল মেসির। ডিয়ারিও গোলের দাবি, তাদের সেই ভালো সম্পর্কটা শত্রুতায় রূপ নিয়েছে গত কয়েক মাস আগে। ছোট্ট একটা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে।

কোন ক্ষোভ থেকে কিনা জানা যায়নি। তবে কয়েক মাস আগে নাকি গোমেজ মন্তব্য করে বসেন, বার্সেলোনায় মেসিই নিয়ম! মানে মেসি যা বলবেন, সেটাই নিয়ম! নিজ দলের একজন সতীর্থের মুখে এমন মন্তব্যে নাকি খুবই মনক্ষুন্ন হন মেসি। যা পরবর্তীতে গোমেজকে বানিয়ে দিয়েছে মেসির ‘সবচেয়ে খারাপ শত্রু!’ মেসি তাই ক্লাব কর্তাদের ‘শত্রু’ বিদায় করার দাবি জানিয়েছেন। যুক্তি হিসেবে মেসি নাকি এমন অভিযোগও করেছেন, বার্সেলোনার খেলার ধরনের সঙ্গে গোমেজ যায় না! গোমেজ বার্সেলোনায় খেলার মতো যথার্থ যোগ্য নন।

বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর প্রথম মৌসুমে প্রায় নিয়মিতই খেলার সুযোগ পেতেন গোমেজ। গত মৌসুমে বার্সার হয়ে খেলেছেন ৪৭টি ম্যাচ। কিন্তু এই মৌসুমে গোমেজকে খেলার চেয়ে রিজার্ভ বেঞ্চ গরম করেই কাটাতে হচ্ছে বেশি। লিগে ১৮ ম্যাচের মধ্যে গোমেজ মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ৯ ম্যাচে। যার বেশির ভাগ ম্যাচেই আবার নেমেছেন বদলি হিসেবে।

ম্যাচের পর ম্যাচ বসে থেকে গোমেজ নিজেও নাকি মনক্ষুন্ন। তাই তিনিও বার্সেলোনা ছাড়তে চাইছেন। গোমেজের বিশ্বখ্যাত এজেন্ট হোর্হে মেন্ডেস নাকি এরই মধ্যে বার্সেলোনা কর্তাদের গোমেজ বিক্রি করে দেওয়ার দাবিও জানান। বার্সা অবশ্য মেন্ডেজের সেই আবদারে রাজি হয়নি।

তবে ডিয়ারিও গোলের খবর যদি সত্যি হয়, সত্যিই যদি মেসি গোমেজকে বিক্রি করে দেওয়ার কথা বলে থাকেন, বার্সা কর্তারা সিদ্ধান্ত পাল্টে পর্তুগিজ মিডফিল্ডারকে বিক্রির নিলামে তুলতেও পারেন। দলের প্রানভোমড়া মেসিকে খুশি করার ব্যাপার বলে কথা।

তাছাড়া ধার-দেনা করে কুতিনহোকে কেনা বার্সেলোনার তহবিল সংগ্রহ করাটাও এখন খুব দরকার। টাকা সংগ্রহের জন্য এরই মধ্যে দলের একাধিক খেলোয়াড়কে ‘বিক্রি’র জন্য বাছাইও করেছে তারা। মেসিকে খুশি করতে সেই তালিকায় গোমেজের নামটি যোগ করে নিলে কি এমন হবে!