০২:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ নিরাপদ: শেখ শামসুদ্দিন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:২০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১৯০ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকারি সিকিউরিটিজের চেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ আর কিছু হয় না। এমনকি বিশ্বেও সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই সরকারি সিকিউরিটিজে যারা বিনিয়োগ করবে তারা যেন দ্রুত লিকুইডিটি পায় সেই বিষয়ে বিএসইসি কাজ করছে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে ‘স্টক এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মে সরকারী সিকিউরিটিজের লেনদেন’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির কমিশনার বলেন, বন্ড মার্কেটকে জনপ্রিয় করার জন্য ক্যাম্পেইন করতে হবে। গভর্মেন্ট বন্ডের নিলামের সময়কে সবার কাছে তুলে ধরার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে। আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি কার্যকর বন্ড মার্কেট গড়ে উঠবে।

শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি সিকিউরিটিজের চেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ আর কিছু হয় না। এমনকি বিশ্বেও সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই সরকারি সিকিউরিটিজে যারা বিনিয়োগ করবে তারা যেন দ্রুত লিকুইডিটি পায় সেই বিষয়ে বিএসইসি কাজ করছে। আমাদের সবাইকে চেষ্টা করতে হবে, যে উদ্দেশ্যে বন্ড মার্কেট চালু করা হয়েছে তা যাতে বাস্তবায়ন করা যায়। সরকারের সকল পক্ষের আন্তরিক চাওয়া থেকে পুঁজিবাজারের সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন শুরু হয়েছে। শুধু সরকারি সিকিউরিটিজ যোগানের কথা চিন্তা করলে হবে না, একই সাথে চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হবে। যদি চাহিদা বৃদ্ধি পায় তবে সরকারি সিকিউরিটিজের একটি ভালো প্রাইস হবে।

আরও পড়ুন: ভার্চ্যুয়াল এজিএম থেকে মুক্তি চান বিনিয়োগকারীরা

তিনি বলেন, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ডের ক্ষেত্রে কোনো ফি নেই। এটি কি আরও বাড়ানো যায় কিনা সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। আমি প্রথম থেকে চেষ্টা করেছি বন্ডের উপর প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করার। ইতিমধ্যে চারটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, এখানে ব্যাংকের যে প্রতিনিধিবৃন্দ রয়েছে তাদের প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা বর্তমান পদ্ধতির মধ্যে দুই একটা ট্রেডিং করান। তাহলে আমরা আজকের আলোচনার কার্যকারিতা দেখতে পাবো। এছাড়া এক্সচেঞ্জের প্লাটফর্মে বন্ডের অকশনের বিষয়ে ডিএসই ও সিএসই যদি একটি প্রস্তাবনা বিএসইসিতে পাঠায়, বিএসইসি পরবর্তীতে বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানাবে। পরবর্তীতে অর্থ মন্ত্রণালয় এর উপর কাজ করবে আর আমরা দ্রুত একটি ফলাফল পাবো।

সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেনকে গতিশীল করার লক্ষ‌্যে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির অপারেশন প্রধান এবং অনুমোদিত প্রতিনিধিরা এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

কর্মসূচিতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার এবং সিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম ফারুক। ডিএসইর প্রোডাক্ট অ্যান্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান সাইদ মাহমুদ জুবায়ের কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ নিরাপদ: শেখ শামসুদ্দিন

আপডেট: ০১:২০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকারি সিকিউরিটিজের চেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ আর কিছু হয় না। এমনকি বিশ্বেও সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই সরকারি সিকিউরিটিজে যারা বিনিয়োগ করবে তারা যেন দ্রুত লিকুইডিটি পায় সেই বিষয়ে বিএসইসি কাজ করছে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে ‘স্টক এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মে সরকারী সিকিউরিটিজের লেনদেন’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির কমিশনার বলেন, বন্ড মার্কেটকে জনপ্রিয় করার জন্য ক্যাম্পেইন করতে হবে। গভর্মেন্ট বন্ডের নিলামের সময়কে সবার কাছে তুলে ধরার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে। আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি কার্যকর বন্ড মার্কেট গড়ে উঠবে।

শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি সিকিউরিটিজের চেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ আর কিছু হয় না। এমনকি বিশ্বেও সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই সরকারি সিকিউরিটিজে যারা বিনিয়োগ করবে তারা যেন দ্রুত লিকুইডিটি পায় সেই বিষয়ে বিএসইসি কাজ করছে। আমাদের সবাইকে চেষ্টা করতে হবে, যে উদ্দেশ্যে বন্ড মার্কেট চালু করা হয়েছে তা যাতে বাস্তবায়ন করা যায়। সরকারের সকল পক্ষের আন্তরিক চাওয়া থেকে পুঁজিবাজারের সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন শুরু হয়েছে। শুধু সরকারি সিকিউরিটিজ যোগানের কথা চিন্তা করলে হবে না, একই সাথে চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হবে। যদি চাহিদা বৃদ্ধি পায় তবে সরকারি সিকিউরিটিজের একটি ভালো প্রাইস হবে।

আরও পড়ুন: ভার্চ্যুয়াল এজিএম থেকে মুক্তি চান বিনিয়োগকারীরা

তিনি বলেন, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ডের ক্ষেত্রে কোনো ফি নেই। এটি কি আরও বাড়ানো যায় কিনা সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। আমি প্রথম থেকে চেষ্টা করেছি বন্ডের উপর প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করার। ইতিমধ্যে চারটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, এখানে ব্যাংকের যে প্রতিনিধিবৃন্দ রয়েছে তাদের প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা বর্তমান পদ্ধতির মধ্যে দুই একটা ট্রেডিং করান। তাহলে আমরা আজকের আলোচনার কার্যকারিতা দেখতে পাবো। এছাড়া এক্সচেঞ্জের প্লাটফর্মে বন্ডের অকশনের বিষয়ে ডিএসই ও সিএসই যদি একটি প্রস্তাবনা বিএসইসিতে পাঠায়, বিএসইসি পরবর্তীতে বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানাবে। পরবর্তীতে অর্থ মন্ত্রণালয় এর উপর কাজ করবে আর আমরা দ্রুত একটি ফলাফল পাবো।

সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেনকে গতিশীল করার লক্ষ‌্যে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির অপারেশন প্রধান এবং অনুমোদিত প্রতিনিধিরা এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

কর্মসূচিতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার এবং সিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম ফারুক। ডিএসইর প্রোডাক্ট অ্যান্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান সাইদ মাহমুদ জুবায়ের কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন।

ঢাকা/টিএ