০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

সাকিবদের হারিয়ে আইপিএলের শিরোপা ধোনির চেন্নাইর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:৪০:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১
  • / ৪১০৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: এবারের আইপিএলের পুরো মৌসুমজুড়ে বোলিং পারফরম্যান্সে ভর করেই ম্যাচ জিতে এসেছে কলকাতা। আর সেই দলের বোলাররা শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ছন্দ হারালেন। বরুণ-ফার্গুসন-নারিন-সাকিব কেউ-ই ভালো করলেন না। তাদের তুলোধোনা করলেন চেন্নাইয়ের প্রোটিয়া তারকা ফাফ ডুপ্লেসি। রবিন উথাপ্পা আর মঈন আলিও কম যাননি। তারা প্রত্যেকেই তিনটি করে ছক্কা হাঁকিয়ে ৩ উইকেট হারিয়ে কলকাতার সামনে রাখেন ১৯২ রানের বড় সংগ্রহ। তবে ১৯৩ রানের বড় লক্ষ্যের তাড়ায় কলকাতাও দারুণ শুরু করলেও সব মাটি করে দিয়েছেন মিডলঅর্ডারের ব্যাটাররা।

আসা-যাওয়ার মিছিল শেষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৫তে থেমে গেছে কলকাতা। ফলে ২৭ রানে জয় নিয়ে আইপিএল-২১ এর শিরোপা জিতল ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। আজকের ম্যাচেও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরুতে পারেননি কলকাতার অধিনায়ক ইয়ন মরগান। গত ম্যাচে ডাক মেরেছিলেন তিনি। ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে করলেন ৮ বলে ৪ রান। এরপরই হ্যাজেলহুডের বলে চাহালের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন নিজের।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ফাইনালেও ডাক মারলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ১৪তম ওভারের ৫ম বলে দিনেশ কার্তিকের আউটের পর নামেন সাকিব। সামনে বিশাল চ্যালেঞ্জ। ৩০ বলে করতে হবে ৭২ রান। আর ব্যাটে হাতে সাকিব নামলেন আর চলে গেলেন। জাদেজার ওই একই ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। গত ম্যাচেও রানের খাতা খুলতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ছক্কা মেরে দলকে ফাইনালে তোলার নায়ক রাহুল ত্রিপাঠি আজ কিছুই করতে পারলেন না।

ডাক না মারলেও ৩ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১৩তম ওভার শেষে কলকাতার সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১০৮ রান। জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪২ বলে ৮৫ রান। টি-টোয়েন্টির এই ফরম্যাটে এমন পরিস্থিতিতেও ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং করে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড আছে অহরহর। কিন্তু ১৭তম ওভার শেষে পুরো চিত্রটাই অন্যরকম হয়ে গেল। কলকাতার সংগ্রহ তখন ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান। অর্থাৎ ১৯ রান করতেই ৫ উইকেট হাওয়া কলকাতার! ১৮ ওভার শেষে শিভাম মাভি ধংসস্তুপে দাঁড়িয়ে একাই ঝড় তোলেন। একটি বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কার মারে দলের রান ১৪৫ এ নিয়ে যান।

কিন্তু শিভামের এই ঝড়ো ব্যাটিং শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিতে পারেনি। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৪৮ রানের। ১৯তম ওভারে ঠাকুরের নো বলের সুবাদে ৫ রান যোগ হয়। এ ওভারে ফার্গুসন ও শিভাম নেন ১৭ রান। অর্থাৎ শেষ ৬ বলে প্রয়োজন পড়ে ৩১ রানের। যা অনেকটাই অসম্ভব। তবুও খেলায় একরকম টিকে থাকে কলকাতা। কিন্তু শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ব্রাভো কলকাতা সমর্থকদের সব আশার আলো নিভিয়ে দেন। পঞ্চম বলে শিভামকে সাজঘরে ফেরালে ্ওই ওভার থেকে কলকাতা সংগ্রহ করতে পারে মাত্র ৩ রান। ফলে ২৭ রানে জয় পায় ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।

ধাকা/এমটি 

শেয়ার করুন

x
English Version

সাকিবদের হারিয়ে আইপিএলের শিরোপা ধোনির চেন্নাইর

আপডেট: ০৯:৪০:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: এবারের আইপিএলের পুরো মৌসুমজুড়ে বোলিং পারফরম্যান্সে ভর করেই ম্যাচ জিতে এসেছে কলকাতা। আর সেই দলের বোলাররা শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ছন্দ হারালেন। বরুণ-ফার্গুসন-নারিন-সাকিব কেউ-ই ভালো করলেন না। তাদের তুলোধোনা করলেন চেন্নাইয়ের প্রোটিয়া তারকা ফাফ ডুপ্লেসি। রবিন উথাপ্পা আর মঈন আলিও কম যাননি। তারা প্রত্যেকেই তিনটি করে ছক্কা হাঁকিয়ে ৩ উইকেট হারিয়ে কলকাতার সামনে রাখেন ১৯২ রানের বড় সংগ্রহ। তবে ১৯৩ রানের বড় লক্ষ্যের তাড়ায় কলকাতাও দারুণ শুরু করলেও সব মাটি করে দিয়েছেন মিডলঅর্ডারের ব্যাটাররা।

আসা-যাওয়ার মিছিল শেষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৫তে থেমে গেছে কলকাতা। ফলে ২৭ রানে জয় নিয়ে আইপিএল-২১ এর শিরোপা জিতল ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। আজকের ম্যাচেও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরুতে পারেননি কলকাতার অধিনায়ক ইয়ন মরগান। গত ম্যাচে ডাক মেরেছিলেন তিনি। ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে করলেন ৮ বলে ৪ রান। এরপরই হ্যাজেলহুডের বলে চাহালের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন নিজের।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ফাইনালেও ডাক মারলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ১৪তম ওভারের ৫ম বলে দিনেশ কার্তিকের আউটের পর নামেন সাকিব। সামনে বিশাল চ্যালেঞ্জ। ৩০ বলে করতে হবে ৭২ রান। আর ব্যাটে হাতে সাকিব নামলেন আর চলে গেলেন। জাদেজার ওই একই ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। গত ম্যাচেও রানের খাতা খুলতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ছক্কা মেরে দলকে ফাইনালে তোলার নায়ক রাহুল ত্রিপাঠি আজ কিছুই করতে পারলেন না।

ডাক না মারলেও ৩ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১৩তম ওভার শেষে কলকাতার সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১০৮ রান। জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪২ বলে ৮৫ রান। টি-টোয়েন্টির এই ফরম্যাটে এমন পরিস্থিতিতেও ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং করে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড আছে অহরহর। কিন্তু ১৭তম ওভার শেষে পুরো চিত্রটাই অন্যরকম হয়ে গেল। কলকাতার সংগ্রহ তখন ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান। অর্থাৎ ১৯ রান করতেই ৫ উইকেট হাওয়া কলকাতার! ১৮ ওভার শেষে শিভাম মাভি ধংসস্তুপে দাঁড়িয়ে একাই ঝড় তোলেন। একটি বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কার মারে দলের রান ১৪৫ এ নিয়ে যান।

কিন্তু শিভামের এই ঝড়ো ব্যাটিং শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিতে পারেনি। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৪৮ রানের। ১৯তম ওভারে ঠাকুরের নো বলের সুবাদে ৫ রান যোগ হয়। এ ওভারে ফার্গুসন ও শিভাম নেন ১৭ রান। অর্থাৎ শেষ ৬ বলে প্রয়োজন পড়ে ৩১ রানের। যা অনেকটাই অসম্ভব। তবুও খেলায় একরকম টিকে থাকে কলকাতা। কিন্তু শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ব্রাভো কলকাতা সমর্থকদের সব আশার আলো নিভিয়ে দেন। পঞ্চম বলে শিভামকে সাজঘরে ফেরালে ্ওই ওভার থেকে কলকাতা সংগ্রহ করতে পারে মাত্র ৩ রান। ফলে ২৭ রানে জয় পায় ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।

ধাকা/এমটি