১১:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

সিআরও নিয়োগে ডিএসই পর্ষদের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:১০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১
  • / ৪১৬৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (সিআরও) ছাড়াই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কার্যক্রম চলছে। একইসঙ্গে আট মাসের বেশি সময় ধরে ফাঁকা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) চেয়ার। এ দুই পদেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ডিএসই।

ইতোমধ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এমডি নিয়োগ দিতে না পারায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে ডিএসই। আর ফাঁকা পদগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও কম যোগ্যতার বা বিতর্কিত প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম। বিষয়টিকে নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন তুলেছেন।

বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্টদের মতে, ডিএসইর এমডি ও সিআরও পদে যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ প্রদানের ক্ষেত্রে বিএসইসি যথাযত পদক্ষেপ নিয়েছে। ডিএসইর প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত পোষন না করে, বিষয়টি যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা বিএসইসির কার্যক্রম প্রশংসার দাবিদার। তাই শেয়ারবাজারে স্বার্থে নিরপেক্ষভাবে যোগ্য ব্যক্তিদের স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া জরুরি।

তথ্য মতে, গত বছরের ৪ নভেম্বর ডিএসইর সিআরও পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিএসই। ১৪ জন প্রার্থী আবেদন করেন ওই পদের জন্য। প্রার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে আশিক রহমান, শওকত জাহান খান ও আক্তারুজ্জামান- এ ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করে ডিএসইর নমিনেশন অ্যান্ড রেমুনারেশন (এনআরসি) কমিটি। এর মধ্যে আশিক রহমান ও আক্তারুজ্জামান শুধুমাত্র ‘ব্যাচেলর ইন বিজেনস, অর্থনীতি, আইন বিষয়ে কাজের ১০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা’ এবং ‘প্রফেশনাল ডিগ্রি’ এর মধ্যে ১টি শর্ত পরিপালন করেন। আর শওকত জাহান খান যোগ্যতার দিক থেকে উভয় শর্ত পরিপালন ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তবে গত ৪ মে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সিআরও পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য কেবলমাত্র সিটি ব্যাংকের চিফ কান্ট্রি কমপ্লায়েন্স অফিসার (সিসিসিও) ও চিফ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং অফিসার (সিএএমএলও) এম আশিকুর রহমানকে মনোনীত করে।  ৬ মে তার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিএসইসির কাছে প্রস্তাব পাঠায়। এদিকে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য বলে বিবেচিত হওয়ার পর, তার নিচের সিআরও পদে আবেদন করা নিয়ে আপত্তি জানান সংশ্লিষ্টরা। ফলে সার্বিক দিক বিবেচনা করে ডিএসইর সিআরও পদের জন্য নতুন প্রার্থী খোঁজার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএসইসি।

এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের গত ১৪ জুন সিআরও পদের জন্য নতুন প্রার্থীর তালিকা চেয়ে ডিএসইকে চিঠি দেয় বিএসইসি। আর গত ১৬ জুন সিআরও পদের জন্য মনোনীত প্রার্থী হিসবে রূপালী ব্যাংকের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) শওকত জাহান খান ও আক্তারুজ্জামানের নাম বিএসইসিতে পাঠায় ডিএসই। নতুন প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই-বাছাই করে সিআরও পদে নিয়োগের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিএসইসি।

সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর ডিএসইর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৪ নভেম্বর এমডি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিএসই। এদিকে, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ডিএসই’র এমডি পদের জন্য ২১ জন প্রার্থী আবেদন করেন। তাদের মধ্যে থেকে ৭ জন প্রার্থীকে বাছাই করে গত ১০ ডিসেম্বর সাক্ষাৎকার নেয় ডিএসইর এনআরসি কমিটি। এমডি পদে আবেদন করা প্রার্থীদের মধ্যে এম আশিক রহমানকে বাছাই করে ডিএসই। পরবর্তীতে এমডি পদে তাকে নিয়োগের জন্য বিএসইসির কাছে অনুমতি চায় ডিএসই।  চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি সার্বিক দিক বিবেচনা করে ডিএসইর এমডি পদের জন্য আশিক রহমানকে অযোগ্য বলে সিদ্ধান্ত জানায় বিএসইসি। আশিকুর রহমান এমডি পদে নিয়োগ না পেয়ে ডিএসইর সিআরও পদের জন্য আবেদন করেন।

চলতি বছরের গত ১৭ মে এমডি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিএসই। গত ৩০ মে পর্যন্ত এ পদে আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ ছিল। বর্তমানে এমডি পদে প্রার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে ডিএসই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) আব্দুল মতিন পাটোয়ারী বলেন, ‘ডিএসইর সিআরও পদের জন্য আরো প্রার্থীর নাম চেয়েছে বিএসইসি। এর আগে শুধু আশিক রহমানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তাই এবার শওকত জাহান খান ও আক্তারুজ্জামানের নাম বিএসইসির কাছে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমডি ও সিআরও পদে নিয়োগের বিষয়ে ডিএসইর কাছ থেকে বারবার যে ধরণের প্রস্তাবনা বিএসইসিতে যাচ্ছে, তা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। আমরা মনে করি এতে স্টক এক্সচেঞ্জের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। কোনো পক্ষপাতিত্ব অবলম্বন না করে যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের স্টক এক্সচেঞ্জে নিয়োগ দেওয়া উচিত। যাতে স্টক এক্সচেঞ্জে ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন থাকে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।’

বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রকৃত যোগ্যতা ও অভিক্ষতা সম্পন্ন প্রর্থীদের ডিএসইর এমডি ও সিআরও পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবে বিএসইসি।’

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

সিআরও নিয়োগে ডিএসই পর্ষদের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ

আপডেট: ০৪:১০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (সিআরও) ছাড়াই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কার্যক্রম চলছে। একইসঙ্গে আট মাসের বেশি সময় ধরে ফাঁকা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) চেয়ার। এ দুই পদেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ডিএসই।

ইতোমধ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এমডি নিয়োগ দিতে না পারায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে ডিএসই। আর ফাঁকা পদগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও কম যোগ্যতার বা বিতর্কিত প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম। বিষয়টিকে নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন তুলেছেন।

বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্টদের মতে, ডিএসইর এমডি ও সিআরও পদে যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ প্রদানের ক্ষেত্রে বিএসইসি যথাযত পদক্ষেপ নিয়েছে। ডিএসইর প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত পোষন না করে, বিষয়টি যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা বিএসইসির কার্যক্রম প্রশংসার দাবিদার। তাই শেয়ারবাজারে স্বার্থে নিরপেক্ষভাবে যোগ্য ব্যক্তিদের স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া জরুরি।

তথ্য মতে, গত বছরের ৪ নভেম্বর ডিএসইর সিআরও পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিএসই। ১৪ জন প্রার্থী আবেদন করেন ওই পদের জন্য। প্রার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে আশিক রহমান, শওকত জাহান খান ও আক্তারুজ্জামান- এ ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করে ডিএসইর নমিনেশন অ্যান্ড রেমুনারেশন (এনআরসি) কমিটি। এর মধ্যে আশিক রহমান ও আক্তারুজ্জামান শুধুমাত্র ‘ব্যাচেলর ইন বিজেনস, অর্থনীতি, আইন বিষয়ে কাজের ১০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা’ এবং ‘প্রফেশনাল ডিগ্রি’ এর মধ্যে ১টি শর্ত পরিপালন করেন। আর শওকত জাহান খান যোগ্যতার দিক থেকে উভয় শর্ত পরিপালন ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তবে গত ৪ মে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সিআরও পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য কেবলমাত্র সিটি ব্যাংকের চিফ কান্ট্রি কমপ্লায়েন্স অফিসার (সিসিসিও) ও চিফ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং অফিসার (সিএএমএলও) এম আশিকুর রহমানকে মনোনীত করে।  ৬ মে তার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিএসইসির কাছে প্রস্তাব পাঠায়। এদিকে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য বলে বিবেচিত হওয়ার পর, তার নিচের সিআরও পদে আবেদন করা নিয়ে আপত্তি জানান সংশ্লিষ্টরা। ফলে সার্বিক দিক বিবেচনা করে ডিএসইর সিআরও পদের জন্য নতুন প্রার্থী খোঁজার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএসইসি।

এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের গত ১৪ জুন সিআরও পদের জন্য নতুন প্রার্থীর তালিকা চেয়ে ডিএসইকে চিঠি দেয় বিএসইসি। আর গত ১৬ জুন সিআরও পদের জন্য মনোনীত প্রার্থী হিসবে রূপালী ব্যাংকের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) শওকত জাহান খান ও আক্তারুজ্জামানের নাম বিএসইসিতে পাঠায় ডিএসই। নতুন প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই-বাছাই করে সিআরও পদে নিয়োগের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিএসইসি।

সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর ডিএসইর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৪ নভেম্বর এমডি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিএসই। এদিকে, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ডিএসই’র এমডি পদের জন্য ২১ জন প্রার্থী আবেদন করেন। তাদের মধ্যে থেকে ৭ জন প্রার্থীকে বাছাই করে গত ১০ ডিসেম্বর সাক্ষাৎকার নেয় ডিএসইর এনআরসি কমিটি। এমডি পদে আবেদন করা প্রার্থীদের মধ্যে এম আশিক রহমানকে বাছাই করে ডিএসই। পরবর্তীতে এমডি পদে তাকে নিয়োগের জন্য বিএসইসির কাছে অনুমতি চায় ডিএসই।  চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি সার্বিক দিক বিবেচনা করে ডিএসইর এমডি পদের জন্য আশিক রহমানকে অযোগ্য বলে সিদ্ধান্ত জানায় বিএসইসি। আশিকুর রহমান এমডি পদে নিয়োগ না পেয়ে ডিএসইর সিআরও পদের জন্য আবেদন করেন।

চলতি বছরের গত ১৭ মে এমডি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিএসই। গত ৩০ মে পর্যন্ত এ পদে আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ ছিল। বর্তমানে এমডি পদে প্রার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে ডিএসই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) আব্দুল মতিন পাটোয়ারী বলেন, ‘ডিএসইর সিআরও পদের জন্য আরো প্রার্থীর নাম চেয়েছে বিএসইসি। এর আগে শুধু আশিক রহমানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তাই এবার শওকত জাহান খান ও আক্তারুজ্জামানের নাম বিএসইসির কাছে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমডি ও সিআরও পদে নিয়োগের বিষয়ে ডিএসইর কাছ থেকে বারবার যে ধরণের প্রস্তাবনা বিএসইসিতে যাচ্ছে, তা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। আমরা মনে করি এতে স্টক এক্সচেঞ্জের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। কোনো পক্ষপাতিত্ব অবলম্বন না করে যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের স্টক এক্সচেঞ্জে নিয়োগ দেওয়া উচিত। যাতে স্টক এক্সচেঞ্জে ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন থাকে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।’

বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রকৃত যোগ্যতা ও অভিক্ষতা সম্পন্ন প্রর্থীদের ডিএসইর এমডি ও সিআরও পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবে বিএসইসি।’

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: