০২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

সিএসআর খাতে ব্যাংকগুলোর ব্যয় প্রায় হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৩০:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১
  • / ৪১৬৫ বার দেখা হয়েছে

করোনার মত দুর্যোগে আর্তমানবতার পাশে থাকাসহ সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে সিএসআর কার্যক্রমে গেল বছর ব্যাংকগুলো ৯৬৭ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।

তবে গেল বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় শেষ ছয় মাসে ব্যয় কমেছে। জানুয়ারি-জুন সময়ে ৫১৭ কোটি টাকা ব্যয় হলেও জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ব্যয় হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা।

২০২০ সালে ব্যাংকগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে দুর্যোগ মোকাবেলায়। করোনার পাশাপাশি বন্যায় স্বল্প আয়ের মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল ব্যাংকগুলো। দুর্যোগ মোকাবেলা ও স্বাস্থ্যখাতে গেল বছর ব্যাংকগুলোর ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫৮১ কোটি টাকা।

এছাড়াও সিএসআর কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গেল বছর ব্যাংকগুলো শিক্ষাখাতে একশ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করেছে। এর বাইরে পরিবেশ সুরক্ষা, সংস্কৃতি, বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করেছে ২৮২ কোটি টাকা।

বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত ব্যাংকগুলোর সিএসআর কার্যক্রমে নিয়ে ষান্মাসিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এতে দেখা যায়, সিএসআর কার্যক্রমে ব্যাংকগুলো যে ব্যয় করে তার প্রায় সিংহভাগই ( ৯৭%) করে বেসরকারি ব্যাংক। সরকারি ব্যাংকগুলোর অংশগ্রহণ এক শতাংশেরও কম। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর ২ শতাংশের কিছু বেশি।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, গেল বছর নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সিএসআর খাতে ১৯ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।

সিএসআর কার্যক্রমের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত কার্যক্রমের ফলে উদ্ভুত নানা পরিবেশগত বিরূপ প্রভাব দূর করা ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে বিদ্যমান ক্ষোভ, অসমতা ও দারিদ্র কমানো।

ব্যাংকগুলো করপরবর্তী নিট মুনাফা হতে সিএসআর কার্যক্রমের জন্য ব্যয় করতে পারে। এক্ষেত্রে মোট ব্যয়ের ৩০ শতাংশ শিক্ষাখাতে, ২০ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে, ১০ শতাংশ জলবায়ু ঝুঁকি তহবিল খাতে এবং বাকি ৪০ শতাংশ অন্যান্যখাতে।

তবে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ায় গেল বছর মার্চে সিএসআর খাতে ব্যয়ের নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে ৬০ শতাংশ, শিক্ষায় ৩০ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যয় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনাই বহাল থাকবে।

বিজনেসজার্নাল/এইচকে

শেয়ার করুন

x
English Version

সিএসআর খাতে ব্যাংকগুলোর ব্যয় প্রায় হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ০২:৩০:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১

করোনার মত দুর্যোগে আর্তমানবতার পাশে থাকাসহ সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে সিএসআর কার্যক্রমে গেল বছর ব্যাংকগুলো ৯৬৭ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।

তবে গেল বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় শেষ ছয় মাসে ব্যয় কমেছে। জানুয়ারি-জুন সময়ে ৫১৭ কোটি টাকা ব্যয় হলেও জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ব্যয় হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা।

২০২০ সালে ব্যাংকগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে দুর্যোগ মোকাবেলায়। করোনার পাশাপাশি বন্যায় স্বল্প আয়ের মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল ব্যাংকগুলো। দুর্যোগ মোকাবেলা ও স্বাস্থ্যখাতে গেল বছর ব্যাংকগুলোর ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫৮১ কোটি টাকা।

এছাড়াও সিএসআর কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গেল বছর ব্যাংকগুলো শিক্ষাখাতে একশ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করেছে। এর বাইরে পরিবেশ সুরক্ষা, সংস্কৃতি, বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করেছে ২৮২ কোটি টাকা।

বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত ব্যাংকগুলোর সিএসআর কার্যক্রমে নিয়ে ষান্মাসিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এতে দেখা যায়, সিএসআর কার্যক্রমে ব্যাংকগুলো যে ব্যয় করে তার প্রায় সিংহভাগই ( ৯৭%) করে বেসরকারি ব্যাংক। সরকারি ব্যাংকগুলোর অংশগ্রহণ এক শতাংশেরও কম। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর ২ শতাংশের কিছু বেশি।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, গেল বছর নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সিএসআর খাতে ১৯ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।

সিএসআর কার্যক্রমের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত কার্যক্রমের ফলে উদ্ভুত নানা পরিবেশগত বিরূপ প্রভাব দূর করা ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে বিদ্যমান ক্ষোভ, অসমতা ও দারিদ্র কমানো।

ব্যাংকগুলো করপরবর্তী নিট মুনাফা হতে সিএসআর কার্যক্রমের জন্য ব্যয় করতে পারে। এক্ষেত্রে মোট ব্যয়ের ৩০ শতাংশ শিক্ষাখাতে, ২০ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে, ১০ শতাংশ জলবায়ু ঝুঁকি তহবিল খাতে এবং বাকি ৪০ শতাংশ অন্যান্যখাতে।

তবে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ায় গেল বছর মার্চে সিএসআর খাতে ব্যয়ের নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়। এর মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে ৬০ শতাংশ, শিক্ষায় ৩০ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যয় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনাই বহাল থাকবে।

বিজনেসজার্নাল/এইচকে