১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সুদহার বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিল্প: জসিম উদ্দিন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:২৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪১৬৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বিদ্যমান ঋণের সুদহার বাড়ালে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

আজ শনিবার (৫নভেম্বর) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ইআরএফ সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, ‘দেশে বিনিয়োগ সম্প্রসারণ এবং শিল্প সচল রাখতে ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ানো যাবে না। সুদহার ৯ শতাংশ তুলে দিলে শিল্প তার সক্ষমতা হারাবে।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘ঋণের সুদহার উঠিয়ে দেওয়ার কথা অনেকেই বলছেন। তবে সবাই না। সুদহার না বাড়িয়ে ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়ানোর উপর জোর দিতে হবে। সুদহার বাড়ানো হলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, এমনটা বিশ্বাস করি না।’

তিনি বলেন, ‘যখন সুদহার কমানো হয়েছে, তখন দেশে অনেক বিনিয়োগ বেড়েছে। ঋণের সুদহার বাড়ানোর বিষয়ে একেক ধরনের এজেন্ডা থাকে, গবেষণা সংস্থাগুলোর। তারা বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। বাস্তবতা হচ্ছে, এর ফলে শিল্প টিকে থাকবে কিনা? বর্তমান অবস্থায় সুদহার বাড়ালে শিল্প কোথায় যাবে। বাড়তি ব্যয় কমিয়ে ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। ব্যয়বহুল শাখাসহ ব্যাংকের অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয় কমাতে হবে।’

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ডলার শক্তিশালী করতে সুদহার বাড়িয়েছে। তাদের ফর্মুলা আমাদের দেশে বাস্তবায়ন করলে হবে না। দেশের শিল্পের কথা বিবেচনা করেই নীতি গ্রহণ করতে হবে।’

জ্বালানি সংকট নিরসনে তিনি বলেন, ‘কয়লা ভিত্তিক জ্বালানিতে যেতে হবে। আমাদের নিজস্ব কয়লা ব্যবহার করতে হবে। দেশের উন্নয়নে শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি সহযোগিতা লাগবে।’

আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ে টালবাহানার কারণ জানতে চেয়েছে আইএমএফ

বাংলাদেশ বিশ্বের নবম ভোক্তা বাজার হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই বাজার ঘিরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। বিদ্যমান বিনিয়োগের সঙ্গে আরও নতুন বিনিয়োগ আসলে তাদের ধরে রাখতে জ্বালানি সহযোগিতা বাড়াতে হবে।’

জ্বালানি স্বল্পতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গ্যাস ও বিদ্যুৎ এখন বড় ইস্যু। কোভিডের সময় সিদ্ধান্ত ছিল শিল্প বন্ধ করা যাবে না। এটা সাহসী সিদ্ধান্ত। চলমান সংকটেও তেমন সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। কারণ গত বছর ৫২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হয়েছে। তখন ৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বলা হলেও বাস্তবে এটা ছিল না।’

আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণ ইস্যুতে আইএমএফের তোপের মুখে বাংলাদেশ ব্যাংক

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এখন গ্যাস-বিদ্যুৎ না পেলে বিদেশি ক্রেতার অর্ডার অনুযায়ী পণ্য দিতে ব্যর্থ হবো আমরা। এর ফলে ক্রেতারা একবার ফিরে গেলে আর পাওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ করাসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নিয়ে শিল্পে গ্যাস চালু রাখতে হবে।’

জ্বালানি সরবরাহের বিষয়ে সরকারের কাছে তিনি একটি প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, ‘বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম বেড়েছে. তাই গ্যাস বেশি দামে আমদানি করতে হবে। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা শিল্প কারখানায় নিরবিচ্ছন্ন গ্যাস নিশ্চিত করার জন্য বেশি দাম দিতে রাজি আছে।’

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সরকার গ্যাসে ভর্তুকি যা দিচ্ছে এর চেয়ে বেশি ট্যাক্স নিচ্ছে। এলএনজিতে ৪৭ শতাংশ কর এবং ডিজেলে প্রতি লিটারে ২৪ টাকা কর নিচ্ছে। এই কর হার কমিয়ে বাড়তি দাম সমন্বয় করে নতুন করে যৌক্তিক দাম ঠিক করা হতে পারে।’

তিনি মনে করেন, শিল্প সচল রাখতে ব্যবসায়ীকেও দায় নিতে হবে। আবার কর কমিয়ে জ্বালানির দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে।

সংলাপে এক প্রশ্নের জবাবে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কৃচ্ছতা সাধনের কথা বলেছেন। দুর্ভিক্ষ হলে সারা বিশ্বে হবে। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। এ জন্য কৃষি উৎপাদন বাড়াতে পারি, পাশাপাশি শিল্পের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। ব্যয় কমাতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারলে আমরা ভালো করবো।’

অর্থ পাচার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক যেহেতু বলেছে, আমদানির আড়ালে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত মূল্য দেখানোর প্রমাণ পেয়েছে তারা। আন্ডার ইন ভয়েস ও ওভার ইন ভয়েসের মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে। তাদের উচিত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা। তা না হলে শুধু বাহবা নেওয়ার জন্য মুখরোচক কথা বলা উচিত নয়।’

আইএমএফ এর ঋণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আইএমএফ তাদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত দিবে, তবে আমাদের নেগসিয়েশন করতে হবে দক্ষতার সঙ্গে। সেই সক্ষমতা আমাদের থাকতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি মেটাতে আইএমএফ থেকে ঋণ নিতে হবে। তার মানে এই নয় সবকিছু জলাঞ্জলি দিয়ে। বাংলাদেশের অবস্থা এতটা বেগতিক নয় যে, সব শর্ত মেনে ঋণ নিতে হবে।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘যেসব পণ্য আমদানির প্রয়োজন বেশি তা দেশে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হলে আমদানিতে ডলারের ব্যয় কমে যাবে। তাতে ডলার ঘাটতি কিছুটা লাঘব হবে। এ দিকে এখন নজর দেওয়ার প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি শুধু শহর কেন্দ্রিক নয়। এখন গ্রামেরও উন্নয়ন হয়েছে। এ কারণে শুধু কর ব্যবস্থা শহরে সীমাবদ্ধ না রেখে উপজেলা পর্যায়ে কার্যক্রম বাড়ানো দরকার। ২১০০ সালের এজেন্ডা (ডেল্টা প্লান) এক দিনে হবে না। এটি ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য দেশের শিল্পের উন্নয়ন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। আর শিল্পের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বন্দরের উন্নয়নের পাশাপাশি নৌ ও রেলপথে পণ্য পরিবহনে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’

ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহসভাপতি এম শফিকুল আলম। অনুষ্ঠানে ইআরএফের শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x
English Version

সুদহার বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিল্প: জসিম উদ্দিন

আপডেট: ০৬:২৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বিদ্যমান ঋণের সুদহার বাড়ালে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

আজ শনিবার (৫নভেম্বর) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ইআরএফ সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, ‘দেশে বিনিয়োগ সম্প্রসারণ এবং শিল্প সচল রাখতে ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ানো যাবে না। সুদহার ৯ শতাংশ তুলে দিলে শিল্প তার সক্ষমতা হারাবে।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘ঋণের সুদহার উঠিয়ে দেওয়ার কথা অনেকেই বলছেন। তবে সবাই না। সুদহার না বাড়িয়ে ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়ানোর উপর জোর দিতে হবে। সুদহার বাড়ানো হলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, এমনটা বিশ্বাস করি না।’

তিনি বলেন, ‘যখন সুদহার কমানো হয়েছে, তখন দেশে অনেক বিনিয়োগ বেড়েছে। ঋণের সুদহার বাড়ানোর বিষয়ে একেক ধরনের এজেন্ডা থাকে, গবেষণা সংস্থাগুলোর। তারা বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। বাস্তবতা হচ্ছে, এর ফলে শিল্প টিকে থাকবে কিনা? বর্তমান অবস্থায় সুদহার বাড়ালে শিল্প কোথায় যাবে। বাড়তি ব্যয় কমিয়ে ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। ব্যয়বহুল শাখাসহ ব্যাংকের অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয় কমাতে হবে।’

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ডলার শক্তিশালী করতে সুদহার বাড়িয়েছে। তাদের ফর্মুলা আমাদের দেশে বাস্তবায়ন করলে হবে না। দেশের শিল্পের কথা বিবেচনা করেই নীতি গ্রহণ করতে হবে।’

জ্বালানি সংকট নিরসনে তিনি বলেন, ‘কয়লা ভিত্তিক জ্বালানিতে যেতে হবে। আমাদের নিজস্ব কয়লা ব্যবহার করতে হবে। দেশের উন্নয়নে শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি সহযোগিতা লাগবে।’

আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ে টালবাহানার কারণ জানতে চেয়েছে আইএমএফ

বাংলাদেশ বিশ্বের নবম ভোক্তা বাজার হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই বাজার ঘিরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। বিদ্যমান বিনিয়োগের সঙ্গে আরও নতুন বিনিয়োগ আসলে তাদের ধরে রাখতে জ্বালানি সহযোগিতা বাড়াতে হবে।’

জ্বালানি স্বল্পতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গ্যাস ও বিদ্যুৎ এখন বড় ইস্যু। কোভিডের সময় সিদ্ধান্ত ছিল শিল্প বন্ধ করা যাবে না। এটা সাহসী সিদ্ধান্ত। চলমান সংকটেও তেমন সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। কারণ গত বছর ৫২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হয়েছে। তখন ৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বলা হলেও বাস্তবে এটা ছিল না।’

আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণ ইস্যুতে আইএমএফের তোপের মুখে বাংলাদেশ ব্যাংক

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এখন গ্যাস-বিদ্যুৎ না পেলে বিদেশি ক্রেতার অর্ডার অনুযায়ী পণ্য দিতে ব্যর্থ হবো আমরা। এর ফলে ক্রেতারা একবার ফিরে গেলে আর পাওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ করাসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নিয়ে শিল্পে গ্যাস চালু রাখতে হবে।’

জ্বালানি সরবরাহের বিষয়ে সরকারের কাছে তিনি একটি প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, ‘বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম বেড়েছে. তাই গ্যাস বেশি দামে আমদানি করতে হবে। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা শিল্প কারখানায় নিরবিচ্ছন্ন গ্যাস নিশ্চিত করার জন্য বেশি দাম দিতে রাজি আছে।’

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সরকার গ্যাসে ভর্তুকি যা দিচ্ছে এর চেয়ে বেশি ট্যাক্স নিচ্ছে। এলএনজিতে ৪৭ শতাংশ কর এবং ডিজেলে প্রতি লিটারে ২৪ টাকা কর নিচ্ছে। এই কর হার কমিয়ে বাড়তি দাম সমন্বয় করে নতুন করে যৌক্তিক দাম ঠিক করা হতে পারে।’

তিনি মনে করেন, শিল্প সচল রাখতে ব্যবসায়ীকেও দায় নিতে হবে। আবার কর কমিয়ে জ্বালানির দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে।

সংলাপে এক প্রশ্নের জবাবে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কৃচ্ছতা সাধনের কথা বলেছেন। দুর্ভিক্ষ হলে সারা বিশ্বে হবে। বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। এ জন্য কৃষি উৎপাদন বাড়াতে পারি, পাশাপাশি শিল্পের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। ব্যয় কমাতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারলে আমরা ভালো করবো।’

অর্থ পাচার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক যেহেতু বলেছে, আমদানির আড়ালে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত মূল্য দেখানোর প্রমাণ পেয়েছে তারা। আন্ডার ইন ভয়েস ও ওভার ইন ভয়েসের মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে। তাদের উচিত জড়িতদের আইনের আওতায় আনা। তা না হলে শুধু বাহবা নেওয়ার জন্য মুখরোচক কথা বলা উচিত নয়।’

আইএমএফ এর ঋণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আইএমএফ তাদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত দিবে, তবে আমাদের নেগসিয়েশন করতে হবে দক্ষতার সঙ্গে। সেই সক্ষমতা আমাদের থাকতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি মেটাতে আইএমএফ থেকে ঋণ নিতে হবে। তার মানে এই নয় সবকিছু জলাঞ্জলি দিয়ে। বাংলাদেশের অবস্থা এতটা বেগতিক নয় যে, সব শর্ত মেনে ঋণ নিতে হবে।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘যেসব পণ্য আমদানির প্রয়োজন বেশি তা দেশে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হলে আমদানিতে ডলারের ব্যয় কমে যাবে। তাতে ডলার ঘাটতি কিছুটা লাঘব হবে। এ দিকে এখন নজর দেওয়ার প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি শুধু শহর কেন্দ্রিক নয়। এখন গ্রামেরও উন্নয়ন হয়েছে। এ কারণে শুধু কর ব্যবস্থা শহরে সীমাবদ্ধ না রেখে উপজেলা পর্যায়ে কার্যক্রম বাড়ানো দরকার। ২১০০ সালের এজেন্ডা (ডেল্টা প্লান) এক দিনে হবে না। এটি ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য দেশের শিল্পের উন্নয়ন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। আর শিল্পের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বন্দরের উন্নয়নের পাশাপাশি নৌ ও রেলপথে পণ্য পরিবহনে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’

ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহসভাপতি এম শফিকুল আলম। অনুষ্ঠানে ইআরএফের শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/টিএ