০৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

সেপ্টেম্বরে ৪৬৭ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯৬

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪১২০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ৪৬৭ দুর্ঘটনায় ৪৯৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন ৬৮১ জন। এ সময় ৪০২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জন নিহত ও ৬৫১ জন আহত হন। এছাড়া রেলপথে ৪৯টি দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত ও ২৬ জন আহত এবং নৌপথে ১৬টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ও ৪ জন আহত ছাড়াও ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

আজ শনিবার সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হকের পাঠানো এক দুর্ঘটনা প্রতিবদনে এ তথ্য জানা যায়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সংগঠনটি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে বলে জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর হার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ১৫৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭২ জন নিহত ও ১০৭ জন আহত হয়েছেন; যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮.০৫ শতাংশ, নিহতের ৪২.৭৮ শতাংশ ও আহতের ২৬.৬১ শতাংশ। এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। সেখানে ১১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৮ জন নিহত ও ১১২ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে। সেখানে ২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত ও ১০৬ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৭.০৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৭.৬১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৯.১০ শতাংশ ফিডার রোডে হয়েছে। এছাড়া সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫.৪৭ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.৪৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.২৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: তৃতীয় টার্মিনালে থাকছে যেসব সুবিধা

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে- ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, ট্রাফিক বিভাগের অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি; মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল; সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা। রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার; চলতি বর্ষায় সড়ক মহাসড়কের ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি; যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সংগঠনের সুপারিশগুলো হচ্ছে- মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান; রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; চলতি বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার মাঝে সৃষ্ট ছোট বড় গর্ত দ্রুত অপসারণ করা; গণপরিবহণ বিকশিত করা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

সেপ্টেম্বরে ৪৬৭ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯৬

আপডেট: ০৫:৫৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ৪৬৭ দুর্ঘটনায় ৪৯৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন ৬৮১ জন। এ সময় ৪০২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জন নিহত ও ৬৫১ জন আহত হন। এছাড়া রেলপথে ৪৯টি দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত ও ২৬ জন আহত এবং নৌপথে ১৬টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ও ৪ জন আহত ছাড়াও ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

আজ শনিবার সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হকের পাঠানো এক দুর্ঘটনা প্রতিবদনে এ তথ্য জানা যায়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সংগঠনটি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে বলে জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর হার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ১৫৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৭২ জন নিহত ও ১০৭ জন আহত হয়েছেন; যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮.০৫ শতাংশ, নিহতের ৪২.৭৮ শতাংশ ও আহতের ২৬.৬১ শতাংশ। এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। সেখানে ১১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৮ জন নিহত ও ১১২ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে। সেখানে ২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত ও ১০৬ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৭.০৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৭.৬১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৯.১০ শতাংশ ফিডার রোডে হয়েছে। এছাড়া সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫.৪৭ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.৪৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.২৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: তৃতীয় টার্মিনালে থাকছে যেসব সুবিধা

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে- ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, ট্রাফিক বিভাগের অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি; মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল; সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা। রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার; চলতি বর্ষায় সড়ক মহাসড়কের ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি; যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সংগঠনের সুপারিশগুলো হচ্ছে- মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান; রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; চলতি বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার মাঝে সৃষ্ট ছোট বড় গর্ত দ্রুত অপসারণ করা; গণপরিবহণ বিকশিত করা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা।

ঢাকা/এসএ