০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

১০ মাসেই রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২
  • / ৪১৩৭ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে রপ্তানি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হলেও শেষপর্যন্ত মার্চ মাসের রপ্তানি আয়ে আগের (এপ্রিল) মাসের ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রয়েছে। অন্যদিকে, আগের বছরের এপ্রিলের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫১ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। এই মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেশি এসেছে ৪০ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রপ্তানি আয় বৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি অর্থবছরের দশম মাস এপ্রিলে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৪৭৩ কোটি ৮৭ লাখ (৪.৭৪ বিলিয়ন) ডলার বিদেশি মুদ্রা এনেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা।

বর্তমান বিনিময় হার (৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা।

আর অর্থবছরের হিসাবে ১০ মাসে অর্থাৎ জুলাই-এপ্রিল সময়ে ৪৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের পুরো সময়ের (২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল) চেয়েও ১২ শতাংশ বেশি।

মূলত তৈরি পোশাক রপ্তানির উপর ভর করেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও রপ্তানি আয়ে এই উল্লম্ফন ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। এতে খুশি রপ্তানিকারকরা।

অর্থবছরের বাকি দুই মাসেও (মে ও জুন) এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন তারা।

এটি অব্যাহত থাকলে অর্থবছর শেষে এবার রপ্তানি আয় ৫২ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে রপ্তানি বাণিজ্যে ইতিহাস সৃষ্টি করবে বাংলাদেশ।

একক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এপ্রিল মাসের এই আয় চতুর্থ সর্বোচ্চ; সবচেয়ে বেশি এসেছিল গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ৪৯০ কোটি ৭৭ লাখ (৪.৯০ বিলিয়ন) ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এসেছিল চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৪৮৫ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার (৪.৮৫ বিলিয়ন) ডলার। মার্চে এসেছিল ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ৪২৯ কোটি ৪৫ লাখ (৪.২৯ বিলিয়ন) ডলার।

এপ্রিল মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৩৩৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার। গত বছরের এপ্রিলে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩১৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার আয় হয়েছিল।

১০ মাসের হিসাবে সার্বিক রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেশি এসেছে ২০ দশমিক ৫২ শতাংশ।

জুলাই-এপ্রিল সময়ে রপ্তানির লক্ষ্য ছিল ৩৫ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের এই ১০ মাসে আয় হয়েছিল ৩২ দশমিক শূন্য সাত বিলিয়ন ডলার।

আর গত ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরো সময়ে মোট আয় হয়েছিল ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।

সোমবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুলাই-এপ্রিল সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩৫ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এই খাত থেকে আয় বেড়েছে প্রায় ২২ শতাংশ।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

১০ মাসেই রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ

আপডেট: ০৪:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে রপ্তানি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হলেও শেষপর্যন্ত মার্চ মাসের রপ্তানি আয়ে আগের (এপ্রিল) মাসের ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রয়েছে। অন্যদিকে, আগের বছরের এপ্রিলের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫১ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। এই মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেশি এসেছে ৪০ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রপ্তানি আয় বৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি অর্থবছরের দশম মাস এপ্রিলে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৪৭৩ কোটি ৮৭ লাখ (৪.৭৪ বিলিয়ন) ডলার বিদেশি মুদ্রা এনেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা।

বর্তমান বিনিময় হার (৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা।

আর অর্থবছরের হিসাবে ১০ মাসে অর্থাৎ জুলাই-এপ্রিল সময়ে ৪৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের পুরো সময়ের (২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল) চেয়েও ১২ শতাংশ বেশি।

মূলত তৈরি পোশাক রপ্তানির উপর ভর করেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও রপ্তানি আয়ে এই উল্লম্ফন ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। এতে খুশি রপ্তানিকারকরা।

অর্থবছরের বাকি দুই মাসেও (মে ও জুন) এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন তারা।

এটি অব্যাহত থাকলে অর্থবছর শেষে এবার রপ্তানি আয় ৫২ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে রপ্তানি বাণিজ্যে ইতিহাস সৃষ্টি করবে বাংলাদেশ।

একক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এপ্রিল মাসের এই আয় চতুর্থ সর্বোচ্চ; সবচেয়ে বেশি এসেছিল গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ৪৯০ কোটি ৭৭ লাখ (৪.৯০ বিলিয়ন) ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এসেছিল চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৪৮৫ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার (৪.৮৫ বিলিয়ন) ডলার। মার্চে এসেছিল ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ৪২৯ কোটি ৪৫ লাখ (৪.২৯ বিলিয়ন) ডলার।

এপ্রিল মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৩৩৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার। গত বছরের এপ্রিলে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩১৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার আয় হয়েছিল।

১০ মাসের হিসাবে সার্বিক রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেশি এসেছে ২০ দশমিক ৫২ শতাংশ।

জুলাই-এপ্রিল সময়ে রপ্তানির লক্ষ্য ছিল ৩৫ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের এই ১০ মাসে আয় হয়েছিল ৩২ দশমিক শূন্য সাত বিলিয়ন ডলার।

আর গত ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরো সময়ে মোট আয় হয়েছিল ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার।

সোমবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুলাই-এপ্রিল সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩৫ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এই খাত থেকে আয় বেড়েছে প্রায় ২২ শতাংশ।

ঢাকা/টিএ