চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে রাজস্ব আহরণ হয়েছে (জুলাই-মে) ২ লাখ ৮০ হাজার ৭৭৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আলোচ্য ১১ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। গত ১১ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ঘাটতি রয়েছে ৩৪ হাজার ১৫৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। ঘাটতি থাকলেও গত অর্থবছরের চেয়ে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ৮.৬৫ শতাংশ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব

এনবিআরের পরিসংখ্যানের প্রাথমিক হিসাব বলছে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চলতি অর্থবছরের বাকি এক মাসে অন্তত ৮৯ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে এনবিআরকে। যা অসম্ভব বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। গেল ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ২৮ হাজার কোটি রাজস্ব ঘাটতি হয়েছিল। এবার রাজস্ব ঘাটতির সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

সূত্রানুসারে, আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ১৬ হাজার ৭৭৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। একই সময়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটে ঘাটতি হয়েছে ১৩ হাজার ২০৯ কোটি টাকা। আর আয়কর খাতে ঘাটতির পরিমাণ ৩ হাজার ৬৬৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

এনবিআরের প্রাথমিক হিসাবে অনুসারে, আমদানি খাতে মে পর্যন্ত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৬৪ কোটি টাকা। আর রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮৩ হাজার ৬৮৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

অন্যদিকে মে পর্যন্ত ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৮৪১ কোটি ২ লাখ টাকা। যার বিপরীতে ভ্যাট আদায় হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঈদের ছুটি ঘোষণা

এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের ওই সময়ে আয়কর ও ভ্রমণ কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২ হাজার ৬২৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৮৮ লাখ ৯৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

চলতি অর্থবছরে (জুলাই-জুন) এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ১১ হাজার কোটি, মূসক আদায়ে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ও আয়কর খাতে ১ লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।

ঢাকা/এসএ