১৫ আগস্ট জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়: প্রধানমন্ত্রী

- আপডেট: ০৬:২৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩
- / ১০৩০৯ বার দেখা হয়েছে
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্ট জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। স্বাধীন বাংলাদেশে সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা। সেদিন ঘাতেকের বুলেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়। ইতিহাসে এই ধরনের জঘন্য ঘটনা বাংলার মাটিতে ঘটে যায়। এটি সেই কারবালার ঘটনাকেও হার মানায়।
আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাৎবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের বাড়িতে উঠাবসা করেছে, খাওয়া-দাওয়া করেছে তারাই বেঈমানি করেছে- এতে কোনও সন্দেহ নেই। মোশতাক নিজে ক্ষমতায় বসে জিয়াউর রহমানকে বানালো সেনাপ্রধান। এই ঘটনার সঙ্গে জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
তিনি বলেন, মীরজাফর দুই মাসের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। মোশতাকের ভাগ্যেও সেই পরিণতি হয়েছে। একই সঙ্গে জিয়া রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান হয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় বসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাবতেই পারিনি এরকম আঘাত আসবে। ১৩ তারিখও মা-বাবার সাথে কথা হয়। ঘটনা ঘটার পর বিদেশে রিফিউজি হয়ে থাকতে হয়েছে। আমরা আপনজন হারিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ কী হারিয়েছিল?
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রথম আলো সম্পাদকের জামিন
‘বাবা সারাজীবন এদেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। এদেশের মানুষকে সুখী জীবন দেবেন, তাদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-চিকিৎসা দিয়ে উন্নত জীবন দেবেন বলে নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে দেশকে উন্নত দেশের দিয়ে ধাবিত করেন, ঠিক এই সময়ে আঘাতটা আসে। খুনিরা জাতির পিতাকে হত্যা করার পর এদেশের নামই পরিবর্তন করে ফেলে।’
তিনি বলেন, যে স্লোগান দিয়ে লাখো শহিদ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, সেই জয় বাংলা নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান জিন্দাবাদ কথা ফিরিয়ে আনে। পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো, ৭ মার্চের ইতিহাস বিকৃতি করে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এতে সূচনা বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বক্তব্য দেন।
সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশণা সম্পাদক আব্দুল আওয়াল শামীম।
ঢাকা/টিএ