০৩:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি: নসরুল হামিদ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
  • / ৪২৪৩ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

কয়লা, গ্যাস এবং তেলের সংকটের কারণে দেশে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে জানিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘কত দ্রুত পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা নিয়ে আসা যায়, সেই চেষ্টা চলছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এই অবস্থা থেকে যেন বের হয়ে আসা যায়, সেই চেষ্টা করছি।’

রোববার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এমন আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এই মুহূর্তে শিডিউল লোডশেডিং দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে, বেশ কিছুদিন তা বেড়ে গেছে। সারা দেশে আড়াই হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং হচ্ছে। ফুয়েলের যোগান দিতে সমস্যা হচ্ছে। পরিস্থিতি অসহনীয় হয়েছে, সরকার সেটা জানে। কিছু প্লান্ট অর্ধেক জ্বালানি দিয়ে চলছে।’

মূলত জ্বালানি সংকটের কারণেই বিদ্যুৎ সংকট হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘এগুলো গত ২ মাস ধরেই সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে। আর্থিক কারণসহ নানা কারণে এখনও সমাধান করা যায়নি।’

সবাই এর ভুক্তভোগী উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পেট্রোল পাম্পের সমস্যা হওয়ার কথা না। কেননা পেট্রোল ও ডিজেলের সংকট নেই।’

তিনি বলেন, আমরা কয়লা ও গ্যাসের যেহেতু পর্যাপ্ত জোগান দিতে পারছি না বলে এ সমস্যাটা হচ্ছে। তবে এটা সাময়িক সময়ের জন্য। এ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। আমরা চেষ্টা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ পরিস্থিতি থেকে একটা ভালো জায়গায় পৌঁছানোর।

আরও পড়ুন: ‘পেশাদার’ ও ‘রাজনৈতিক’ সমালোচকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর পৃথক বার্তা

নসরুল হামিদ বলেন, আমরা প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং করছি। তবে আশা করছি এ মাত্রা অনেক কমিয়ে আনতে সক্ষম হব। আমরা মোটামুটি সবকিছু গুছিয়ে ফেলছি। খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।

এদিকে প্রচণ্ড গরমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না বিভিন্ন স্থানের মানুষ। দেশজুড়ে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হচ্ছে। অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। দিনে-রাতে সবসময় বিদ্যুৎ যাচ্ছে।

গ্রামাঞ্চলে ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টারও বেশি লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে। অনেক গ্রামে রাতে বিদ্যুৎ পাওয়াই যায় না। এ অবস্থায় দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে গ্রামের মানুষের।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি: নসরুল হামিদ

আপডেট: ০৪:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

কয়লা, গ্যাস এবং তেলের সংকটের কারণে দেশে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে জানিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘কত দ্রুত পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা নিয়ে আসা যায়, সেই চেষ্টা চলছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এই অবস্থা থেকে যেন বের হয়ে আসা যায়, সেই চেষ্টা করছি।’

রোববার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এমন আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এই মুহূর্তে শিডিউল লোডশেডিং দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে, বেশ কিছুদিন তা বেড়ে গেছে। সারা দেশে আড়াই হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং হচ্ছে। ফুয়েলের যোগান দিতে সমস্যা হচ্ছে। পরিস্থিতি অসহনীয় হয়েছে, সরকার সেটা জানে। কিছু প্লান্ট অর্ধেক জ্বালানি দিয়ে চলছে।’

মূলত জ্বালানি সংকটের কারণেই বিদ্যুৎ সংকট হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘এগুলো গত ২ মাস ধরেই সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে। আর্থিক কারণসহ নানা কারণে এখনও সমাধান করা যায়নি।’

সবাই এর ভুক্তভোগী উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পেট্রোল পাম্পের সমস্যা হওয়ার কথা না। কেননা পেট্রোল ও ডিজেলের সংকট নেই।’

তিনি বলেন, আমরা কয়লা ও গ্যাসের যেহেতু পর্যাপ্ত জোগান দিতে পারছি না বলে এ সমস্যাটা হচ্ছে। তবে এটা সাময়িক সময়ের জন্য। এ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। আমরা চেষ্টা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ পরিস্থিতি থেকে একটা ভালো জায়গায় পৌঁছানোর।

আরও পড়ুন: ‘পেশাদার’ ও ‘রাজনৈতিক’ সমালোচকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর পৃথক বার্তা

নসরুল হামিদ বলেন, আমরা প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং করছি। তবে আশা করছি এ মাত্রা অনেক কমিয়ে আনতে সক্ষম হব। আমরা মোটামুটি সবকিছু গুছিয়ে ফেলছি। খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।

এদিকে প্রচণ্ড গরমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না বিভিন্ন স্থানের মানুষ। দেশজুড়ে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হচ্ছে। অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। দিনে-রাতে সবসময় বিদ্যুৎ যাচ্ছে।

গ্রামাঞ্চলে ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টারও বেশি লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে। অনেক গ্রামে রাতে বিদ্যুৎ পাওয়াই যায় না। এ অবস্থায় দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে গ্রামের মানুষের।

ঢাকা/এসএ