০৭:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

১৬ বছরেও পুঁজিবাজারে আসেনি বহুজাতিক কোম্পানির সরকারি অংশের শেয়ার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:১৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪৩৮৯ বার দেখা হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদকঃ প্রায় দীর্ঘ ১৬ বছর আগে বহুজাতিক কোম্পানিতে সরকারি অংশের শেয়ার পুঁজিবাজারে অফলোডের উদ্যোগ নিলেও বিভিন্ন জটিলতায় বিষয়টি আলোর মুখ দেখেনি। এ বিষয়ে একাধিকবার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তেমন জোরালো কোনো ভূমিকা নেয়া সম্ভব হয়নি। তাই বাজারের স্বার্থে ভালো শেয়ারের সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবা উচিত বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৩১ আগস্ট তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ‘বাজারে ভালো কোম্পানির শেয়ার কীভাবে বাড়ানো যায়’ এ বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল- বাংলাদেশে পরিচালিত বহুজাতিক কোম্পানি অ্যাভেন্টিস (পূর্বতন নাম ফাইসন্স) বাংলাদেশ লিমিটেড, অর্গানন বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানি, হোয়েকস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড, রেকিট অ্যান্ড বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং লিভার ব্রাদার্স (বর্তমানে ইউনিলিভার) কোম্পানিতে রক্ষিত সরকারি শেয়ারের কিছু অংশ পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা হবে, এজন্য একটি সময়সীমাও বেঁধে দেয়া হয়েছিল।

ওই বৈঠকে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালের ১৬ এপ্রিলের মধ্যে কর্মপরিকল্পনার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে। অর্থাৎ, এ সময়ের মধ্যে শেয়ারগুলো বাজারে নিয়ে আসা হবে। এছাড়া সেই সময় ৬২টি সরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানিকে এক বছরের মধ্যে তাদের কোম্পানির অবশিষ্ট কিছু অংশ শেয়ার বাজারে ছাড়ার প্রস্ততি নেয়ার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও মাত্র কয়েকটি সরকারি কোম্পানি ছাড়া কোনো বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার আজ অবধি পর্যন্ত বাজারে আসেনি। আর বহুজাতিক কোম্পানিতে সরকারি অংশের শেয়ার বাজারে ছাড়ার বিষয়টি অনেকটা অন্ধকারে রয়েছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, অ্যাভেন্টিস কোম্পানিতে মোট শেয়ার সংখ্যা ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে ১ হাজার এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে- ৯ লাখ। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের শেয়ারের অংশে ৪৯০টি (৪৯ শতাংশ) এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে ৪ লাখ ৬০ হাজার ৮০০টি (৫১.২০ শতাংশ)। একইভাবে অর্গানন (নোভিস্তা ফার্মা) কোম্পানিতে মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৭ হাজার ৯১৮টি। এরমধ্যে সরকারি শেয়ার রয়েছে- ১২ হাজার ৬৫৫টি (১২.৯২ শতাংশ)। হোয়েকস্ট বাংলাদেশে রয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮৮টি শেয়ার। এর মধ্যে সরকারি অংশের শেয়ার রয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৪টি (৪৮ শতাংশ) এবং আলোচিত আরেকটি বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশ মোট শেয়ার রয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১২৪টি। এরমধ্যে সরকারি শেয়ার ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৬০১টি শেয়ার (৩৯.২৫ শতাংশ)।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, ২০০৫ অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর এসব শেয়ারের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে উল্লেখিত কোম্পানিসহ যেসব প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার রয়েছে সেসব কোম্পানির শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিক্রি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বৈঠকে আরো বলা হয়েছিল, ২০০৬ সালের ১৫ এপ্রিলের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাবার পরও সরকারি এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি। এরপর ২০০৭ সালের ৭ মে আবারো একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ব্যাংকিং)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে একই ধরনের একটি বৈঠকে বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে তেমন জোরালো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়নি। বৈঠকে বলা হয়েছিল, বহুজাতিক কোম্পানির অধিকাংশ শেয়ারের মালিক বিদেশি সংস্থা। ফলে উল্লেখিত কোম্পানির বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছাড়া এসব কোম্পানির শেয়ার অফলোড করা যাবে না। বিদেশি প্রতিটি বহুজাতিক কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে সরকারের যেসব প্রতিনিধি রয়েছে তারা সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করবে।

তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আইনি বাধ্যবাধকতা ছাড়াও পুঁজিবাজারের অস্বচ্ছতা ও বিশৃঙ্খলা বিরাজ করায় অনেক কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হচ্ছে না। তবে পুঁজিবাজারকে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে উন্নীত করা গেলে অবশ্যই ভালো কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হবে। তারা আরো বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে জবাবদিহিতা অনেক বেড়ে যায়। কেননা তিন মাস পর পর অ্যাকাউন্টস অডিট করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে রিপোর্ট দাখিল করতে হয়। ভালো ডিভিডেন্ড না দিতে পারলে শেয়ার হোল্ডাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের দেশে জবাবদিহিতার বিষয়টি যতটা সম্ভব এড়ানোর চেষ্টা করা হয়। মূলত এসব কারণে অনেক কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হয় না। সবার স্বাধীনভাবে ব্যবসা করার অধিকার আছে, কিন্তু পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না হলে তা সামগ্রিক অর্থনীতির বিকাশে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। আর জনসাধারণকেও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রয়োজন রয়েছে- বলেও তারা মনে করেন।

বিজনেস জার্নাল/ঢাকা

শেয়ার করুন

x
English Version

১৬ বছরেও পুঁজিবাজারে আসেনি বহুজাতিক কোম্পানির সরকারি অংশের শেয়ার

আপডেট: ০৮:১৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১

বিশেষ প্রতিবেদকঃ প্রায় দীর্ঘ ১৬ বছর আগে বহুজাতিক কোম্পানিতে সরকারি অংশের শেয়ার পুঁজিবাজারে অফলোডের উদ্যোগ নিলেও বিভিন্ন জটিলতায় বিষয়টি আলোর মুখ দেখেনি। এ বিষয়ে একাধিকবার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তেমন জোরালো কোনো ভূমিকা নেয়া সম্ভব হয়নি। তাই বাজারের স্বার্থে ভালো শেয়ারের সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবা উচিত বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৩১ আগস্ট তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ‘বাজারে ভালো কোম্পানির শেয়ার কীভাবে বাড়ানো যায়’ এ বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল- বাংলাদেশে পরিচালিত বহুজাতিক কোম্পানি অ্যাভেন্টিস (পূর্বতন নাম ফাইসন্স) বাংলাদেশ লিমিটেড, অর্গানন বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানি, হোয়েকস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড, রেকিট অ্যান্ড বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং লিভার ব্রাদার্স (বর্তমানে ইউনিলিভার) কোম্পানিতে রক্ষিত সরকারি শেয়ারের কিছু অংশ পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা হবে, এজন্য একটি সময়সীমাও বেঁধে দেয়া হয়েছিল।

ওই বৈঠকে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালের ১৬ এপ্রিলের মধ্যে কর্মপরিকল্পনার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে। অর্থাৎ, এ সময়ের মধ্যে শেয়ারগুলো বাজারে নিয়ে আসা হবে। এছাড়া সেই সময় ৬২টি সরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানিকে এক বছরের মধ্যে তাদের কোম্পানির অবশিষ্ট কিছু অংশ শেয়ার বাজারে ছাড়ার প্রস্ততি নেয়ার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও মাত্র কয়েকটি সরকারি কোম্পানি ছাড়া কোনো বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার আজ অবধি পর্যন্ত বাজারে আসেনি। আর বহুজাতিক কোম্পানিতে সরকারি অংশের শেয়ার বাজারে ছাড়ার বিষয়টি অনেকটা অন্ধকারে রয়েছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, অ্যাভেন্টিস কোম্পানিতে মোট শেয়ার সংখ্যা ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে ১ হাজার এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে- ৯ লাখ। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের শেয়ারের অংশে ৪৯০টি (৪৯ শতাংশ) এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে ৪ লাখ ৬০ হাজার ৮০০টি (৫১.২০ শতাংশ)। একইভাবে অর্গানন (নোভিস্তা ফার্মা) কোম্পানিতে মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৭ হাজার ৯১৮টি। এরমধ্যে সরকারি শেয়ার রয়েছে- ১২ হাজার ৬৫৫টি (১২.৯২ শতাংশ)। হোয়েকস্ট বাংলাদেশে রয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮৮টি শেয়ার। এর মধ্যে সরকারি অংশের শেয়ার রয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৪টি (৪৮ শতাংশ) এবং আলোচিত আরেকটি বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভার বাংলাদেশ মোট শেয়ার রয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১২৪টি। এরমধ্যে সরকারি শেয়ার ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৬০১টি শেয়ার (৩৯.২৫ শতাংশ)।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, ২০০৫ অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর এসব শেয়ারের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে উল্লেখিত কোম্পানিসহ যেসব প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার রয়েছে সেসব কোম্পানির শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিক্রি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বৈঠকে আরো বলা হয়েছিল, ২০০৬ সালের ১৫ এপ্রিলের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাবার পরও সরকারি এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি। এরপর ২০০৭ সালের ৭ মে আবারো একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ব্যাংকিং)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে একই ধরনের একটি বৈঠকে বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার ছাড়ার বিষয়ে তেমন জোরালো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়নি। বৈঠকে বলা হয়েছিল, বহুজাতিক কোম্পানির অধিকাংশ শেয়ারের মালিক বিদেশি সংস্থা। ফলে উল্লেখিত কোম্পানির বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছাড়া এসব কোম্পানির শেয়ার অফলোড করা যাবে না। বিদেশি প্রতিটি বহুজাতিক কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে সরকারের যেসব প্রতিনিধি রয়েছে তারা সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করবে।

তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আইনি বাধ্যবাধকতা ছাড়াও পুঁজিবাজারের অস্বচ্ছতা ও বিশৃঙ্খলা বিরাজ করায় অনেক কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হচ্ছে না। তবে পুঁজিবাজারকে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে উন্নীত করা গেলে অবশ্যই ভালো কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হবে। তারা আরো বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে জবাবদিহিতা অনেক বেড়ে যায়। কেননা তিন মাস পর পর অ্যাকাউন্টস অডিট করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে রিপোর্ট দাখিল করতে হয়। ভালো ডিভিডেন্ড না দিতে পারলে শেয়ার হোল্ডাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের দেশে জবাবদিহিতার বিষয়টি যতটা সম্ভব এড়ানোর চেষ্টা করা হয়। মূলত এসব কারণে অনেক কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হয় না। সবার স্বাধীনভাবে ব্যবসা করার অধিকার আছে, কিন্তু পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না হলে তা সামগ্রিক অর্থনীতির বিকাশে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। আর জনসাধারণকেও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রয়োজন রয়েছে- বলেও তারা মনে করেন।

বিজনেস জার্নাল/ঢাকা